tag:blogger.com,1999:blog-21135932816042866932024-03-13T00:00:08.046-07:00Miles to go before I sleepApu Nazrulhttp://www.blogger.com/profile/04784453325710400219noreply@blogger.comBlogger54125tag:blogger.com,1999:blog-2113593281604286693.post-46186313694295789502023-06-25T12:01:00.003-07:002023-06-25T12:01:57.240-07:00পদ্মা আর মধুমতি সেতুবিহীন সময়ের দক্ষিণ বাংলায় কয়েকটি স্মৃতিময় দিন<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiPZoGzrPhFnYesQ1sR6wan4uNrndKcmd2lQvu1UU-w-ak0NDi7FDdUuMxaeSBIjK1YVEIcjt4ULR1wBkBX5nr7xKHAfS0pE3pvaoScJQbl3tEVXptkCLNE2VlNtVCna9koKD3Cct2El9but3xCo5BfBo05Ss7I1Mx506xiN3EQIMitJN4fBsrynrT_phET/s1080/FB_IMG_1687709301735.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="679" data-original-width="1080" height="201" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiPZoGzrPhFnYesQ1sR6wan4uNrndKcmd2lQvu1UU-w-ak0NDi7FDdUuMxaeSBIjK1YVEIcjt4ULR1wBkBX5nr7xKHAfS0pE3pvaoScJQbl3tEVXptkCLNE2VlNtVCna9koKD3Cct2El9but3xCo5BfBo05Ss7I1Mx506xiN3EQIMitJN4fBsrynrT_phET/s320/FB_IMG_1687709301735.jpg" width="320" /></a></div><br /><p><br /></p><p><br /></p><p> পাঁচ ছয় বছর আগের কথা। লাইরিড মেটিওর শাওয়ার দেখতে ডিসেম্বরের এক হাড় কাপানো সন্ধ্যায় দুই স্কুল বন্ধুসমেত প্যাডেল স্টিমারে চেপে বসেছিলাম। মধ্যমেঘনায় চলমান জলযানের ছাদে শুয়ে রাতের তীব্র শীত উপেক্ষা করে যে কয়েকঘন্টা আমরা তিনজন আকাশপানে চেয়েছিলাম এরই মধ্যে সবমিলিয়ে শ তিনেক ধাবমান উল্কা গুনেছিলাম মনে আছে। মিনিটে দুইটা প্রায়! সে রাতে আকাশটা নেমে এসেছিলো অনেক নিচে অথবা আমরা পৌঁছে গিয়েছিলাম স্বর্গের কাছাকাছি! </p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiXi4Hsp_em4y7Oq_sDNFj7e3YxSwAXTwJpbwWhseQxolr2GIasUCLNwSCDTNKt1WG9gZcPLsgUXi8VOHFtfR1kyGUu1R40Gst6Z4iW8cclM0jDp2_F1AxxRGneszSdOcmpde5oRLFZD0AkIO-ZNtR-eEBBcTl_Tw2Yxv2_QDZuPQV7NXkFsZJmlfHY18Z8/s1080/FB_IMG_1687699049608.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="810" data-original-width="1080" height="240" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiXi4Hsp_em4y7Oq_sDNFj7e3YxSwAXTwJpbwWhseQxolr2GIasUCLNwSCDTNKt1WG9gZcPLsgUXi8VOHFtfR1kyGUu1R40Gst6Z4iW8cclM0jDp2_F1AxxRGneszSdOcmpde5oRLFZD0AkIO-ZNtR-eEBBcTl_Tw2Yxv2_QDZuPQV7NXkFsZJmlfHY18Z8/s320/FB_IMG_1687699049608.jpg" width="320" /></a></div><br /><p><br /></p><p><br /></p><p>পরদিন হুলারহাট নেমে রায়েরকাঠি জমিদারবাড়ি ঘুরলাম৷ পরিচয় হলো জমিদারের বংশধর অপূর্ব নারায়ণ রায় চৌধুরীর সাথে। তিনিই সব ঘুরিয়ে দেখালেন। পিরোজপুর শহরে গিয়ে খুঁজে বের করলাম শহীদ বুদ্ধিজীবি ফয়জুর রহমানের (হুমায়ূন আহমেদের বাবা) কবর। তারপর খুলনাগামী বাসের ছাদে চেপে বসলেও ষাট গম্বুজের সামনে নেমে গেলাম কারণ দুই সফরসঙ্গীর সেটাই প্রথম বাগেরহাট আসা। তারপর খুলনা শহরে ঢু মেরে যশোর গিয়ে বন্ধু সন্তলের বাসায় রাত্রিযাপন। </p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhYunp3hLVUYNpG0LyJ7DRmB9bm_fBBAETPT1JZNE60YkbL474iW6kKiWp8mcg6Q2TWTdNYxsYHeT9oXLgbI2umHaH3RdBtGMQoi4pKhoN4s3SLDVXbRsR1AJqqqgL9SGdoi9_CU7S1qdZi79_XvVNJfVygTEc--edk76sYv8YvWoxAn1a__HXcvOoHEbnC/s1080/FB_IMG_1687698832736.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="810" data-original-width="1080" height="240" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhYunp3hLVUYNpG0LyJ7DRmB9bm_fBBAETPT1JZNE60YkbL474iW6kKiWp8mcg6Q2TWTdNYxsYHeT9oXLgbI2umHaH3RdBtGMQoi4pKhoN4s3SLDVXbRsR1AJqqqgL9SGdoi9_CU7S1qdZi79_XvVNJfVygTEc--edk76sYv8YvWoxAn1a__HXcvOoHEbnC/s320/FB_IMG_1687698832736.jpg" width="320" /></a></div><br /><p><br /></p><p>পরদিন ট্যুরের শেষদিন। দিনভর ঝিনাইদহের বারোবাজার ঘুরে ক্লান্ত শরীরে সন্ধ্যানাগাদ যশোর শহরে নেমেই খেয়াল করলাম আমার নতুন কেনা সনি আলফা ক্যামেরা সমেত ব্যাগখানা সিএনজিতেই ফেলে এসেছি। যশোর শহর কত বড় সে ধারণা না থাকলেও আরেকটা অটো ডেকে সেই সিএনজির সন্ধান শুরু করলাম। কি ভাগ্য আমার; আধা ঘন্টা পর মিলিয়ে দিলেন মহাজন! সেই সিএনজিচালককে দেখলাম রাস্তার পাশে গাড়ি পার্ক করে আমার ব্যাগ ঘাটছেন। বমাল ব্যাগ ফেরত পেয়ে হাঁপ ছেড়ে বাচলাম আর ডিনার সারলাম। দেবুর দোকান থেকে গুড়ের সন্দেশ কিনে যখন বাসস্ট্যান্ডে গেলাম তখন ঘড়ির কাটা সাড়ে দশ ছুঁই ছুঁই। ঢাকার সকল গাড়ি ছেড়ে গেছে। খুলনার যা রাস্তা খুলনা ফেরার সাহস হলোনা। সময়ও নাই। এদিকে আমার কিছু ভাইব্রাদার মাওয়ায় পদ্মার চরে বোয়াল মাছ ধরার প্রোগ্রাম করছে। আমার বিকেল নাগাদই সেখানে যোগ দেয়ার কথা। একটু পর পর তারা খোঁজখবর নিচ্ছে আর বোয়ালের ন্যাজের গপ্পো শুনাচ্ছে! সুতরাং সকাল হলে হোক; আমি সেখানে যাবোই যাবো! কিন্তু আমার দুই বন্ধুর নতুন চাকুরী এবং তারা যেহেতু ফার্মাসিস্ট ও ইঞ্জিনিয়ার তাদের নাকি সকালে অফিস ধরতেই হবে। তাদের তাড়াহুড়োতে রাত সাড়ে এগারোটায় ছাড়ি ছাড়ি করতে থাকা নড়াইলের একখানা ভাঙারি বাসে চড়ে বসলাম। হেলেদুলে নড়াইল পৌঁছে বাসস্ট্যান্ডেই কালনা ফেরীঘাট যাবে এমন কয়েকজনকে পেলাম৷ তাদের সাথে জুটে ফেরীঘাটেও যাওয়া গেলো। নড়াইলের চিত্রা তো নতুন সেতু চড়েই পেরোলাম কিন্তু এবার সামনে যে নদী তার তো কোন সেতু নাই। নদীর নাম মধুমতি। আমরা ছাড়া কোন যাত্রীও নাই। এই মধ্যরাতে পেরোবার গাড়ি নেই তাই ফেরীও বন্ধ। চুক্তিতে খেয়া পেরোলাম৷ খেয়ায় উঠে নৌকার পাটাতনে গা ছড়িয়ে দিতেই দেখলাম অপূর্ব দৃশ্য। দুইদিন আগে উল্কাবৃষ্টি ছিলো। তিনশো উল্কা দেখে এসেছি। দুইদিন পরেও সেই জেরেই বোধকরি আকাশে থেমে থেমে একটা দুইটা উল্কাপতন চলছে। অথচ আমার হৃদয়ে সেই তিনশো শুটিং স্টারের চেয়ে মধুমতির বুকে দেখা দুই তিনটা ভাংতি উল্কাপতনের স্মৃতি এখনো বেশি জাগরুক। </p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhoQHu4ccGtLxKshdDS6AxZCO1bOrZQmKqgRMJiUMYN7KhCT8iNQQcVqk63TmYkEO5ArXteuj3WLpEzkG6ExOpRVZ3l22Q8jUyvtWQD-tzEl5r2r8RF06xYUc97Nl8-NE2d6HfB4RXBIRTY8GZNEDRPNDpysWoEzWsgZX5YKJlkZAf0fPlw1vZgW5khGWML/s1440/FB_IMG_1687708908887.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1440" data-original-width="1072" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhoQHu4ccGtLxKshdDS6AxZCO1bOrZQmKqgRMJiUMYN7KhCT8iNQQcVqk63TmYkEO5ArXteuj3WLpEzkG6ExOpRVZ3l22Q8jUyvtWQD-tzEl5r2r8RF06xYUc97Nl8-NE2d6HfB4RXBIRTY8GZNEDRPNDpysWoEzWsgZX5YKJlkZAf0fPlw1vZgW5khGWML/s320/FB_IMG_1687708908887.jpg" width="238" /></a></div><br /><p><br /></p><p>কালনা ঘাট পেরিয়ে আমাদের পরবর্তী গন্তব্য কয়েক কিলোমিটার দূরের গোপালগঞ্জের ভাটিয়াপাড়া মোড়। সেখানে গেলে ঢাকা না হলেও নিদেনপক্ষে মাওয়াগামী কিছু পাওয়া যাবে। কিন্তু চারপাশ বিলে ঘেরা সেই নির্জন রাস্তায় এই মধ্যরাতে যাওয়া আর ডাকাতের রামদায় গলা পেতে দেওয়া নাকি এক কথা; এই ভুজুং শুনিয়ে ঘাটের একমাত্র ভ্যানওয়ালা যেতে রাজিনা। অনেক তেল মালিশের পর মহাশয় রাজি হলেন। রাত তিন ঘটিকার দিকে ভ্যানে পা ছড়িয়ে বসলাম। ভ্যানওয়ালা মামা গপ্পো জুড়লো গতমাসে সন্ধ্যারাতে ডাকাতদল কিভাবে তার যাত্রীর গলায় রামদা ঠেকিয়ে সর্বস্ব লুটে নেয়ার পরও ভিকটিমকে বিজি রাখতে রানের মধ্যে একটা টানা পোচ দিয়ে গিয়েছিলো ৷ এই নিশুতি রাতে এমন গপ্পো পাতার কোন মানে হয়?</p><p><br /></p><p>শেষমেষ ভাটিয়াপাড়া পৌঁছুলাম। ততোক্ষণে খুলনা থেকে আসা সকল বাস চলে গেছে। একটা মাইক্রো ভাঙ্গার মোড় পর্যন্ত যাবে কিন্তু ভাড়া চাচ্ছে জনপ্রতি দেড়শো। যাত্রীও আছে কয়েকজন কিন্তু আমরা সবাই সবাইকে ডাকাত ঠাওরে বসে আছি। অবিশ্বাসের এই খেলাধুলা চললো আরো আধাঘন্টা। এর মধ্যেই চা টা খেয়ে সবার কিছুটা ডর কাটলো আর আমিও মাইক্রোওয়ালাকে জনপ্রতি ২০০ তে ফেরীঘাট পর্যন্ত রাজি করিয়ে ফেললাম! তারপর আর কি! একটানে ঘাটে। ফেরীও পেয়ে গেলাম প্রায় সাথে সাথেই। শেষ রাতের ভয়ংকর শীতে কাঁপতে কাঁপতে ফেরীর ছাদে গেলাম। চারপাশে কুয়াশার চাদরের শ্বেত অন্ধকারে রো রো ফেরীর ইঞ্জিনের গুঞ্জন আর পদ্মার জল কাটার ছলাত ছলাত আওয়াজ ছাড়া কোথাও কেউ নেই। এর মধ্যেই সার্চলাইট জ্বেলে কই যেন যাচ্ছে ফেরী নামের একচোখা সাইক্লপসটা! তাতেও শান্তি নাই; সেই আলোর বীমটাকেও শখানেক মিটার পেরোবার আগেই গিলে খাচ্ছে কুয়াশার রাক্ষস! কই যাচ্ছি কে জানে!</p><p><br /></p><p>অনন্তকাল পর মাওয়ায় নামলাম। দুই কর্পোরেট জাংকি স্যাঙাতকে ঢাকার বাসে তুলে দিয়ে বসে রইলাম ধলপহরের আলোর অপেক্ষায়! আলোর আভা দেখেই কল লাগালাম ক্যাম্পসাইটে৷ গতরাত থেকে আমাকে বোয়াল মাছের লেজের আশ্বাস দিয়ে দিয়ে এদ্দুর টেনে আনা ফিশমঙ্গাররা জড়ানো গলায় বললো স্পীড বোট ঘাটের পাশে যে চর সেই চরের শেষমাথায় গেলেই দেখা মিলবে ক্যাম্পসাইটের। আমিও সেই উষার অন্ধকারে চরের ভেতর তাদের খুঁজতে লাগলাম। এক পর্যায়ে দেখি আমার চারপাশের বালুচর কুয়াশায় বিলীন৷ এরপর বাঁশি ফুঁকে, চিৎকার করে, লাইভ লোকেশন শেয়ারের মত আরো নানাবিধ নর্তন কুদন শেষে ক্যাম্পসাইটের দেখা মিললো৷ আমি তাবুয় তাবুয় দেবুর সন্দেশ রটিয়ে দিয়ে যখন আমার বোয়াল মাছের ন্যাজখানা চাইলাম তখন মশাইদের পাতিল ঠনঠন! গতকাল থেকে পদ্মার অগাধ জলে কেজিতে কেজিতে পঁচা মৃগেল মাছের পোনা, আরশোলা, ব্যাঙ, কেচো, মহুয়া, মধু, পিপড়ার বাসার টোপ ফেলেও নাকি আমার এংলার ভাইরা একটা বোয়াল মাছের ছাওও পায়নি!</p><p><br /></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiEhKde6duCc0QVPNGj5KGDMTE2XLV41FGo8y_3EHy3eD6DfKWBsRGHw0qRZcG1IFGeMvyVKltgP0abj2prnRqOEknoCJ9ezMQbmWIvawPg-bUi3hCT4p-JnjBtejDidAZVbHS6XvN6bg-akrVIj27P51Y8TnxYzrIRuFGnIN87Kvfm9UOKQSCFTzWz_PdN/s720/FB_IMG_1687698545432.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="720" data-original-width="720" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiEhKde6duCc0QVPNGj5KGDMTE2XLV41FGo8y_3EHy3eD6DfKWBsRGHw0qRZcG1IFGeMvyVKltgP0abj2prnRqOEknoCJ9ezMQbmWIvawPg-bUi3hCT4p-JnjBtejDidAZVbHS6XvN6bg-akrVIj27P51Y8TnxYzrIRuFGnIN87Kvfm9UOKQSCFTzWz_PdN/s320/FB_IMG_1687698545432.jpg" width="320" /></a></div><br /><p><br /></p><p><br /></p><p>(গত বছর আজকের দিনে পদ্মা সেতু চালু হয়েছিলো। কদিনের ভেতর চালু হয়েছিলো দেশের প্রথম ছয় লেনের মধুমতি সেতুও! গতবছরের সেই মাহেন্দ্রক্ষণে আমার এই গল্পের অবতারণা!)</p>Apu Nazrulhttp://www.blogger.com/profile/04784453325710400219noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-2113593281604286693.post-68833784167088566592023-04-18T04:22:00.001-07:002023-04-18T04:22:06.537-07:00ঢাকা শহরের বিখ্যাত অথচ জঘন্য খাবার তালিকা - worst over hyped food place of Dhaka<p> </p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhs9pdC8AJN6REFfJXhnAwfBPGX9fRm1Aln_lrv3Y9xZTzvdlNU0MKI2D_Xr8bt4t0LCMwckq2K1DIQSSRFmau52YDVFp4bJfA7bdKvO5_krbAakqt8HM5L9zUsqw3aDyWAVvwvxdB3UsUrG9mA3mKXdqUwhRh5OpKmtQsXBiQvfav63i_y9T2pmmqZMw/s960/FB_IMG_1681816731141.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="666" data-original-width="960" height="222" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhs9pdC8AJN6REFfJXhnAwfBPGX9fRm1Aln_lrv3Y9xZTzvdlNU0MKI2D_Xr8bt4t0LCMwckq2K1DIQSSRFmau52YDVFp4bJfA7bdKvO5_krbAakqt8HM5L9zUsqw3aDyWAVvwvxdB3UsUrG9mA3mKXdqUwhRh5OpKmtQsXBiQvfav63i_y9T2pmmqZMw/s320/FB_IMG_1681816731141.jpg" width="320" /></a></div><p></p><p>ঢাকা শহরে আমার খাওয়া ওভার হাইপড অথচ অতি জঘন্য কয়েকটা খাবারের বর্ণনা দিলাম। এগুলো কঠিনভাবে বর্জনীয়। আপনার অভিজ্ঞতা ও কমেন্টে এরকম আরো বিখ্যাত ক্রিমিনালদের নাম দিয়ে যাবেন। যাতে পাবলিক এওয়ার হয়: </p><p><br /></p><p>১/ বড় বাপের পোলায় খায়: </p><p><br /></p><p>মূলত ঢাকার নবাববাড়িতে যে ইফতার মাখা হতো তার উচ্ছিষ্ট দেয়া হতো বাড়ির চাকরবাকরদের। চাকররা সেটা খেয়েই বাইরে আহা উহু গপ দিতো। সেই বর্ণনা শুনে স্থানীয়রাও রাস্তায় সেই ইফতার মাখা বিক্রি শুরু করে এবং নব্বই দশকে মিডিয়ার বদৌলতে মার্কেট পেয়ে যায়। এই খাবার একেবারেই জঘন্য। যেহেতু মাখা আইটেম তাই আগেরদিনের টক হয়ে যাওয়া মুরগী ইত্যাদি মিলিয়ে দেয় চকবাজারের বিক্রেতারা৷ খাইলে অসুস্থ্য হবেন নিশ্চিত৷ </p><p><br /></p><p>২/ মুস্তাকিমের চাপ: মুহাম্মদপুর বিহারী ক্যাম্পের এই জিনিসের সুনাম শুনে খেতে গিয়েছিলাম ২০১৫ তে। ভালো লাগেনি। কয়দিন আগেও গেলাম। আরো জঘন্য হয়েছে৷ সকল আইটেমই একই মশলায় মাখে, একই তেলে ভাজা হয়। স্বাদ থাকবে কেমনে? তাছাড়া এই তেল কয়দিনের পুরোনো কে জানে! </p><p><br /></p><p>মূলত স্টয়িক ব্লিসের আবার জিগায় গানে মুস্তাকিমের চাপ আবার জিগায় লাইনটার কারবে বেশি হিট খেলেও এখন আর আগের মত জমজমাট নাই কারণ পাবলিক সচেতন হয়েছে। স্পেশালি লুচি নিয়ে এরা যে বাটপারিটা করে সেটা ধরতে পারলে আপনি আর এখানে দুইবার যাবেন না। </p><p><br /></p><p>৩/ বেনারসি পল্লীর শওকতের চাপ: এটা আরেক জঘন্য আইটেম। মুস্তাকিমের মত একই তেলে দুনিয়ার সবকিছু ভাজা হচ্ছে এখানে। আর এত কড়া ভাজা দেয় যে কোনকিছুর মূল স্বাদ বলে কিছু অবশিষ্ট থাকেনা। মূলত একবার পাকিস্তান টিম খেতে গিয়ে জায়গাটা বিখ্যাত করে তুলে কিন্তু আমরা যারা মিরপুর থাকি আমরা ভুলেও ঐ দোকানে খাইনা। </p><p><br /></p><p>৪/ কাল্লুর কাবাব: এরা যখন রাস্তার ব্যবসায়ী ছিলো তখন এদের খাবার ও সার্ভিস দুইই ভালো ছিলো। আমরা হাইপ তুলে এদের এত আসমানে তুলেছি যে এখন এরা কাবাবটা পর্যন্ত পুড়ায় না। তেলে ভেজে দেয়। কারণ পুড়ালে টাইম বেশি লাগে। </p><p><br /></p><p>৫/ চান্দুর নেহারী: চান্দুর নেহারী এক সময় সস্তা ছিলো এবং হাইপ কম ছিলো বলে ভালো করে জ্বাল দিতেন উনারা। এখন এত চাপ যে এক জ্বালের নেহারী বেচেই কূল পান না। আর এখন পুরোটাই ইম্পোর্টেড নেহারী ইউজ করেন। দামও বাড়িয়ে ফেলেছেন। তাই আর ভালো লাগেনা। তাও যদি খেতে চান বাসায় এসে কয়েকবার জ্বাল দিয়ে খাবেন। </p><p><br /></p><p>৬/ বিউটির লাচ্ছি: গত ৫-৭ বছর ধরে লাচ্ছিটা জঘন্য হচ্ছে। গোলাপজলের গন্ধে গেলা দায়। তাই লেবুর শরবতটা খেতাম ঐটাও আর আগের মত নাই। তআছাড়া ঢাকা শহরের সবচে বড় ভাগাড়টা এখন ওদের দোকানের সামনে! আর আমাদের দেশের নাদান ফুড ব্লগারগুলো কিনা বিদেশী ব্লগার আসলে এখানেই নিয়ে যায়!</p><p><br /></p><p>৭/ হাজী বিরিয়ানী: এইখানে খাসির মাংসের বদলে এখন ছাটের মাংস দেয় কিন্তু দামটা কিন্তু ঠিকই অনেক বেশি নেয়। মাংস আপনি বলতে গেলে পাবেনই না। টাকা দিয়ে হাড় নেয়ার মানে আছে কোন? তাছাড়া পরিমাণ এত কমিয়েছে বলার বাইরে। আগে এক পাতা খেলে পেট ভরতো আর এখন এক পাতায় পেটের অর্ধেকও ভরেনা! </p><p><br /></p><p>৮/ কলাবাগানের মামা হালিম: ঢাকার সবচে বাজে হালিম এরা বানায়। কিন্তু দাম নিবে গলাকাটা। কেমনে যে এদের নাম ফাটলো আমি ভেবে পাইনা! </p><p><br /></p><p>৯/ শমসের আলীর ভুনা খিচুড়ি: এই দোকানের মার্কেটিং, পলিসি, খাবার সবই বাটপারি৷ সারাক্ষণ এদের হাবভাব আমরা প্রেসিডেন্ট এর খাবার বানাই কিন্তু খাইলে বুঝবেন ফকিন্নীও এদের খাবার গিলবে না! </p><p><br /></p><p>১০/ আবেশ হোটেলের মটকা আইটেম: </p><p>এটা পুরাপুরি ফুড ব্লগারদের তৈরী হাইপ। এদের খাবার এত জঘন্য এত জঘন্য যে খাবার পর আপনার মনে হবে মাইক ভাড়া করে এদের গালাগালি করি! </p><p><br /></p><p><br /></p>Apu Nazrulhttp://www.blogger.com/profile/04784453325710400219noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-2113593281604286693.post-13805863780577092692021-03-30T23:51:00.002-07:002021-03-30T23:51:34.420-07:00বান্দরবানের গোপন আতংক অপূর্ব প্রাণী ঢোল, বন কুকুর, রামকুত্তা বা রাংকুর <p></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhPPhGsqkpf8gpqRS6s-drhvdAghU5swbBYY34eF-Td_oAStxPpw8kT_Un5IzHNjihfIHFc97eUnQ6c4uWWNETkp-sSiDwMnWUHR2Atkbb5eXePSn519J4jjzAAvscfhaqpu65HXUfMIRKN/s960/received_523812231784291-01.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="960" data-original-width="760" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhPPhGsqkpf8gpqRS6s-drhvdAghU5swbBYY34eF-Td_oAStxPpw8kT_Un5IzHNjihfIHFc97eUnQ6c4uWWNETkp-sSiDwMnWUHR2Atkbb5eXePSn519J4jjzAAvscfhaqpu65HXUfMIRKN/s320/received_523812231784291-01.jpeg" /></a></div><br /> ঢোল, বনকুকুর বা রামকুত্তা <p></p><p><br /></p><p>রামকুত্তা সামাজিক প্রাণী। গোত্রের মত বড় বড় দলে এরা বসবাস করে। শিকার ধরার সময় এসব দল আবার ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে যায়। মধ্যম আকারের তৃণভোজী প্রাণী এদের প্রধান খাদ্য। অত্যন্ত সাহসী রামকুত্তা দলবদ্ধভাবে বন্য শুকর, বুনো মহিষ বা বাঘের মত বড় বড় প্রাণীদেরও আক্রমণ করতে ভয় পায় না। বহু সময় ধরে এরা শিকারকে তাড়া করে আর শিকার একসময় ক্লান্ত হয়ে গেলে দলবদ্ধভাবে ঘিরে ফেলে এবং শিকারের পেট চিরে মৃত্যু নিশ্চিত করে। শিকার করা প্রাণী এদের ছানাদের আগে খেতে দেয়, পরে নিজেরা খায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষকে এড়িয়ে চললেও কিছুক্ষেত্রে মানুষকে আক্রমণ ও হত্যার রেকর্ডও আছে। (তিন্দুতে মাছ ধরতে যাওয়া দলের তাবু আক্রমণ করেছিলো একবার।) </p>Apu Nazrulhttp://www.blogger.com/profile/04784453325710400219noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-2113593281604286693.post-18785007924120930352020-11-17T09:08:00.001-08:002020-11-17T09:08:19.398-08:00বিরামপুরের গল্প<p> </p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEih0Cqc7JbYyPVSHd5cXJZcwGCbPFtsf02z6fl2Ssvry5NLGLajCg9ejP4Vp6ZnU5ZBbe-aug5RM4xs9HaoasZqUZ9fGpBJvw212iv_vXJk2to96oU9pF7oEn3Y4AEDwFBtH_9W72WTpCcy/s1153/1280px-Birampur_railway_station-01.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="911" data-original-width="1153" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEih0Cqc7JbYyPVSHd5cXJZcwGCbPFtsf02z6fl2Ssvry5NLGLajCg9ejP4Vp6ZnU5ZBbe-aug5RM4xs9HaoasZqUZ9fGpBJvw212iv_vXJk2to96oU9pF7oEn3Y4AEDwFBtH_9W72WTpCcy/s320/1280px-Birampur_railway_station-01.jpeg" width="320" /></a></div><p></p><p>বিরামপুরের নাম শুনে কল্পনায় নীরব এক রেল স্টেশন, ভরদুপুরে ঘুমের ভারে ঢুলুঢুলু কিছু দোকানীসমেত অল্প কিছু টিনের দোকানপাট আর হলদে ফসলের প্রান্তর ছুঁয়ে যাওয়া শীতের ধুলো উড়া একটা পথ কল্পনা করে নিয়েছিলাম। তিন নাম্বার খানিকটা মিললেও বাকিগুলো মিললোনা। গত কয়েকবছর ধরে আর মিলে না। নগরায়ণের গ্যাংগ্রিনে শহর তো পঁচে গেছে সেই কবেই! এখন গ্রামগুলোও আক্রান্ত হচ্ছে। বিভূতির উপন্যাস ছাড়া তাই কোথাও আর মিলেনা শতভাগ বিশুদ্ধ গ্রাম।</p><p><br /></p><p>এখানেও বিষ লেগেছে। সন্ধ্যার পরও সব সরগরম। একশো টাকায় পাওয়া তিনশো টাকার এনার্জি লাইটের আলোয় চারপাশ রোশনাই। বাইছা লন একশো থেকে শুরু করে সান্ডার তেলের ক্যানভাসার সবাই উপস্থিত। সাময়িক দোকানীরা ঝাপ মেলে গ্র্যান্ডফাদার ক্লকের কোকিলটার মত উঁকি দিচ্ছে! শুধু কি তাই? ব্যাংকের বুথসমেত ব্রাঞ্চ বসে গেছে বেশ কয়েকটা!</p><p><br /></p><p>আমি স্থানীয় একটা রেষ্টুরেন্টে ঢুকলাম। যেগুলোকে আমরা 'হোটেল' বলি! যতোটা না নিজে খেতে তারচে বেশি বৃদ্ধ রিকসাচালকটাকে কিছু খাওয়ানোর উদ্দেশ্যে। নাহ তিনি চা ছাড়া কিছুই খাবেন না। জোরাজুরি করিয়ে শেষতক একটা মিষ্টি! দু-চারটা কথা হলো। বয়স ৬৫। জমি ছিলোনা কখনো তাই গত ৪৫ বছর ধরে রিকসাই চালিয়ে আসছেন। একমাত্র মেয়ের বিয়ে, একটা ভিটি আর ৪৫ হাজার টাকা দামের দুই বছর আগে কেনা এই মোটর রিকসাখানা সবই রিকশা চালিয়ে উপার্জিত টাকায়। আবারো মটর রিকসা জিনিসটাকে মহান এক আবিষ্কার মনে হলো আমার। বগুড়ার শেষ 'মেইল' চলে গেছে তারউপর বিরামপুরে পরিচিত কেউ নাই শুনে উদ্বিগ্ন হলেন। 'ম্যালা টাকা' দিয়ে পুরো ঢাকার টিকেট কেটে নাইটকোচে ঢাকা যেতে হবে বলে আফসোস করতে করতেই তার টিনের বাড়িতে চাইলে থাকতে পারি জানিয়ে দিলেন। আশ্বস্ত করলেন নতুন লেপ আছে। মেয়ের জামাই আসবে বলে নামান নাই এখনো। বেচারার কথা শুনে মায়া হলো। জানালাম চিন্তার কিছু নাই, আমাকে নিতে গাড়ি আসবে। দেড়শো টাকায় তিনঘন্টা চুক্তিতে 'কম হয়ে যায়' বললেও কিন্তু পাছে আমি অন্য রিকসা নিয়ে ফেলি সে ভয়ে দুপুরবেলা নিমরাজি হয়ে গিয়েছিলেন। তাই দুশো টাকা উনার হাতে দিয়ে রাখতে বললেও উনার দ্বিধা কাটেনা! জানতে চান "সবটা?"</p><p><br /></p><p>এখানে মুসা ভাইয়ের অপেক্ষায় আমাকে ঘন্টাখানেক বসতে হবে তাই ওয়েটারকে বলে ফোনটা চার্জে দিলাম। ব্যস্ত 'হোটেল' তার উপর শহুরে কাষ্টোমার পেয়ে ওয়েটারদের ভালো ব্যবহারে কিছু না খেয়ে শুধু শুধু বসে থাকতে ইতস্তত লাগছিলো। তাই ঢাকায় আমরা যেটাকে মোগলাই বলি (ভেতরে কিমা থাকে) চিটাগাং এ যেটা ডিম-পরোটা (ভেতরে ডিম থাকে) সেই জিনিসখানা অর্ডার করলাম। সার্ভ হলো তেতুলের টক আর সালাদসমেত। কিন্তু ওমা ভেতরে যে আলুভাজি! এও কি হয়! এই অখাদ্য গেলা সম্ভব না। টাক মাথা ফর্সা ওয়েটার লোকটা বোধহয় বুঝলো ব্যাপারখানা। সে এসে আস্তে আস্তে বললো হাসের গোস্ত খাবেন স্যার? চালের রুটিও আছে। প্রথমে নিজের কান বিশ্বাস হলোনা। শেষমেষ ৬ টা রুটি চালান করলাম উদরে। গেটিস দেবার ছলে দুই প্লেট হাসভূনাই দিয়ে দিলো ওয়েটার। সত্যি বহুদিন এত ভালো খাবার খাই নাই। শেষে এক গেলাস দুধ নিয়ে আসলো নিজে থেকেই। জানালাম দুধ খাইনা। সে জানালো এটা ক্যাশ থেকে মালিকে পাঠিয়েছেন। কমপ্লিমেন্টারি! </p><p><br /></p><p>আচ্ছা এটা কি আসলেই ২০১৮?</p>Apu Nazrulhttp://www.blogger.com/profile/04784453325710400219noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-2113593281604286693.post-89305347236233781542020-10-18T09:16:00.001-07:002020-10-18T09:16:31.677-07:00রকষ্টারের বিদায়ের দুই বছর <p></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh89xCGfmMFLAyoLMZO-4u0kt8iE8IdO5GB6Dvq5NbR1YTqfbLIbef1R-kAiNcXUNWQxWlFwV1SFnQMwLguH_-hfdIU0zze_cOdClMYRJfIAuP61CfH0oyt0Jafv1qm42w3lE6HSMWxpsUk/s683/1st-Album-1024x683-01.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="683" data-original-width="532" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh89xCGfmMFLAyoLMZO-4u0kt8iE8IdO5GB6Dvq5NbR1YTqfbLIbef1R-kAiNcXUNWQxWlFwV1SFnQMwLguH_-hfdIU0zze_cOdClMYRJfIAuP61CfH0oyt0Jafv1qm42w3lE6HSMWxpsUk/s320/1st-Album-1024x683-01.jpeg" /></a></div><br /> বাচ্চু ভাইয়ের সেকেন্ড সলো এলবামের কাভারে লিখা ছিলোঃ <p></p><p><br /></p><p>"তারপর একদিন ভরা জোৎস্নায় আমিও চলে যাব </p><p>একমাত্র নিশ্চয়তাকে সঙ্গী করে- চির নবান্নের দেশে,</p><p>জেনে যাবো; সবকিছুই বড় দেরিতে আসে,</p><p>বড় দেরীতে ধরা দেয়; হারিয়ে যায় সেও হঠাৎ করেই! </p><p>শুধু কষ্টটা থেকে যায়! </p><p>আসলে কষ্টটা</p><p>এভাবেই ছিল-</p><p>কষ্টটা এভাবেই থাকে....!!!"</p><p><br /></p><p>গায়কী প্রতিভার কথা ভাবলে ছিলেন মিডিওকারেরও নিচে, বিলো এভারেজ। ঘষে-মেজে, সাধনায়, গিটার বাদনে নিজেকে নিয়ে গেছেন লিজেন্ড লেভেলে। সেই স্কুলে পড়ার সময়ই বাবা-মায়ের সেপারেশন। সত্তরের দশকের কথা আমলে নিলে আসলে সেপারেশন ওয়ার্ডটা দিয়ে বিষয়টার ভয়াবহতা বুঝানো যাবেনা। সিম্পলি তখন মানুষ বউ ছেড়ে দিতো যেভাবে তেমনই ছিলো ব্যাপারটা। তিন ভাই নিয়ে এনায়েতবাজারের বাবার বাড়ি থেকে মা সহ বাচ্চুরা চলে আসলেন মাদারবাড়ির নানাবাড়িতে৷ বাবার স্নেহহীন শৈশব-কৈশোরের কষ্টের দিনগুলো বাচ্চু ভাই ভুলেননি কোনদিন, শেষদিকে গাওয়া তাঁর গান "বাবা" শুনলেই তাঁর বাবাহীনতার অভিমানসৃষ্ট কষ্টের তীব্রতা যে তিনি জীবনের শেষদিন পর্যন্ত বয়ে বেড়িয়েছেন তা স্পষ্ট বুঝা যায়। তবু বাচ্চু ভাই বাবার সাথে যোগাযোগ রেখেছেন। নিজের কাছে এনে চিকিৎসা করিয়েছেন। সৎ বোন-বোনজামাইদের প্রতি বড়ভাইসূলভ দায়িত্ব পালন করে গেছেন। মা চলে গেলেও তাঁর বাবা এখনো বেঁচে আছেন দুনিয়ায়, বাচ্চু ভাই নেই! </p><p><br /></p><p>মুসলিম স্কুল পেরিয়ে সিটি কলেজে, বাচ্চু ভাইয়ের পড়াশোনা আর সামনে গেলোনা গিটারের নেশায়৷ রেয়াজুদ্দিন বাজারে মামার জুতোর দোকানে বসতে হয়, সারাদিন এর পায়ে-ওর পায়ে জুতো গলিয়ে সন্ধ্যায় লালখানবাজারে গিয়ে গুরু জ্যাকব ডায়াসের কাছে থাকা ইলেকট্রিক গিটারটা ছুঁয়ে দেখা৷ যতোটা পারা যায় প্র্যাক্টিস করে নেয়া। নিজের যে গিটার নেই! যখন যে ব্যান্ডে বাচ্চু বাজায় বাকি সবাই বিরক্ত। ছেলেটা সারাদিন প্র্যাক্টিস করতে চায়৷ সব গানে পার্টিসিপেট করতে চায়। কিন্তু সোলসের মত মেলো টাইপ ব্যান্ডে লিড গিটারিষ্টের সবসময় পার্টিসিপেশনের সুযোগটা কই? তাই যখন 'মন শুধু মন ছুঁয়েছে' রেকর্ড হয় তখন নিজের অংশগ্রহণ না থাকায় হাত নিশপিশ করতে থাকা বাচ্চু পুরো গানে দুইটা কাঠের টুকরো বাজিয়ে গেলো যা মূল গানের ব্যাকগ্রাইন্ডে এখনো শুনতে পারবেন পুরোটা সময়। এসবই হলো প্রতিভার স্ফুরণ! </p><p><br /></p><p>বাচ্চু ভাই নিজে কিছু গাইতে চান, সোলসে রথী-মহারথীদের ভীড়ে চান্স হয়না৷ কি করা যায়? সলো করা যাক! চট্টগ্রাম হকার মার্কেটে জাহেদ ইলেকট্রনিক্সের মূল ব্যবসা শেফালী ঘোষ-শ্যামসুন্দর বৈষ্ণবের আঞ্চলিক গান, মাইজভান্ডারী, মোহসিন আউলিয়া, ওরসের গান বেচা। মরিয়া বাচ্চু তাদের দূর্বল রেকর্ডিংয়েই দুটো এলবাম করে ফেললেন। কোন লাভ হলোনা। আসতে পারলেন না পাদপ্রদীপের আলোয়। অন্যদিকে সোলসের সাউন্ডে যে ডিসটর্শন চান তা পান না। বুঝলেন ঢাকামুখী হতে হবে৷ আলাউদ্দিন আলীদের সাথে কিছু সিনেমার কাজ করে সঙ্গীত পরিচালনা আর সুরের ব্যাপারে অনেক দৃষ্টি প্রসারিত হলো৷ এভাবেই তপন চৌধুরী থেকে জুয়েল অনেকের ডেব্যু হিট এলবামের পিছনের কারিগর হলেন বাচ্চু ভাই৷ কিন্তু সুরকার-সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে ক্যাসেটের কাভারে ব্যবহার করতেন ছদ্মনামঃ রবিন। </p><p><br /></p><p>শেষ পর্যন্ত পাততারি গুটিয়ে এলেন ঢাকায়৷ ততোদিনে কিছুটা পরিচয় হয়েছে৷ সোলস ছেড়ে দিয়েছেন। বিয়েও করেছেন বরিশালের মেয়ে। দেশের প্রথম আবাসিক ব্যান্ড এলআরবি শুরু হলো৷ ফুলটাইম আবাসিক আর ফুলটাইম জ্যামিং করা ব্যান্ড। চৌধুরীপাড়ার দুই রুমের বাসার এক রুমে বাচ্চু ভাই থাকতো বউ সহ, আরেক রুমে তাঁরই ছাত্র স্বপন, জয় আর সিইউতে থাকতে ফিলিংসে বাজানো টুটুল। ( তখন জেমস-ফান্টি ব্যান্ড বাদ দিয়ে কানাডায় কামলা দিতে যাওয়ায় টুটুলের এলআরবিতে আসা) জয় বিদেশ গেলো দুই বছরের মাথায়, স্বপন থাকলো শেষদিনতক, টুটুল তানিয়ার সাথে বিয়ের পর নিজের ক্যারিয়ার গুছাতে চলে যায়। শেষদিন পর্যন্ত বাচ্চু ভাই টুটুলের জায়গায় কাউকে নেননি৷ কিবোর্ড ছাড়াই বাজিয়ে গেছে এলআরবি৷ </p><p><br /></p><p>বাচ্চু ভাই চিটাগাং এর ছেলে৷ চিটাগাং এর ছেলেরা বাস্তববাদী, দায়িত্বশীল আর সংসারী হয়। বাচ্চু ভাইও আজীবন তাই ছিলেন। ব্যবসা এখানে ধর্ম, অস্থিরতা বা পাগলামীর কোন স্থান নেই এখানকার সমাজে। তাই একজন রকষ্টারের অস্থিরতা বুকে ধারণ করে সংসারের সাথে আপস করার কঠিন দ্বন্দযুদ্ধ লড়তে লড়তেই বাচ্চু ভাইয়ের সংগ্রামী জীবন ফুরিয়ে গেছে। না হতে পেরেছেন মুক্ত বিহঙ্গ, না পেয়েছেন পাতানো সংসারে সুখ! বাচ্চু ভাইরা কখনো দায়িত্বের শিকল ছিড়ে মুক্ত আকাশে হারিয়ে যেতে পারেনা৷ মৃত্যুভিন্ন বাচ্চুদের মুক্তি নেই। বাচ্চু ভাই মুক্তি পেয়েছেন।</p><p><br /></p><p>(আজ বাচ্চু ভাইয়ের মৃত্যুর দুই বছর পূর্তি। </p><p>এই দিনটার জন্যও লোকটা একটা গান গেয়ে গেছেন। লিংকঃ</p><p>https://youtu.be/866zsqXqyXs</p>Apu Nazrulhttp://www.blogger.com/profile/04784453325710400219noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-2113593281604286693.post-38264096205397547142020-07-30T00:56:00.003-07:002020-07-30T00:56:54.727-07:00সকল সেলিব্রেটিদের খানা শেষ, মামুন-অফুর বাংলাদেশ! <div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiv615yPftlEtPZHIHLrT2JjX2KISKkSk-bd7Hx0Zs19xuPSZLCBI3iMUjbyfO6A-_cxVfkn8bH5KobsH2EQBGU9CROqILFOmhlNv3rnM7J0fA_YJhA_ShyEQ1C5hyphenhyphendDC9mRFPz4fje_cae/s1600/Screenshot_20200730-135448__01.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1071" data-original-width="1080" height="317" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiv615yPftlEtPZHIHLrT2JjX2KISKkSk-bd7Hx0Zs19xuPSZLCBI3iMUjbyfO6A-_cxVfkn8bH5KobsH2EQBGU9CROqILFOmhlNv3rnM7J0fA_YJhA_ShyEQ1C5hyphenhyphendDC9mRFPz4fje_cae/s320/Screenshot_20200730-135448__01.jpg" width="320" /></a></div>
সাকিব খান বা সাকিব আল হাসান না। এরাই বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি এক্টিভ ফ্যানওয়ালা সেলিব্রেটি! যাদের নামে থানায় থানায় ফ্যাব ক্লাব আছে!<br />
<br />
সাকিব খান বা সাকিব আল হাসান না। এরাই বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি এক্টিভ ফ্যানওয়ালা সেলিব্রেটি! যাদের নামে থানায় থানায় ফ্যাব ক্লাব আছে!<br />
<br />
সকল সেলিব্রেটিদের খানা শেষ, মামুন-অফুর বাংলাদেশ।<br />
<br />
নোয়াখালীর বার্বার শপে কাজ করা অপু 'অফু বাই' নামে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন লাইকি ও টিকটকে। অফুর উইয়ার্ড হাসি, ক্রিপি হেয়ারস্টাইল ও অদ্ভুত সব ডায়ালগের জন্য এই তরুণকে মূলত রোষ্ট করতে করতে বিখ্যাত বানিয়েছে ইউটিউবাররা। সেকারণেই সে অল্প সময়ের মধ্যেও রিচের দিক দিয়ে মামুনকেও ছাড়িয়ে গেছে। এখন সে ঢাকা এসে তার ফ্যানক্লাবের ফ্যানদের সাথে মিটআপ ও নতুন বান্ধবীদের সাথে ডেট করে বেড়াচ্ছে। তবে এই জগতেও আছে বিরোধ। তারই জের ধরে অফুর ফ্যানদের প্রিন্স মামুনের ফ্যানরা কদিন আগে মারধোর করেছে। এত কিছুর পরেও অফু বাই এর রিচ দিনকে দিন বেড়েই চলেছে।<br />
<br />
টিকটক লাইকির সুপারষ্টার বিশ বছর বয়সী প্রিন্স মামুনের ফলোয়ার দশ মিলিয়ন প্লাস বা এক কোটি সামথিং। সে টিকটক ও লাইকি এপে নেচে ও লিপ্সিং করে এত ভক্ত অর্জন করেছে। ঢাকার নানান গলি ঘুপচির মধ্যে নাচানাচি করে পপুলারিটি পেলেও তার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তার ফ্যানরা এখন দিয়াবাড়ি, আগারগাঁও, টিএসসি, লালবাগ কেল্লা ও হাতিরঝিলকে পরিণত করেছে টিকটক পাড়ায়। অদ্ভুত ড্রেস আপ ও হেয়ার স্টাইলের শত শত টিন এজার ও তরুণ-তরুণীদের আজকাল মামুনের মত খ্যাতি পাবার আশায় এসব জায়গায় পথচারীদের বিব্রত করে নাচাগানার শুটিং করতে দেখা যায়। পাবলিক ন্যুনসেন্স তৈরী ও ইভটিজিং এর দায়ে গত সপ্তায় মামুনকে দিয়াবাড়িতে স্থানীয় ছেলেরা মারধোরও করেছে। তারপরেও শ্রমজীবি ও কালচারালি ডিপ্রাইভড ইয়ংস্টারদের মধ্যে মামুনের জনপ্রিয়তা কমে নাই। বরং তার নামে এলাকায় এলাকায় ফ্যান ক্লাবের মিট আপ চলছে। ভক্তদের ভালোবাসায় সিক্ত হতে মামুনও তার হলুদ R15 বাইক নিয়ে হাজির হচ্ছেন সেখানে৷ হবেন না কেন? বহু স্কুল ও গার্মেন্টসগামী কিশোর কিশোরীর স্বপ্নের নায়ক যে এখন টেন মিলিয়ন সেলিব্রেটি প্রিন্স মামুন!<br />
<br />
যা লিখলাম এসব হলো আমার গত কয়েকদিনের ঘাটাঘাটিতে অর্জিত জ্ঞান। কিন্তু কিভাবে বা কেন এরা এত জনপ্রিয়তা পেলো? এই কোটি কোটি কিশোর কিশোরী কেন এদের মত উইয়ার্ড জিনিসপত্রকে আইডল মেনে নিচ্ছে?? এর কারণ আমার মতে সাংস্কৃতিক বঞ্চনা। বিপুল পরিমাণে শিশু কিশোর শ্রমজীবি আছে বাংলাদেশে যারা কালচারালি আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগছে৷ ছয় দিন কাজ করে সপ্তম দিনের ছুটিতে অংশগ্রহণ মূলক একটা বিনোদন মাধ্যম পেয়ে তারা তা আকড়ে ধরেছে৷ কারণ গুরুত্বহীন বঞ্চনার জীবনকে ভুলে এখানেই আছে নায়ক হবার সুযোগ। এদের সাথে যুক্ত হয়েছে অগভীর পারিবারিক মূল্যবোধের স্কুল কলেজে যাওয়া লাখ লাখ শিশু কিশোর যাদের বাবা মা কখনোই তাদের হাতে পড়ার বইয়ের বাইরের কোন বই হাতে তুলে দেয়নি, ঘুরতে নিয়ে যায়নি, খেলতে পাঠায়নি, পাশে বসিয়ে শোনায়নি কোন গল্প বা নীতিকথা। সর্বোপরি ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়, সচেতন বা অসচেতনভাবে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা বা বিনোদনের কোন ব্যবস্থাই করতে পারেনি। এদের অনেকেই খেলার মাঠ না পেলেও নিজের ব্যক্তিত্ব বিকাশের আগেই হাতে পেয়ে গেছে সেলফোন৷ তাই তথাকথিত সহজ জনপ্রিয়তার ট্রেন্ডি আর ফাংকি ব্যাপারগুলোই এদের মনোজগতের মনোযোগ পেয়েছে এবং দিনশেষে সেই ফাঁদেই পড়ে আছে বাচ্চাগুলো!<br />
<br />
মানুষের বিনোদন পিপাসী হৃদয় শূণ্যতা চায়না৷ তাই যেখানে পজেটিভ বিনোদন থাকবেনা সেখানে এ ধরণের বিনোদনেই শূণ্যতা পূরণ হবে। দেশ যে একটি সাংস্কৃতিক দূর্ভিক্ষ বা cultural famine এর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে টিকটক চর্চা ও টিকটক সেলিব্রেটিদের উত্থান তারই প্রমাণ।<br />
<br />
এদের কারো সক্ষমতাকে আমি খাটো করছিনা। যে টিন স্পিরিট, স্বতস্ফুর্ততা আর প্রতিভার ছাপ এদের কর্মযজ্ঞে দেখেছি তা প্রশংসার দাবী রাখে৷ কিন্তু এই প্রতিভার সাথে সুসংস্কৃতি ও সুশিক্ষার চর্চার সুযোগ পেলে এদের প্রতিভা আরো বিকশিত হতো এবং কয়েকদিন পর হুট করে স্বর্গ থেকে মর্ত্যে পতনের অভিজ্ঞতাটা ওদের হতোনা বলে আফসোসটা থেকেই যাচ্ছে! তারপরেও রইলো শুভকামনা!<br />
<br />
অপু নজরুল<br />
২৯-০৭-২০<br />
নোয়াখালীর বার্বার শপে কাজ করা অপু 'অফু বাই' নামে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন লাইকি ও টিকটকে। অফুর উইয়ার্ড হাসি, ক্রিপি হেয়ারস্টাইল ও অদ্ভুত সব ডায়ালগের জন্য এই তরুণকে মূলত রোষ্ট করতে করতে বিখ্যাত বানিয়েছে ইউটিউবাররা। সেকারণেই সে অল্প সময়ের মধ্যেও রিচের দিক দিয়ে মামুনকেও ছাড়িয়ে গেছে। এখন সে ঢাকা এসে তার ফ্যানক্লাবের ফ্যানদের সাথে মিটআপ ও নতুন বান্ধবীদের সাথে ডেট করে বেড়াচ্ছে। তবে এই জগতেও আছে বিরোধ। তারই জের ধরে অফুর ফ্যানদের প্রিন্স মামুনের ফ্যানরা কদিন আগে মারধোর করেছে। এত কিছুর পরেও অফু বাই এর রিচ দিনকে দিন বেড়েই চলেছে।<br />
<br />
টিকটক লাইকির সুপারষ্টার বিশ বছর বয়সী প্রিন্স মামুনের ফলোয়ার দশ মিলিয়ন প্লাস বা এক কোটি সামথিং। সে টিকটক ও লাইকি এপে নেচে ও লিপ্সিং করে এত ভক্ত অর্জন করেছে। ঢাকার নানান গলি ঘুপচির মধ্যে নাচানাচি করে পপুলারিটি পেলেও তার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তার ফ্যানরা এখন দিয়াবাড়ি, আগারগাঁও, টিএসসি, লালবাগ কেল্লা ও হাতিরঝিলকে পরিণত করেছে টিকটক পাড়ায়। অদ্ভুত ড্রেস আপ ও হেয়ার স্টাইলের শত শত টিন এজার ও তরুণ-তরুণীদের আজকাল মামুনের মত খ্যাতি পাবার আশায় এসব জায়গায় পথচারীদের বিব্রত করে নাচাগানার শুটিং করতে দেখা যায়। পাবলিক ন্যুনসেন্স তৈরী ও ইভটিজিং এর দায়ে গত সপ্তায় মামুনকে দিয়াবাড়িতে স্থানীয় ছেলেরা মারধোরও করেছে। তারপরেও শ্রমজীবি ও কালচারালি ডিপ্রাইভড ইয়ংস্টারদের মধ্যে মামুনের জনপ্রিয়তা কমে নাই। বরং তার নামে এলাকায় এলাকায় ফ্যান ক্লাবের মিট আপ চলছে। ভক্তদের ভালোবাসায় সিক্ত হতে মামুনও তার হলুদ R15 বাইক নিয়ে হাজির হচ্ছেন সেখানে৷ হবেন না কেন? বহু স্কুল ও গার্মেন্টসগামী কিশোর কিশোরীর স্বপ্নের নায়ক যে এখন টেন মিলিয়ন সেলিব্রেটি প্রিন্স মামুন!<br />
<br />
যা লিখলাম এসব হলো আমার গত কয়েকদিনের ঘাটাঘাটিতে অর্জিত জ্ঞান। কিন্তু কিভাবে বা কেন এরা এত জনপ্রিয়তা পেলো? এই কোটি কোটি কিশোর কিশোরী কেন এদের মত উইয়ার্ড জিনিসপত্রকে আইডল মেনে নিচ্ছে?? এর কারণ আমার মতে সাংস্কৃতিক বঞ্চনা। বিপুল পরিমাণে শিশু কিশোর শ্রমজীবি আছে বাংলাদেশে যারা কালচারালি আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগছে৷ ছয় দিন কাজ করে সপ্তম দিনের ছুটিতে অংশগ্রহণ মূলক একটা বিনোদন মাধ্যম পেয়ে তারা তা আকড়ে ধরেছে৷ কারণ গুরুত্বহীন বঞ্চনার জীবনকে ভুলে এখানেই আছে নায়ক হবার সুযোগ। এদের সাথে যুক্ত হয়েছে অগভীর পারিবারিক মূল্যবোধের স্কুল কলেজে যাওয়া লাখ লাখ শিশু কিশোর যাদের বাবা মা কখনোই তাদের হাতে পড়ার বইয়ের বাইরের কোন বই হাতে তুলে দেয়নি, ঘুরতে নিয়ে যায়নি, খেলতে পাঠায়নি, পাশে বসিয়ে শোনায়নি কোন গল্প বা নীতিকথা। সর্বোপরি ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়, সচেতন বা অসচেতনভাবে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা বা বিনোদনের কোন ব্যবস্থাই করতে পারেনি। এদের অনেকেই খেলার মাঠ না পেলেও নিজের ব্যক্তিত্ব বিকাশের আগেই হাতে পেয়ে গেছে সেলফোন৷ তাই তথাকথিত সহজ জনপ্রিয়তার ট্রেন্ডি আর ফাংকি ব্যাপারগুলোই এদের মনোজগতের মনোযোগ পেয়েছে এবং দিনশেষে সেই ফাঁদেই পড়ে আছে বাচ্চাগুলো!<br />
<br />
মানুষের বিনোদন পিপাসী হৃদয় শূণ্যতা চায়না৷ তাই যেখানে পজেটিভ বিনোদন থাকবেনা সেখানে এ ধরণের বিনোদনেই শূণ্যতা পূরণ হবে। দেশ যে একটি সাংস্কৃতিক দূর্ভিক্ষ বা cultural famine এর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে টিকটক চর্চা ও টিকটক সেলিব্রেটিদের উত্থান তারই প্রমাণ।<br />
<br />
এদের কারো সক্ষমতাকে আমি খাটো করছিনা। যে টিন স্পিরিট, স্বতস্ফুর্ততা আর প্রতিভার ছাপ এদের কর্মযজ্ঞে দেখেছি তা প্রশংসার দাবী রাখে৷ কিন্তু এই প্রতিভার সাথে সুসংস্কৃতি ও সুশিক্ষার চর্চার সুযোগ পেলে এদের প্রতিভা আরো বিকশিত হতো এবং কয়েকদিন পর হুট করে স্বর্গ থেকে মর্ত্যে পতনের অভিজ্ঞতাটা ওদের হতোনা বলে আফসোসটা থেকেই যাচ্ছে! তারপরেও রইলো শুভকামনা!<br />
<br />
অপু নজরুল<br />
২৯-০৭-২০</div>
Apu Nazrulhttp://www.blogger.com/profile/04784453325710400219noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-2113593281604286693.post-57317165216687963552020-07-13T04:41:00.002-07:002020-07-13T04:41:13.982-07:00চুতিয়া সমাচার<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
চুতিয়া সমাচার<br />
<br />
কয়েক বছর আগে আসামের গুয়াহাটি শহরে পদব্রজে ভ্রমণের সময় শহরের ব্যস্ততম ফেন্সীবাজারে রাস্তার ধারে অসমিয়া ভাষায় লেখা এক দেয়াল লিখনে চোখ আটকে যায়। অসমিয়া বর্ণমালা প্রায় বাংলার মতোই তাই পড়া ও বুঝা যায়। দেয়ালে লিখা ছিলো 'চুতিয়া সন্মিলন' এ যোগদানের আহবান। ব্যাপারটা আজব লেগেছিলো!<br />
<br />
সেইসময় ইন্ডিয়ান সিম একটিভ না থাকায় ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলাম তাই তাৎক্ষণিকভাবে কিছুই জানা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি নিউজ নজরে পড়ে। নিউজটি আপনাদের জন্য শেয়ার করছি:<br />
<br />
"নামের সঙ্গে ‘চুতিয়া’ শব্দটি থাকলেই অ্যাকাউন্ট বাতিল করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে ফেসবুকের বিরুদ্ধে।<br />
শব্দটি উপমহাদেশে গালি হিসাবে ব্যবহৃত হওয়ায় অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে, তবে এ নিয়ে বিপাকে পড়ছেন আসাম রাজ্যের ‘চুতিয়া’ সম্প্রদায়ের লোকজন। ‘দ্যা অল আসাম চুতিয়া স্টুডেন্ট ইউনিয়ন’ বা আসাকসু অভিযোগ করেছে তাদের সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেয়া হয়েছে। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জ্যোতি প্রসাদ চুতিয়া জানান, ফেসবুক আমাদের ‘চুতিয়া’ সম্প্রদায়ের সব সদস্যের অ্যাকাউন্ট বাতিল করে দিয়েছে, নামের শেষে চুতিয়া শব্দটি থাকায় ফেসবুক এটিকে গালি বা মিথ্যা শব্দ মনে করে হয়ত অ্যাকাউন্টগুলো বাতিল করছে। ফেসবুক জানেনা যে ‘চুতিয়া’ হচ্ছে আসামের একটি উপজাতি। অথচ জাতীয় ইতিহাসে আমাদের এ উপজাতির ইতিহাস অনেক গৌরবমণ্ডিত। চুতিয়া সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা এ ঘটনায় কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বলেছে, এ ঘটনাটি আমাদের উপজাতি সম্প্রদায়ের জন্য সম্মানহানির। শিক্ষার্থীরা এ ঘটনায় গুয়াহাটিতে এক মিটিংয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘চুতিয়া’ কমিউনিটির ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।"<br />
<br />
চুতিয়ারা বাস করে মধ্য আসাম ও অরুণাচলের কাছাকাছি উত্তর আসামে। ডিব্রুগড়, শোণিতপুর, জোড়হাট, সাদিয়া ও তিনশুকিয়াতে সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ লাখ চুতিয়ার বাস। চুতিয়াদের আছে সমৃদ্ধ ইতিহাস। দশম থেকে পঞ্চদশ শতক পর্যন্ত প্রায় ৫০০ বছর তারা স্বাধীন চুতিয়া রাজ্যে বসবাস করতো। এ সময় আশেপাশের নানা জনজাতির সাথে নানা যুদ্ধে জয়লাভ করেই তারা তাদের স্বাধীনতা টিকিয়ে রেখেছিলো। তাদের বীরাঙ্গনার নাম সতী সাধনী। বহুদিন ধরেই চুতিয়া জাতি ডিব্রুগড়ে ব্রহ্মপুত্র নদের উপর নির্মানাধীন ভারতের সর্ববৃহৎ দোতলা সেতুর (বগীবিল সেতু) নামকরণ সতী সাধনী সেতু করার দাবী করে আসছে।<br />
<br />
এক দেশের গালি আরেক দেশের বুলি। যেমন ভুটানে গেলে মেয়েদের সবচে কমন নাম হলো Choden! যাই হোক এরপরের বার আসাম গেলে একটা না একটা চুতিয়া বন্ধু জুটিয়ে আসতে হবে!<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjM0DCo8azyjRkX6SU3csNj54su7ttcdfvYql6HgqFr89oSkoKV9WF8-C02HSSO0UX6My1p37AqsbySXmA4Xi4I7FIaNdEeM7dx2okTshbGpRHkJhMD6v1w0rlPFRwVOZFVgr1xQwgm9vEi/s1600/images+%252863%2529.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="480" data-original-width="639" height="240" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjM0DCo8azyjRkX6SU3csNj54su7ttcdfvYql6HgqFr89oSkoKV9WF8-C02HSSO0UX6My1p37AqsbySXmA4Xi4I7FIaNdEeM7dx2okTshbGpRHkJhMD6v1w0rlPFRwVOZFVgr1xQwgm9vEi/s320/images+%252863%2529.jpeg" width="320" /></a></div>
</div>
Apu Nazrulhttp://www.blogger.com/profile/04784453325710400219noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-2113593281604286693.post-43186449208443121712020-07-03T14:32:00.001-07:002020-07-03T14:32:56.796-07:00<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg8ukb-X_mGQlnXBssOW3Kaa0lneXr75jqZ5zuUSP3J96C3mGHxUSO8cL9-NfoCRGgdvGqqnLVJnHUC0wnE2JPJ8rGrYbLUl7OaZgPNbX091NJha0fA5wbkkQk_NaeMZxcZnhFajQYg7_2U/s1600/FB_IMG_1593811911023.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="465" data-original-width="1080" height="137" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg8ukb-X_mGQlnXBssOW3Kaa0lneXr75jqZ5zuUSP3J96C3mGHxUSO8cL9-NfoCRGgdvGqqnLVJnHUC0wnE2JPJ8rGrYbLUl7OaZgPNbX091NJha0fA5wbkkQk_NaeMZxcZnhFajQYg7_2U/s320/FB_IMG_1593811911023.jpg" width="320" /></a></div>
ছবিটি আমার প্রিয় একটি এপিটাফের। ছোটবেলা থেকেই চট্টগ্রামের কাট্টলী অঞ্চলের এই কবরের পাশ দিয়ে নিয়মিত চলাফেরা করেছি, অনেক সময় দিনে একাধিকবারও। উনার সম্পর্কে কিছুই জানতাম না তখন, শুধুমাত্র উনার এপিটাফ পড়ে উনাতে মুগ্ধ হয়েছিলাম। জীবিতাবস্থায় এতো চমৎকার একটি হৃদয় ছোয়া এপিটাফ যিনি রচনা করেছেন তার সম্বন্ধে নিঃসন্দেহে ধারণা করা যায় যে তিনি একজন জ্ঞানী, মহান, উদার ও আধুনিক দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ব্যাক্তি ছিলেন। তাঁর জীবনের কিছু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অধ্যায় সবার সাথে শেয়ার করছি। <br />
<br />
মরহুম মুফতি মাওলানা তমিজুর রাহমান ছিলেন উপমহাদেশের বিখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ, ইতিহাসবিদ, বাংলা, উর্দু, ফার্সি ও আরবিতে সমান দক্ষতা থাকায় তাঁকে বহুভাষাবিদও বলা যেতে পারে। তিনি বহু কিতাব রচনা করেন যেগুলো কালের গর্ভে সংরক্ষণের অভাবে হারিয়ে গেছে। তিনি মহাকবি ইকবালের শিকওয়া ও জবাবে শিকওয়া কাব্যগ্রন্থদ্বয়ের বাংলা অনুবাদ করেন। তাছাড়া ইকবালের আরেক মহান কাব্য "আশরারে খুদি ও রামুজে বেখুদি" বাংলায় অনুবাদ করে তিনি বিদ্যান মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। প্রকাশিত কিতাব ছাড়াও তাঁর আরো অনেক অনুবাদের পান্ডুলিপি তাঁর মৃত্যুর পর যথাযত সংরক্ষণের অভাবে হারিয়ে যায়।<br />
<br />
ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হলেও তিনি একজন আধুনিক দৃষ্টিসম্পন্ন ব্যাক্তি ছিলেন। একজন মুফতি হিসেবে বহু বিতর্কিত বিষয়ে গ্রহনযোগ্য ফতোয়া বা সমাধান দিয়ে তিনি তৎকালীন আলেম সমাজে সুনাম অর্জন করেছিলেন। <br />
<br />
কাট্টলী নূরুল হক স্কুল স্থাপনের অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন তিনি। তাছাড়া আন্দরকিল্লা শাহী মসজিদের বেদখল হয়ে যাওয়া বহু জমি মামলা লড়ে এবং বিভিন্ন দলিল-দস্তাবেজ পূণরুদ্ধারের মাধ্যমে উদ্ধার করে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।<br />
<br />
বৃটিশ আমলে কবি নজরুলের সাথে তাঁর পত্র যোগাযোগ ছিলো৷ কবি চট্টগ্রাম আসলে তিনি তাঁকে কাট্টলী গ্রামে আমন্ত্রণ জানান এবং বিশাল সংবর্ধনা দেন। নজরুলের আগমণ উপলক্ষ্যে তিনি একটি বিশাল কবিতা রচনা করেন যা নজরুল সংবর্ধনায় তিনি পাঠ করেন। কবিতাটির একাংশ নিন্মে উল্লেখ করা হল,<br />
<br />
" আজ আমাদের গুলশানেতে<br />
ফুল ফুটেছে শীতকালে,<br />
অগ্নিবীণার বুলবুলিটি<br />
গাইঁবে গজল ডালে ডালে!<br />
...........................<br />
<br />
আয়রে দোয়েল, আয় পাপিয়া<br />
ভক্তি গুলের হার গাঁথিয়া,<br />
আগমনীর নজরানা দে<br />
বিশ্বকবি নজরুল গলে!<br />
গরীব দেশে আর কি আছে<br />
তৌফা দিতে চরণতলে?"<br />
<br />
তাঁর জন্ম যে বাড়িতে সে বাড়ি আজো তমিজ বাড়ি নামে পরিচিত। পরবর্তীকালে সে বাড়িতে জহুর আহমেদ চৌধুরীর মতো মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারী মহান নেতার জন্ম হয়। তিনি বাংলাদেশের প্রথম শ্রমমন্ত্রী ছিলেন এবং তাঁর নামে জহুর হকার্স মার্কেট ও বিভাগীয় স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হয়। তারপরও তমিজ সাহেবের নামেই আজো সেই বাড়িটি পরিচিত। অথচ আজকাল এই মহান ব্যাক্তির জীবন ইতিহাস সম্পর্কে তেমন কোন সচেতনতা পরিলক্ষিত হচ্ছেনা।<br />
<br />
১৮৭৮ সালে জন্ম নেয়া মহান এই ব্যাক্তি ১৯৫০ সালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পূর্বেই তিনি তাঁর এপিটাফটি লিখে যান, এবং তাঁর অছিয়ত অনুসারে তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর কবরে এপিটাফটি স্থাপিত হয়!<br />
<br />
এপিটাফটি নিন্মরূপঃ<br />
<br />
"এ পথে গমণকালে ওহে বন্ধুগণ<br />
নিরাশ্রয় তমিজেরে করিও স্মরণ<br />
দাঁড়াইয়া সমাধির পাশে দয়া করে<br />
দোয়া করিবেন মম মুক্তির তরে!"<br />
<br />
**লেখাটি ২০১২ সালে লিখেছিলাম, আজ খুঁজতে গিয়ে দেখলাম লেখাটি এই আইডি থেকে পোষ্ট দেয়া হয়নি৷ তাই দিয়ে রাখলাম। তথ্যের জন্যে রফিক আহমেদ চৌধুরীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।</div>
Apu Nazrulhttp://www.blogger.com/profile/04784453325710400219noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-2113593281604286693.post-12912578765088452332020-07-03T14:16:00.002-07:002020-07-03T14:16:37.398-07:00<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgKSUMRGPNpboJ3tF5MHO66S0-CJgg5CXMqB9Z6AHUleEdLv3CikzxDkWMoiatwcfVck7gRx5Fmj9ElG2fyba8qtzuZGm4A4lx8QGCEE1fV2tCu3YY-I5XU-xofxo9cT2MKE0wrkFsLMw6P/s1600/FB_IMG_1593810910255.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="960" data-original-width="709" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgKSUMRGPNpboJ3tF5MHO66S0-CJgg5CXMqB9Z6AHUleEdLv3CikzxDkWMoiatwcfVck7gRx5Fmj9ElG2fyba8qtzuZGm4A4lx8QGCEE1fV2tCu3YY-I5XU-xofxo9cT2MKE0wrkFsLMw6P/s320/FB_IMG_1593810910255.jpg" width="236" /></a></div>
আজ ছিলো এভারেষ্ট দিবস। নিউজিল্যান্ডের নাগরিক এডমুন্ড হিলারী (পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশে নিউজিল্যান্ডের হাইকমিশনারও ছিলেন) আর শেরপা তেনজিন নোরগের ১৯৫৩ সালে এভারেষ্ট চূড়া আরোহণের ৬৭তম বার্ষিকী। তবে ভাগ্য সহায় হলে আরো অনেক আগেই এভারেষ্ট আরোহন করে ইতিহাসের খাতায় নাম লেখাতে পারতেন জর্জ ম্যালোরি। ভাগ্য বিড়ম্বিত এই পথিকৃত পর্বতারোহী ১৯২৪ সালে তাঁর তৃতীয় এভারেষ্ট অভিযানে সঙ্গী আরভিনসহ নিখোজ হয়েছিলেন। যোগাযোগহীনতার সে যুগে নিশ্চিত হওয়া যায়নি নিখোঁজ হবার সময় তিনি চূড়ায় উঠছিলেন নাকি সামিট শেষে ফিরে আসছিলেন। তারপর কত নদী সরোবর হিমালয়ের বরফ গলা জলে সিক্ত হলো, কত ঝড়-ঝঞ্ঝা ছুঁয়ে গেলো হিমালয়ের হিমশীতল কোল, কেটে গেলো অনেক অনেক বছর। শুভ্র হিমবাহের ধবল দীপ্তিমাখা হিম বহুবছর আগলে রাখলো ম্যালোরীর মৃতদেহ। অবশেষে ১৯৯৯ সালে গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কাছে হার মেনে বরফ গলে ম্যালোরির মৃতদেহ দৃশ্যমান হলো। ১৮৮৬ তে জন্ম নেয়া ম্যালোরির বয়স ১৯২৪ সালে ছিলো ৩৮। নিহত হবার আরো ৭৫ বছর পর ১৯৯৯ সালে ম্যালোরির ১১৩ বছরের পুরোনো দেহখানা যখন আবিস্কৃত হলো হিমাঙ্কের নিচের ফ্রিজিং টেম্পারেচারে তখনো প্রকৃতি মাতা তুষারের চাদর বিছিয়ে রেখে তাঁকে সংরক্ষণ করে রেখেছে একদম অবিকৃতভাবে। অথচ ইতিমধ্যে তারই পরবর্তী দু'প্রজন্ম স্বাভাবিক পৃথিবীর আলো-হাওয়ায় জীবন ধারণ শেষে জরাক্রান্ত হয়ে/অপঘাতে পরমায়ু ফুরিয়ে ঠাই নিয়েছে কবরে। নিজস্ব নিয়মেই তাদের দেহবশেষও গ্রাস করে নিয়েছে প্রকৃতি। মাটির পৃথিবীতে মাটি হয়ে হারিয়ে গেছে তারা!<br />
<br />
আচ্ছা আরেকটু বুঝিয়ে বলি; ধরে নিলাম ২৫ বছর বয়সী এক পর্বতারোহী হারিয়ে গেলেন পর্বতগাত্রে তার ১ বছরের পিতার স্মৃতিহীন সন্তানকে রেখে, হয়তো ৭৫ বছর পর কোন উদ্ধারকারী দল সেই পিতার তুষারের হিমঘরে অবিকৃত হয়ে থাকা লাশকে উদ্ধার করলো। ৭৫ বছর বয়সী সন্তান যখন পিতার লাশের মুখোমুখি হবে কি অদ্ভুত অনুভূতিটাই না তার হবে! তার সামনে যে পিতার লাশ মহাকালের সাপেক্ষে তার বয়স ১০০ কিন্তু তার চেহারা বলছে সেটি আটকে গেছে পঁচিশে! এ যেন পরাবাস্তবতার মুখোমুখি দাড়ানো, মুখে বলিরেখার ত্রিকোণমিতি আঁকা ৭৫ বছরের বৃদ্ধ পুত্রের সামনে এ যেন ২৫ বছরের সতেজ তরুণ পিতা! প্রকৃতির কোন নিয়ম নেই, প্রকৃতি চলে তার আপন খেয়ালেঃ হিমালয়ের হিম আলয়ে মৃত্যুর আনাগোনা থাকলেও বার্ধক্যের জরা ছুতে পারেনা কাউকে। দেবাত্মা হিমালয়ে তাই আজো অমরত্বের হাতছানি, তাই হয়তো ছুটে যেতে হয় বারে বারে।<br />
<br />
(৭৫ বছর পর ম্যালোরীকে উদ্ধারের ভিডিওটাও দিলাম, এটা না দেখলে ফিল পাবেন না। ম্যালোরী আর তার কন্যার একটা ছবিও দিলাম। ম্যালোরীর মৃতদেহ যখন ৭৫ বছর পর হিমালয়ের হিমঘর থেকে অবিকৃত উদ্ধার হলো তারও অনেক আগেই সেই শিশু বৃদ্ধা হয়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন অন্য পৃথিবীতে৷ একারণেই হয়তো লোককথায়, ধর্মে, মিথে বলে হিমালয় দিতে পারে চিরতারুণ্য। আসলেই পারে, তবে মৃত্যুই হলো সেই চিরতারুণ্যের দুয়ার!)<br />
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgDgnwCqQ_oeccfrXvIYfEJdVUr4Dmw8tu9w8xsAgynDEgPg51mQF5dk3QlXzQKOWS549KxVSRzCScAl_iJtuIM_F8fT8NNeIViU-RvfdMddslDQXsouSTpKkyoSOw3WVvMFTLlSiyi2I2c/s1600/FB_IMG_1593810916347.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="300" data-original-width="400" height="240" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgDgnwCqQ_oeccfrXvIYfEJdVUr4Dmw8tu9w8xsAgynDEgPg51mQF5dk3QlXzQKOWS549KxVSRzCScAl_iJtuIM_F8fT8NNeIViU-RvfdMddslDQXsouSTpKkyoSOw3WVvMFTLlSiyi2I2c/s320/FB_IMG_1593810916347.jpg" width="320" /></a></div>
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEin-eZEsGSLaBDxinB3vH5m-3r3sNwoD7HGUCfoog2aUHr9PcCWktqQJ1w6urrgX23sQJPwPKzKq3Pjx2s_xhNuI1_HV7Q4BNlXJeX_HKLKwkHL4roCb4CF-JVo5kQj0SbG557LMxNqaq-q/s1600/FB_IMG_1593810912655.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="578" data-original-width="530" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEin-eZEsGSLaBDxinB3vH5m-3r3sNwoD7HGUCfoog2aUHr9PcCWktqQJ1w6urrgX23sQJPwPKzKq3Pjx2s_xhNuI1_HV7Q4BNlXJeX_HKLKwkHL4roCb4CF-JVo5kQj0SbG557LMxNqaq-q/s320/FB_IMG_1593810912655.jpg" width="293" /></a></div>
<br /></div>
Apu Nazrulhttp://www.blogger.com/profile/04784453325710400219noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-2113593281604286693.post-49771430979361080382020-07-03T14:14:00.001-07:002020-07-03T14:14:09.563-07:00"বইবিহীন লোক মানুষই হয়না"<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEicEnYNpt3fUWxOBLKFg-gn85bqkA7inLmbsTNoJAnAfyXuMYXorO2rl32U3MM3dGyAzPBNrcf-RqS-ZtwafIo3NPq7RU-ueggqEx5aftBNn7ZsnGKGMHz3vU8fPamaWvm-oO0_3hGSs8Qs/s1600/FB_IMG_1593810748242.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="810" data-original-width="1080" height="240" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEicEnYNpt3fUWxOBLKFg-gn85bqkA7inLmbsTNoJAnAfyXuMYXorO2rl32U3MM3dGyAzPBNrcf-RqS-ZtwafIo3NPq7RU-ueggqEx5aftBNn7ZsnGKGMHz3vU8fPamaWvm-oO0_3hGSs8Qs/s320/FB_IMG_1593810748242.jpg" width="320" /></a></div>
আমি কোনদিনই সে অর্থে ফটোগ্রাফার না। তবু কয়েকবছর আগে আমার একটা ছবি দেখে আনন্দ পেয়ে এক ভদ্রলোক কিছু অর্থ উপহার হিসেবে দিতে চাইলেন। আমি বিনীতভাবে প্রত্যাখান করায় তিনি তাঁর গ্রামে আতিথ্য গ্রহণের আমন্ত্রণ জানান। ঘুরতে আমার কখনোই না নাই, তাই অজানা অচেনা একটা মানুষের আমন্ত্রণে চলে গিয়েছিলাম বিক্রমপুরে। যাবার পথে ভদ্রলোক টিফিন ক্যারিয়ার খুলে খাওয়ালেন ঘরে তৈরী সুস্বাদু ফুলকপির বড়া। আমি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শুনে উনি জানালেন উনার মেয়েও ঢাবিতে চারুকলায় পড়ে। খুব নাকি বিখ্যাত, নাম অমুক। চিনি কিনা জানতে চাইলেন। আমি না চিনতে পারায় বেশ হতাশ হলেন ভদ্রলোক! তাঁর হতাশ মুখে সেদিন আমি দেখেছিলাম কন্যাকে নিয়ে গর্বিত এক বাবাকে! বাস থেকে নামার পর ইছাপুরা বাজারে মিষ্টি খাওয়ালেন উনার এক ভাবশিষ্য। তখনই জানলাম উনি কমিউনিষ্ট পার্টি মুন্সিগঞ্জ জেলার সেক্রেটারী ছিলেন। তারপর পদব্রজে ভ্রমণ শুরু।সেদিন দুজনে মিলে হেটেছিলাম গ্রামের পর গ্রাম। ঘুরিয়ে দেখিয়েছিলেন কাকলদী, মালবদী, মালখানগর স্কুল, বুদ্ধদেব বসুর বাড়ি, মানিকের বাড়ি, সুবচনী খালসহ নানা দ্রষ্টব্য স্থান। পথে তিনি এখানে থামেন, সেখানে থামেন। গল্প জুড়ান কৃষকের সাথে, বাজারের দোকানীর সাথে, নারী নেত্রীর সাথে। কথায় কথায় নিজেকে দাবী করছিলেন 'মফিজ কবি' হিসেবে। গর্ব করে বলছিলেন তার প্রকাশনী থেকে অধ্যবধি লস হবে জেনেও প্রকাশ করেছেন ৬০০ কবিতার বই। বলছিলেন তার ভ্রমণের গল্প। আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তেতুলিয়ায় তার গড়া কোন এক অজ্ঞাতবাসে! যার নাম দিয়েছেন শুদ্ধ চর্চা কেন্দ্র। (প্রথম ছবি) বললেন তাঁর স্বপ্ন সারাদেশেই তিনি গড়বেন এরকম অনেকগুলো শুদ্ধ চর্চা কেন্দ্র যেখানে কবি-সাহিত্যিক, সংস্কৃতিসেবী, ভাবুকরা গিয়ে নিশ্চিন্তে চিন্তা ভাবনা করবেন বিনে পয়সায়। পরের ব্রাঞ্চ খুলতে চান কুয়াকাটায়। ভাবনার জন্য নাকি সাগর জরুরী! সারাদিন ঘুরে, ভরপেট পোলাও-কোর্মা সাটিয়ে ফেরার সময় কয়েকটা বই উপহার দিয়েছিলেন। (তৃতীয় ছবি) বলেছিলেন যোগাযোগ রাখতে। ফেসবুকে লাইক-কমেন্ট দিতে। ষাট ছুঁই ছুঁই ভদ্রলোকের এই ছেলেমানুষি আবদারে হেসে ফেলেছিলাম। তারপর বহু দিন গড়িয়ে গেছে। জাগতিক ব্যস্ততায় তেতুলিয়ায় উনার অজ্ঞাতবাসে আর যাওয়া হয়ে উঠেনি। যোগাযোগও রাখা হয়নি কয়েক বছর। গতবছর এই দিনে হঠাৎ সকল টিভি চ্যানেল-পত্রিকা মারফত জানলাম বোকাসোকা পাগল লোকটাকে নিজ গ্রামে দিনেদুপুরে বোমা ফাটিয়ে গুলি করে খুন করেছে তথাকথিত ঈশ বা নব্য জেএমবি। কারণ লোকটা নাকি নাস্তিক ছিলেন।<br />
<br />
লোকটার একটা কথা এখনো কানে বাজে,<br />
"বইবিহীন লোক মানুষই হয় না!"<br />
<br />
লোকটার নাম শাহজাহান বাচ্চু!<br />
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjq6ogwnB-VFtSbaW47qKuLJCzXT3Q2gWk56waUNnznss-ydfhylYe44-t47bMN3WSZaVVZ2YV7_iOgRC1COZ6QT47guQneoFSeCxJ-aLQoE3TnI0O4fJgQ-NeyO9RXRWFHrRf33ypAt0CB/s1600/FB_IMG_1593810745793.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1024" data-original-width="616" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjq6ogwnB-VFtSbaW47qKuLJCzXT3Q2gWk56waUNnznss-ydfhylYe44-t47bMN3WSZaVVZ2YV7_iOgRC1COZ6QT47guQneoFSeCxJ-aLQoE3TnI0O4fJgQ-NeyO9RXRWFHrRf33ypAt0CB/s320/FB_IMG_1593810745793.jpg" width="192" /></a></div>
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh6YyZsFN6v-KzTFQl3kqhrw0qRk8LuUlEy8Sgw9W6Idzf134Lvi_ka1MsnydLDiXBBBgfHDA4OAbGdJcXZ4HkoFynTy6duDyFQkCtPtKxCuSmzu-tHwTH6lhMU1g2F8MNnB0zJTxMiDNyO/s1600/FB_IMG_1593810750676.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1268" data-original-width="1080" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh6YyZsFN6v-KzTFQl3kqhrw0qRk8LuUlEy8Sgw9W6Idzf134Lvi_ka1MsnydLDiXBBBgfHDA4OAbGdJcXZ4HkoFynTy6duDyFQkCtPtKxCuSmzu-tHwTH6lhMU1g2F8MNnB0zJTxMiDNyO/s320/FB_IMG_1593810750676.jpg" width="272" /></a></div>
<br /></div>
Apu Nazrulhttp://www.blogger.com/profile/04784453325710400219noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-2113593281604286693.post-25652488942232448042020-07-03T14:12:00.000-07:002020-07-03T14:12:04.237-07:00একজন পাগলা রাজার কীর্তি<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
একজন 'পাগলা রাজা'র কীর্তি<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhnVlRYYYcC5btxLNr3qBWKrajQRpX3M_oRM7NjtrXRsIjhULlxgKbGckNwgz3Jwcfaj9eKGcaOsmjYp0563GTGsyii3A4GwiypkONV72j5sgijIFsMrLXSSZZ9jn_I60ZnTA9X7W8jy-SV/s1600/FB_IMG_1593810564230.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="234" data-original-width="245" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhnVlRYYYcC5btxLNr3qBWKrajQRpX3M_oRM7NjtrXRsIjhULlxgKbGckNwgz3Jwcfaj9eKGcaOsmjYp0563GTGsyii3A4GwiypkONV72j5sgijIFsMrLXSSZZ9jn_I60ZnTA9X7W8jy-SV/s1600/FB_IMG_1593810564230.jpg" /></a></div>
<br />
নাটোর দিঘাপতিয়ার জমিদার বাবু শরৎ কুমার রায় এর মদ বা বাইজি নাচানোর নেশা ছিলোনা। দেড়শো বছর আগের অনগ্রসর অসচেতন টালটামাল সময়েও এই লোক খুঁজে বেড়াতেন হারানো দিনের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। কোন মজা পুকুরে বা দূরের জমিদারীতে কোন নিদর্শনের সন্ধান মিললেই ভদ্রলোক হাতি সমেত ছুটে যেতেন তা উদ্ধারে। আড়ালে-আবডালে লোকে বলতো পাগলা রাজা। তাতে থোড়াই কেয়ার করতেন শরৎবাবু। তিনি বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতি প্রতিষ্ঠা করে তার মাধ্যমে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যৌথভাবে মহাস্থানগড় ও পাহাড়পুরে অনুসন্ধান চালান। একপর্যায়ে তাঁরই দান করা জায়গায় ১৯১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের প্রথম জাদুঘর 'বরেন্দ্র জাদুঘর'। দেশের সবচে সমৃদ্ধ জাদুঘরের স্বপ্নদ্রষ্টা শরৎ কুমার রায় সম্পর্কে জন্ম মৃত্যুর সাল ছাড়া তেমন ডিটেইলস কোন তথ্য কোথাও নেই। জানা যায় ভদ্রলোক ছিলেন সুলেখক, শিক্ষানুরাগী, কৃষকবান্ধব ও অসাম্প্রদায়িক। তাঁর বেশিরভাগ কর্মচারীই ছিলেন মুসলিম। কৃষকদের স্বার্থেই তিনিই রাজশাহী অঞ্চলে প্রথম কৃষি কলেজ ও চিনিকল প্রতিষ্ঠা করেন। শরৎ বাবুর রবীন্দ্রনাথের সাথে ভালো যোগাযোগ ছিলো কিন্তু তাঁর লেখা বইগুলো হারিয়ে গেছে। লোকে যতোই পাগলা রাজা বলুক ভদ্রলোক নি:সন্দেহে তাঁর যুগের চেয়ে অগ্রসর ছিলেন। নয়তো দেশের সবচে সমৃদ্ধ জাদুঘরখানা আমরা পেতাম না। আমার যদি ক্ষমতা থাকতো তবে রাজশাহী বরেন্দ্র যাদুঘরের সামনে শরৎবাবুর একটি আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করতাম।<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiOTRy8ExTeCpggln9ZtJE2-sRbT_1vbuMjX1oRo_w9yWPVdyvCAOFXMYn1iFrMBXu4y1i7mY4wdnSfdnUUA5YmQRA4c7TgiChWoWxvwKE2W0HkJiwuPbnEjlZd5_DiPv6MgDPEs0kfEWsR/s1600/FB_IMG_1593810566861.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1378" data-original-width="1080" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiOTRy8ExTeCpggln9ZtJE2-sRbT_1vbuMjX1oRo_w9yWPVdyvCAOFXMYn1iFrMBXu4y1i7mY4wdnSfdnUUA5YmQRA4c7TgiChWoWxvwKE2W0HkJiwuPbnEjlZd5_DiPv6MgDPEs0kfEWsR/s320/FB_IMG_1593810566861.jpg" width="250" /></a></div>
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhfyqVQRAgYOWJIwhXOJjScXaP8qfgVCOPq_ofTHVqqJUoP-eENVH30yN3bFRvvIP_ZOTln4vM1JMHfj2WqH2ACXyWRDtOnA840mTRv7ykMpPSRbDrroBQoFrdTG5eKkqtf55X-OWKY1vTI/s1600/FB_IMG_1593810571574.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1403" data-original-width="1080" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhfyqVQRAgYOWJIwhXOJjScXaP8qfgVCOPq_ofTHVqqJUoP-eENVH30yN3bFRvvIP_ZOTln4vM1JMHfj2WqH2ACXyWRDtOnA840mTRv7ykMpPSRbDrroBQoFrdTG5eKkqtf55X-OWKY1vTI/s320/FB_IMG_1593810571574.jpg" width="246" /></a></div>
<br />
গত তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ফ্রান্সে প্রদর্শনীর নাম করে এর নিদর্শন সমূহ ফ্রান্সে পাঠানোর মাঝপথে সচেতন নাগরিকদের প্রতিবাদে তা বন্ধ হয়ে যায়। অভিযোগ আছে ফ্রান্সে পাঠানো সব নিদর্শন আর ফেরত আসেনি। ৬৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরের দায়িত্বে থাকলেও মনে হয়না তাদের এ ব্যাপারে যথেষ্ট আন্তরিকতা আছে। সেকারণেই বরেন্দ্র যাদুঘরের উচ্চমানের সংগ্রহ দেখে মন ভরে গেলেও এর কিছু নিদর্শন খোলা লনে যেখানে সেখানে ইতস্তত ছড়িয়ে রাখা দেখে অবাক হলাম। দায়িত্বশীল ব্যক্তি বললেন এর কারণ স্থানাভাব কিন্তু আমি দেখলাম মুসলিম ঐতিহ্য নামের একটি পুরো গ্যালারী বুলশিট সব জিনিসপত্র দিয়ে ঠেসে জায়গা নষ্ট করা হচ্ছে! অথচ অমূল্য নিদর্শনগুলো রোদে পুড়ছে, বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হচ্ছে।<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgeqOjHEYCDGjvUm-tuSniiMYV-rpwmKzhI622hfjLm40Leb3b4CvSty5btFojxQ-F3yKNKUcwOwEQH8yljGZrt6OIbHM0tGuGghNBbKTzEXOFxX5lMGKJuZjeCDsvN0GfawK-DaavWm2BJ/s1600/FB_IMG_1593810561443.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1165" data-original-width="1080" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgeqOjHEYCDGjvUm-tuSniiMYV-rpwmKzhI622hfjLm40Leb3b4CvSty5btFojxQ-F3yKNKUcwOwEQH8yljGZrt6OIbHM0tGuGghNBbKTzEXOFxX5lMGKJuZjeCDsvN0GfawK-DaavWm2BJ/s320/FB_IMG_1593810561443.jpg" width="296" /></a></div>
<br />
দুই-আড়াই হাজার বছরের আদি নিদর্শনে সমৃদ্ধ বরেন্দ্র জাদুঘরকে রক্ষা করবে কে?</div>
Apu Nazrulhttp://www.blogger.com/profile/04784453325710400219noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-2113593281604286693.post-53787760641699341062020-07-03T14:07:00.000-07:002020-07-03T14:07:39.606-07:00<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgSKKmCmczEF2PNSl33onU4OhSddjyNhVi-nIM6x7f0UlNqAX_pV3DV-d1I2goFGRuUQETA03G3IGjdLulG_gh47TcGjxDnuV424oYLP9kxQa40B0Y-nWaKynar4rlOh_zdldYj5OnguG6C/s1600/FB_IMG_1593777915213.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="458" data-original-width="305" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgSKKmCmczEF2PNSl33onU4OhSddjyNhVi-nIM6x7f0UlNqAX_pV3DV-d1I2goFGRuUQETA03G3IGjdLulG_gh47TcGjxDnuV424oYLP9kxQa40B0Y-nWaKynar4rlOh_zdldYj5OnguG6C/s320/FB_IMG_1593777915213.jpg" width="213" /></a></div>
সদ্যপ্রয়াত সাইফুল আজম ছাড়াও পাক এয়ার ফোর্সে আরো অনেক লিজেন্ডারি বাঙালি ফাইটার ছিলেন। তাঁদের নিয়ে ধারাবাহিকভাবে লেখার প্রথম পর্বে আজ লিখবো ফ্লাইং অফিসার ওয়ালিদ এহসানুল করিমকে নিয়ে। বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। (গ্রাম চকোরিয়ার হারবাং) বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর ও ওয়ালিদ ১৯৬৩ সালে যখন একইসাথে জিডি পাইলট হিসেবে কমিশন পান তখন ওয়ালিদের সোর্ড অব অনার পাবার কথা ছিলো৷ কিন্তু পাসিং আউটের অল্প কিছুদিন আগে ৫২ সালের ভাষা আন্দোলন নিয়ে অবাঙালি ব্যাচমেটদের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়লে তাঁকে সোর্ড অব অনার থেকে বঞ্চিত করা হয়৷ তা সত্বেও যেহেতু ওয়ালিদ ছিলেন তাঁর ব্যাচের সেরা পাইলট তাই তাঁকে পাক এয়ার ফোর্সের শ্রেষ্ঠ ফাইটার ইউএস মেড স্যাবর F86 এর পাইলট মনোনীত করা হয়। ১৯ বছর বয়সী ওয়ালিদ ছিলেন তখনকার সময়ে সারা বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী F86 পাইলট। F86 নিয়ে নানান আনকনভেনশনাল স্ট্যান্ট দেখিয়ে ওয়ালিদ বাহিনীর ভিতর ও বাইরে বিখ্যাত হয়ে উঠেছিলেন। ১৯৬৫ সালের ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের সময় ভারতের গুজরাটে এয়ার স্ট্রাইক পরিচালনার সময় ওয়ালিদের F86 ফাইটার বিমান বিধ্বংসী কামানের গোলায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়৷ সে অবস্থাতেই ইজেক্ট না করে ফিরে আসার চেষ্টাকালে ওয়ালিদের ফাইটার আরব সাগরে বিধ্বস্ত হয়। বাঙালি পাইলট ওয়ালিদের লাশ বা তাঁর ফাইটারের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়নি!<br />
<br />
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhBV_kk7PwoDTW3E0AlNIpEhhRKbaveHfxuwnp5Btp1unZ4CWOSYvQaohovS3BdOpGkTUEgu0zT9jmMfPBNRT8e3HgsDuw1HplFDc9fakknuyHa-YaCSZ0tYle61syH1spy7_gH8dd7Oh4R/s1600/FB_IMG_1593777918072.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="685" data-original-width="1080" height="202" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhBV_kk7PwoDTW3E0AlNIpEhhRKbaveHfxuwnp5Btp1unZ4CWOSYvQaohovS3BdOpGkTUEgu0zT9jmMfPBNRT8e3HgsDuw1HplFDc9fakknuyHa-YaCSZ0tYle61syH1spy7_gH8dd7Oh4R/s320/FB_IMG_1593777918072.jpg" width="320" /></a></div>
<br />
(ওয়ালিদের বাবা ছিলেন হারবাং এর সম্ভ্রান্ত জমিদার ও কক্সবাজার পৌরসভার প্রথম মেয়র ফজলুল করিম। পর্যটন প্রসারের জন্য কক্সবাজার সৈকতের ঝাউগাছগুলো তাঁর সময়েই রোপন করা হয়।)<br />
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhBt0OqQ9PhENLQqKlfjZ-zCtDKZNVOZRNGPfEPaRRc6r1ZlLbFvtca2lzVG0wjl4NayJKC_NCshjW3QNCI3yzcQ5_w2tg8vjoM1Lq-m1i-lhdf7c4l-lbSOT0rfW_IdqPnQZKEXMbqdUN0/s1600/FB_IMG_1593777920632.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="520" data-original-width="689" height="241" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhBt0OqQ9PhENLQqKlfjZ-zCtDKZNVOZRNGPfEPaRRc6r1ZlLbFvtca2lzVG0wjl4NayJKC_NCshjW3QNCI3yzcQ5_w2tg8vjoM1Lq-m1i-lhdf7c4l-lbSOT0rfW_IdqPnQZKEXMbqdUN0/s320/FB_IMG_1593777920632.jpg" width="320" /></a></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
F86 saber jet</div>
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiy0xDPqTZKVMpuS5r5sMWVdlQmfZd4fEWeycZHN2-S2aws9vVox_UtLYwsgnHgKs4Gh9ZhApeAT55QlAfYopnx18-EZ0ltNUVflrzDTxHCmMaB3rJe-JDsPJpbZxo1BO3MN_6qx0e_QLmS/s1600/FB_IMG_1593777923270.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="668" data-original-width="1080" height="197" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiy0xDPqTZKVMpuS5r5sMWVdlQmfZd4fEWeycZHN2-S2aws9vVox_UtLYwsgnHgKs4Gh9ZhApeAT55QlAfYopnx18-EZ0ltNUVflrzDTxHCmMaB3rJe-JDsPJpbZxo1BO3MN_6qx0e_QLmS/s320/FB_IMG_1593777923270.jpg" width="320" /></a></div>
ছবিতে ওয়ালিদের সাথে আরো দুইজন বাঙালি আছেন। একজন বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর। আরেকজন এয়ার ভাইস মার্শাল মমতাজ। সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান। গত বছর মারা গেছেন।</div>
Apu Nazrulhttp://www.blogger.com/profile/04784453325710400219noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-2113593281604286693.post-28590798762811758742020-06-28T12:59:00.000-07:002020-06-28T12:59:04.515-07:00Departed Melody : কর্ণফুলী ডুবানো কাপ্তাই লেক ও দেশছাড়া রাজা ত্রিদিব রায়<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
</div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<br /></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhBxCVu2DgwpdSDV7y6OnjLx_eO5uz8oQIjQmX14pRFZkS1FXvx_SyfZqC7XkiIBNtbYIp08o72AwGG2choqExzv4pD5RHBTT-IGXTTDxbYOdOzv677cbeOgOG-Isfd5qSc5_SCJbIbFSlZ/s1600/FB_IMG_1593373397533.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="309" data-original-width="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhBxCVu2DgwpdSDV7y6OnjLx_eO5uz8oQIjQmX14pRFZkS1FXvx_SyfZqC7XkiIBNtbYIp08o72AwGG2choqExzv4pD5RHBTT-IGXTTDxbYOdOzv677cbeOgOG-Isfd5qSc5_SCJbIbFSlZ/s1600/FB_IMG_1593373397533.jpg" /></a></div>
<br />
বৃটিশ আমলে যখন প্রথম কর্ণফুলী নদীতে বাঁধ দিয়ে হাইড্রোপাওয়ার প্ল্যান্ট বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিলো তখন ঘুণাক্ষরেও কেউ ভাবেনি ভবিষ্যতে কর্ণফুলীর কাপ্তাই চিৎমরম সংলগ্ন অংশে ড্যাম হবে। রাঙামাটি শহর, রাজবাড়ি ও মাইনী ভ্যালির মাইলের পর মাইল সমতল চাষযোগ্য জমি নিরাপদে রেখে তখনকার ভাবনায় এ প্রজেক্টের সম্ভাব্য লোকেশন ছিলো বরকলে, আপার কর্ণফুলী তে। (সেখানে বিশাল একটা জলপ্রপাতও ছিলো কর্ণফুলী নদীতে। যা এখন পানির নিচে হারিয়ে গেছে।) তারপর দেশভাগ হলো। নতুন মানচিত্রে কর্ণফুলীর সোর্স পড়লো ভারতে। এখন যদি বরকলে ড্যাম দেয়া হয় তাতে রাঙামাটি শহর, রাজবাড়ি বাঁচলেও এর ফলে চান্স ছিলো ভারতের মিজোরামের কিছু অংশ প্লাবিত হবার। যা ভারত কোনভাবেই মেনে নিতো না। ৪৭ এর পরপরই সদ্য কাশ্মীর যুদ্ধ শেষ করা পাকিস্তান এই ঝুঁকি নিয়ে আরেক যুদ্ধ লাগালোর সাহস করলোনা। তাই বাঁধ চলে এলো ডাউনস্ট্রীমের কাপ্তাইয়ে। রাতারাতি ডুবে গেলো রাঙামাটি শহর সহ শত শত বর্গকিলোমিটার নিচু জমি। চাকমা রাজবাড়িও চিরতরে চলে গেলো জলের নিচে। একরাতে ঘটা এই অবিশ্বাস্য দৃশ্য দেখে প্রজেক্টের সব শ্রমিক ভয়ে পালিয়ে গেলো। দূর্গম দূর-দূরান্তে বসবাসকারীরা ঘুম ভেঙ্গে বিনা নোটিশে বাস্তুহারা হলো। কিছু পাহাড়ের মাথা ব্যাতীত কর্ণফুলী ভ্যালির সবকিছুর সলিল সমাধি হলো লেকে জমা জলের তলে। জমি জিরাত সব হারিয়ে উদ্বাস্তু হলো মূলত চাকমারা। ক্ষতিপূরণের নামে তাদের সাথে তামাসা চললো কিছুদিন৷ যদিও শুধু এডিবিই ক্ষতিপূরণ বাবদ সে সময় ২০ কোটি দিয়েছিলো যা এখনকার ২০০-৩০০ কোটির সমান) এরপর পাকিস্তান ছেড়ে ভারত চলে যাওয়া চাকমাদের একাংশকে অরুণাচলে আশ্রয় দিলো ভারত সরকার। তারা এখনো সেখানে আছেন। জাতির এই দূর্দিনে চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় নীরব রইলেন।<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj-sBurmHdLf_7vtdZbJxbES5lO3Bk0CejdXHzsEVYTXmJ4tJhnv3G97MhvqK4c0o95Nt4ECKVGy-gzFdt9TZMamohUJqIjSkwKsRVkO7wTnZAzqeSjNlJzVKbirPM1je7I3_2riEYG6ikf/s1600/FB_IMG_1593373402963.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="222" data-original-width="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj-sBurmHdLf_7vtdZbJxbES5lO3Bk0CejdXHzsEVYTXmJ4tJhnv3G97MhvqK4c0o95Nt4ECKVGy-gzFdt9TZMamohUJqIjSkwKsRVkO7wTnZAzqeSjNlJzVKbirPM1je7I3_2riEYG6ikf/s1600/FB_IMG_1593373402963.jpg" /></a></div>
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh-ukPJpBHOpVWP4BdV10s9uLJahyO5bz9hZScf4KmYSGFSvUt_8d-HWsUu-OTwPYgoAL2CbuackaJEwW3lLjNHCV7wCEzV1b_HPBkAR4RYKH3NpD9XnkksgS60wTYY7tOnNREuCKY45tiL/s1600/FB_IMG_1593373400250.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="286" data-original-width="514" height="178" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh-ukPJpBHOpVWP4BdV10s9uLJahyO5bz9hZScf4KmYSGFSvUt_8d-HWsUu-OTwPYgoAL2CbuackaJEwW3lLjNHCV7wCEzV1b_HPBkAR4RYKH3NpD9XnkksgS60wTYY7tOnNREuCKY45tiL/s320/FB_IMG_1593373400250.jpg" width="320" /></a></div>
<br />
এই প্রতিক্রিয়া না দেখানো প্রতিক্রিয়াশীলতা অব্যাহত রইলো ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধেও। তিনি পাকিস্তানের পক্ষে সর্বাত্মক ভাবে কাজ করলেন। নিজ জাতিকে পিছিয়ে দিলেন আরো ৫০ বছর। তবু আমি তাকে ইমানদারই বলবো কারণ ৭১ এর নভেম্বরে দেশ ছাড়ার পর যে দেশ তিনি চাননি সে দেশে ইচ্ছা থাকা সত্বেও আর একটিবারের জন্যও তিনি ফিরে আসেননি। পরবর্তীতে পাকিস্তানের সংখ্যালঘু/পর্যটন মন্ত্রী হয়েছিলেন। জীবনভর পাকিস্তানে অন্যরকম সন্মান পেয়েছেন। ছিলেন শ্রীলঙ্কা ও ল্যাটিন আমেরিকায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত। তাঁকে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হবার অফার দেয়া হয়েছিলো কিন্তু যেহেতু সংবিধান অনুসারে কোন অমুসলিম পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হতে পারেন না তাই তাকে বলা হয়েছিলো বৌদ্ধ ধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান হলে তিনি হবেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট। তিনি সে অফার ফিরিয়ে দেন। অর্ধযুগ আগে পাকিস্তানেই মৃত্যু হয় ত্রিদিব রায়ের। তার শেষ ইচ্ছানুযায়ী লাশ দেশে আনতে চেয়েছিলো তার পরিবার। কিন্তু দেশের তরুণ প্রজন্মের একাংশের প্রতিবাদের মুখে তা আর সম্ভব হয়নি। মৃত্যুর প্রায় দশদিন পর ইসলামাবাদেই তার অন্তেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়।<br />
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiHZTJ2IRp3_cmK0uiyLTcdj0YEf-TesA-eeXvTnxUQrsOTnOM5bLDz_P6AEgt53Fkr1ChJ92QPw4ItlqozvnYAXPjXYt_Zeyx4PTL_G_ad8ZFFoo9lRHpLM2DtC3NM3_fbDiT_9o_ZDyUa/s1600/FB_IMG_1593373394448.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="960" data-original-width="668" height="400" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiHZTJ2IRp3_cmK0uiyLTcdj0YEf-TesA-eeXvTnxUQrsOTnOM5bLDz_P6AEgt53Fkr1ChJ92QPw4ItlqozvnYAXPjXYt_Zeyx4PTL_G_ad8ZFFoo9lRHpLM2DtC3NM3_fbDiT_9o_ZDyUa/s400/FB_IMG_1593373394448.jpg" width="277" /></a></div>
<br />
<br />
ছবিতে দেখা যাচ্ছে দূরের ২২০০ ফুট উঁচু SS পাহাড়ের গায়ে জমে থাকা মেঘ। আর তার নিচে বয়ে যাওয়া কর্ণফুলী। বরকলের এখানেই কোথাও হবার কথা ছিলো ড্যাম। তাতে একটি জাতির ইতিহাস অন্যরকম হতে পারতো! হয়তো আজকের কাপ্তাই লেকের নাম হতো বরকল লেক। হয়তো হতোনা চাকমাদের সাথে বাঙালির জাতিগত বিরোধ। যা অনেকাংশেই যতোটা রাজনৈতিক তারচে বেশি অর্থনৈতিক।<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<br /></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="text-align: left;">আজ একবিংশ শতাব্দীর দুই দশক পর এই লেক ও জলবিদ্যুত কেন্দ্র দেশের চাহিদার এক পার্সেন্ট ও যোগান দিতে পারছেনা। তারপরেও ইতিমধ্যে যেহেতু কেটে গেছে ৬০ বছর তাই কাপ্তাই লেকে গড়ে উঠেছে নিজস্ব বাস্তুসংস্থান। যা এখন সম্পদ হয়ে উঠেছে ও গড়ে দিয়েছে নতুন সব সম্ভাবনা। স্পেশালি ট্যুরিজম। কিন্তু পাকিস্তান আমলে এজ এ ডেষ্টিনেশন কাপ্তাই লেককে তারা যেভাবে প্রমোট করতে পেরেছিলো স্বাধীন দেশে আমরা তা পারিনি। তখন কাপ্তাই লেকে বিদেশীরা আসতো ওয়াটার স্কি, কায়াকিং করতে। ছিলো হাউস বোট। আর এখন সেখানে বিদেশী ট্যুরিষ্ট নিতে চাইলে নিতে হয় স্পেশাল পারমিশন। পাঁচ-ছয় বছর আগেও পদ্ধতিটা আরেকটু সহজ ছিলো৷ চিটাগাং ডিসি অফিসের পার্মিশন ফরম পূরণ করে জমা দিলেই হতো। এখন ঘুরতে হয় কয়েকটা মিনিষ্ট্রি আর এজেন্সি। এত ঝামেলা কে করবে? উৎসাহ হারাচ্ছে ইনবাউন্ড ট্যুরিজম। ইন্টারনাল ট্যুরিষ্ট দেশের মূল্যবান ডলার খরচ করতে যাচ্ছে ভারত, থাইল্যান্ড, বালি, নেপাল, মালয়েশিয়ায়৷ আসলেই এদেশে যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ। দিনকে দিন আরো কঠিন হচ্ছে বাংলাদেশে পর্যটন পরিচালনা। হবেই না বা কেন, উল্টোপথে না হাটলে যে এ জাতির ভালো লাগেনা!</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<br /></div>
<br /></div>
Apu Nazrulhttp://www.blogger.com/profile/04784453325710400219noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-2113593281604286693.post-744414829906001032020-06-21T11:06:00.002-07:002020-06-21T11:06:39.269-07:00আইয়ুব বাচ্চুর কষ্টের প্রকৃত উৎস কি ছিলো?<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEheyr5CZCr09lg-Fxmiroao73lGav7UMo-rxvNdMDkkjz8w5prjBnRPGKZ_JXelwu_uxAIVhZc-u21mgudrITeRJ-aAeaRV9uYbWHOaw6srAYRSkdiDtzGwcVd_s9QPZIvAh-ZT8RC1y57l/s1600/99dc7038b508b7b601727ab02120d0d8-5bc89b8702745.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="628" data-original-width="799" height="251" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEheyr5CZCr09lg-Fxmiroao73lGav7UMo-rxvNdMDkkjz8w5prjBnRPGKZ_JXelwu_uxAIVhZc-u21mgudrITeRJ-aAeaRV9uYbWHOaw6srAYRSkdiDtzGwcVd_s9QPZIvAh-ZT8RC1y57l/s320/99dc7038b508b7b601727ab02120d0d8-5bc89b8702745.jpg" width="320" /></a></div>
বাচ্চু ভাইয়ের মাতৃপ্রেমের কথা সর্বজনবিদিত। তিনি সবসময় সবখানে তাঁর আইয়ুব বাচ্চু হয়ে উঠার পেছনে মায়ের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করতেন। কিন্তু বাচ্চু ভাইয়ের স্ট্রাগলের পেছনের পুরো গল্পটা জানেন খুব কম মানুষই৷ ক্লাস সেভেনে থাকতে বাচ্চু ভাইকে প্রথম গিটার কিনে দিয়েছিলেন তাঁর বাবা। তার কিছুদিন পর বাচ্চু ভাইয়ের বাবা মায়ের সেপারেশন হয়ে গেলে বাচ্চু ভাইসহ তারা তিন ভাই মায়ের সাথে নানাবাড়িতে এসে উঠেন। সেখানেই বাচ্চু ভাইয়ের বেড়ে উঠা। বাচ্চু ভাইয়ের বাবা আরেক পক্ষের পরিবার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন বলে বাচ্চু ভাইদের খোঁজখবর রাখতেন না। সে সময় স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের নানারকম স্ট্রাগলের ভেতর দিয়ে যেতে হতো। পড়াশোনার চাইতে সেলসম্যান হিসেবে বেশি সময় দিতে হতো মামাবাড়ির পারিবারিক ব্যবসা রেয়াজুদ্দিন বাজারের তামাকুন্ডি লেনস্থ জুতার দোকানে। এর ভেতরেই সময় বের করে নিজের প্যাশন গিটারের পিছনে লেগে থেকে মায়ের বড় ছেলে রবিনের আইয়ুব বাচ্চু হয়ে উঠা। আইয়ুব বাচ্চুর প্রায় সব গানই কষ্টকে উপজীব্য করে। এই কষ্টের উৎস সবাই যেমনটা ধরে নেয় নারীঘটিত তেমনটি বোধহয় ছিলো না। বাচ্চু ভাই নিজের পছন্দেই বরিশালের মেয়ে বিয়ে করেন যা সে সময় প্রতিষ্ঠিত না হওয়া একটা চট্টগ্রামের ছেলের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিংই বলা যায়। সুতরাং নারীঘটিত কষ্ট নিয়ে পড়ে থাকার সময় তাঁর ছিলোনা।<br />
<br />
২০০০ সালের দিকে 'প্রেম তুমি কি' এলবামে বাচ্চু ভাই তাঁর বাবাকে নিয়ে একটা গান করেন। অন্য সব গানের মত সেটি বাবার মহিমা বা প্রশস্তিসূচক গান ছিলোনা বরং এই গানে বাচ্চু ভাই বাবার প্রতি জমে থাকা তাঁর সকল অব্যক্ত কষ্ট আর ক্ষোভ ঢেলে দিয়েছেন। গানের লিরিকটা দেখলে বুঝবেন। (লিংক ও লিরিক কমেন্টে সংযুক্ত) বাচ্চু ভাই তারপরও ব্যক্তিজীবনে বাবার খোঁজখবর রেখেছেন। নিজের আপন তিন ভাইয়ের মত সৎ বোনদের প্রতিও দায়িত্ব পালন করেছেন। বাবা গুরুতর অসুস্থ্য হলে ঢাকায় নিয়ে দীর্ঘদিন নিজের কাছে রেখে চিকিৎসা করিয়েছেন। কিন্তু যখন প্রয়োজন ছিলো তখন বাবাকে কাছে না পাবার কষ্ট মনের মধ্যে পুষে রেখেছেন আমৃত্যু। অপ্রকাশিত কষ্টই নাকি সকল মহৎ সৃষ্টির অনুপ্রেরণা। কোন গোপন কষ্ট, না পাবার বেদনা মানুষকে ক্রিয়েটিভিটি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়৷ বাচ্চু ভাইয়ের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে কি? বাবার স্নেহবঞ্চিত হওয়াজনিত দুঃখবোধই কি ছিলো আইয়ুব বাচ্চুর সকল কষ্টভরা সৃষ্টির অনুপ্রেরণা?<br />
<br />
Link:<br />
<br />
<a href="https://youtu.be/rW-aeDoO5BY" target="_blank">https://youtu.be/rW-aeDoO5BY</a></div>
Apu Nazrulhttp://www.blogger.com/profile/04784453325710400219noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-2113593281604286693.post-31949101978573895322020-05-24T07:10:00.001-07:002020-05-24T07:10:45.184-07:00নজরুলের প্রেম, নজরুলের প্রেমিকা<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjwXhrWJimfAvuwqLKpY3dsqUx2wyckAVvqn9oDWufQH-AqgOWh4g57qKbsFY73f33tPZqYrRLj1OFyBnjTk0KleobQmpWzo4ceyrfOZ9eYDul0WFgGl3osVZI27TyqDRU_jNdcRe0huILx/s1600/images+%252826%2529-01.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="727" data-original-width="499" height="640" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjwXhrWJimfAvuwqLKpY3dsqUx2wyckAVvqn9oDWufQH-AqgOWh4g57qKbsFY73f33tPZqYrRLj1OFyBnjTk0KleobQmpWzo4ceyrfOZ9eYDul0WFgGl3osVZI27TyqDRU_jNdcRe0huILx/s640/images+%252826%2529-01.jpg" width="438" /></a></div>
মাত্র চল্লিশ বছরের জীবন। বাকশক্তি ও মানসিক ভারসাম্য হারাবার আগে শৈশব বাদ দিলে নজরুলের কৈশোর আর যৌবনের পরমায়ু ২৬-২৭ বছর বড়জোর। এই অল্প সময়ের মধ্যেই প্রেমে উন্মাদ নজরুলের বিয়ে দুইটি, প্রকাশিত বা চাউর হওয়া প্রেমের সংখ্যা কমপক্ষে এক ডজন। অপ্রকাশিত প্রেমের সংখ্যা না জানি কত!<br />
<br />
নজরুলকে জানতে হলে তাই নজরুলের প্রেমিকাদের চিনতে হবে৷ এবং নজরুলের প্রেমিকাদের নিয়ে এই লেখা পড়ার আগে মাথায় রাখতে হবে আমি কোন নজরুল গবেষক নই। পড়েছি অল্প তাই নজরুলকে নিয়ে আমার জ্ঞানও ভাসা ভাসা৷ লেখার কলেবর বেড়ে পাঠকের ধৈর্যচ্যুতি ঘটুক চাইনা বলেই অনেক কিছুই সংক্ষেপে ঝেড়ে দিয়েছি। আমার এই লেখা তাই যারা নজরুল বিশেষজ্ঞ নয় শুধু তাদের জন্যই!<br />
<br />
১/ নজরুল ওরফে নুরু দশ বছর বয়স থেকেই লেটোর দলে গান গাইতেন। সেই সময়ে তার ভালো লাগে সমবয়সী এক কিশোরীকে(!) মেয়েটি তার দূরসম্পর্কের আত্মীয়ও বটে৷ যেহেতু মেয়েটির বাড়ি তাদের গ্রাম চুরুলিয়াতেই সুতরাং নিয়মিত দেখাসাক্ষাত হতো। দুটি হৃদয় কাছাকাছি এসেছিলো। কিন্তু যেহেতু মেয়েটি ছিল ধনী পরিবারের তাই তখন পরিণতি পায়নি৷ নুরুকেও তখন জীবিকার সন্ধানে ঘর ছাড়তে হয়েছিল। শোনা যায়, করাচির সেনাপল্টন থেকে ফিরে বিশ বছরের নজরুল একবারই গিয়েছিলেন চুরুলিয়ায়। মেয়েটির বিয়ে হয়ে গিয়েছে শুনে ফিরে এসেছিলেন কলকাতায়। নজরুল আর চুরুলিয়ায় ফিরেননি!<br />
<br />
<br />
২/ ১৯১৫ সালে ১৫ বছর বয়সে নজরুল আবার ভর্তি হলেন রানীগঞ্জ শিয়ালসোল হাই স্কুলে। গরিব অথচ মেধাবী ছাত্র হিসেবে মাসে সাত টাকা বৃত্তি যোগাড় করলেন স্থানীয় রাজবাড়ি থেকে। নানা কায়দা করে আশ্রয় জুটিয়ে নিলেন মোহামেডান বোর্ডিংয়ে। সেসময় স্কুলে যাতায়াতের পথে তার নজর পড়ে এক পঞ্চদশীর প্রতি। নাম তার স্বর্ণলতা। সুন্দরী মেয়েটির বাবা রানিগঞ্জে পুলিশ অফিসার। নজরুল একে মুসলিম, তার উপর গরীব। গোপন প্রেম তাই এবারও সফল হলোনা। ফলাফল মিউচুয়াল ব্রেক আপ। শেষ দেখার দিন ভালবাসার স্মারক হিসেবে নজরুল স্বর্ণলতার চুল থেকে জোর করে খুলে নিলেন তার মাথার কাঁটা। সেই কাঁটাকেই নজরুল স্মরণ করেছেন তাঁর ‘ব্যথার দান’ গল্পগ্রন্থের উৎসর্গপত্রে!<br />
<br />
‘মানসী আমার! চুলের কাঁটা নিয়েছিলুম বলে ক্ষমা করোনি, তাই বুকের কাঁটা দিয়ে প্রায়শ্চিত্ত করলুম।’<br />
<br />
৩/ উল্লেখ্য নজরুল বাঙালি পল্টনে যোগ দিয়ে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে গেলেও যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবার কারণে পাকিস্তানের করাচী পার হতে পারেননি ও কোনদিন অস্ত্র হাতে নেয়ার সুযোগও পাননি। (উল্লেখ করার লোভ সামলানো যাচ্ছেনা যে বাঙালি পল্টনে তাঁর বস ছিলেন টাঙ্গাইলের বিশিষ্ট দানবীর ধনকুবের রনদা প্রসাদ সাহা।) যুদ্ধে নজরুল প্রমোশন পেয়ে সৈনিক থেকে হাবিলদার হয়েছিলেন এবং যুদ্ধ পরবর্তী কয়েক বছর তা নিয়ে খুব গর্বিত ছিলেন। চিঠিসহ সর্বত্র নিজের পরিচয় লিখতেন হাবিলদার নজরুল এসলাম (নূরা)! যুদ্ধশেষে ৪৯ নং বাঙালি রেজিমেন্ট ভেঙে দেওয়া হল। নজরুল ফিরে এলেন কলকাতায়। বেকার নজরুল তখন কলকাতার গরমে আর্মি ইউনিফর্ম পড়ে ঘুরেন আর আমি হাবিলদার নজরুল এসলাম বলে ফাপর নিয়ে বেড়ান। তবে তাতে তো আর ক্ষুধা মিটেনা তাই একদিন চাকুরীর জন্য দেখা করলেন শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের সঙ্গে। উনার দরবারে কেউ নিরাশ হয়না। নজরুলও পেলেন প্রকাশিতব্য নবযুগ পত্রিকার সহ–সম্পাদকের দায়িত্ব। পত্রিকার জন্য জানপ্রাণ দিয়ে খেটে নজরুলের শরীর ভেঙে পড়ল। তাই ডাক্তারের পরামর্শে হাওয়াবদলের জন্য গেলেন দেওঘর। সেখানে তাঁর সঙ্গে একটি মেয়ের পরিচয় হল। ক্রমশ ঘনীভূত হল নৈকট্য, যার ব্যাপারে পরবর্তীতে ডিটেইলস জানা যায়নি৷<br />
<br />
৪/ ১৯২১ সালের মার্চে নজরুল তাঁর প্রকাশক আলী আকবরের সাথে কুমিল্লা বেড়াতে যান৷ নজরুলকে নিয়ে আলী আকবর খান তার স্কুলের বন্ধু বীরেন্দ্রকুমার সেনগুপ্তের বাসায় উঠেন। বীরেন্দ্রকুমারের মা ছিলেন বিরজা সুন্দরী দেবী। নজরুল তাঁকে মা বানান। কয়েকদিন পর প্রকাশক আলী আকবর কবিকে তার গ্রামের বাড়ি দৌলতপুর নিয়ে যান। সেখানে নজরুলের আকবরের বিধবা বোনের মেয়ে সৈয়দা আসার খানামের সাথে প্রেম হয়। নজরুল তাঁর নাম দেন নার্গিস৷ নার্গিসের সাথে কিছুদিনের অভিসার শেষে নজরুলের আকদ হয়। কিন্তু আকদের রাতেই মামাশ্বশুর আকবরের দেয়া ঘরজামাই থাকার শর্তে/অজানা কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে নজরুল কুমিল্লায় ফিরে আসেন। নজরুল আর কখনো দৌলতপুর ফিরেননি। পরের ১৬ বছর তাঁদের আর দেখাও হয়নি। তবু নার্গিস অপেক্ষা করেন। তাঁর সে অপেক্ষা আর ফুরোয়নি! ১৯৩৭-৩৮ সালের দিকে তাঁদের আনুষ্ঠানিক ডিভোর্স হয়।<br />
<br />
৫/ আলী আকবরের সাথে কুমিল্লায় গিয়ে প্রথম যে বাড়িতে নজরুল উঠেছিলেন, সেই বাড়ির কর্ত্রী বিরজা সুন্দরী দেবী কবিকে পূত্রবৎ স্নেহ করতেন, কবিও তাঁকে মা বলে ডাকতেন । সেই যৌথ পরিবারের সদস্য বিরজা সুন্দরী দেবীর বিধবা জা গিরিবালার কন্যা ১১ বছরের আশালতার (যার ডাকনাম ছিলো দোলনচাঁপা বা দুলি) সাথে কবির প্রেম হয়। সেসময় ভিন্ন ধর্মের এই প্রেমের কারণে কুমিল্লা শহরের যুবকদের হাতে কপবি ভালোই নাজেহাল হন। তিন বছর পর ১৯২৪ সালে কবি এই আশালতাকেই বিয়ে করেন এবং তার নাম দেন প্রমীলা। বিয়েটা হয়েছিল স্ব-স্ব ধর্মপরিচয় বহাল রেখেই এবং প্রমিলা কখনোই ধর্ম পরিবর্তন করেননি। বরং প্রমিলা প্যারালাইজড হয়ে বিছানায় পড়ে গেলে নজরুলই বরং প্রমিলার আরোগ্য কামনায় এক সৃষ্টায় বিশ্বাস হারিয়ে কালিপূজায় মত্ত হয়ে পড়েছিলেন। বিয়ের সময় প্রমিলাদেবীর বয়স ছিল মাত্র ১৪। সেই কিশোরী প্রমীলা দেবী আমৃত্যু সকল সুখ-দু:খের বোঝা মাথায় নিয়ে কবির জীবন সঙ্গিনী ছিলেন।<br />
<br />
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjPeS8fzaJOQS8c0cUGaG7eaBTLgLVhYFVY4jsLCttDimpW2Ee3_Q8nPpt6gPUGwnRTy-fLSpt833LDtU9X7eVXFZyB9Bi4Xb4_Os-iD7sLcjlAYNION1lJXJao36FW6AKNaRwP_qMSiDGr/s1600/Nazrul_at_Sitakunda_1929.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="617" data-original-width="454" height="640" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjPeS8fzaJOQS8c0cUGaG7eaBTLgLVhYFVY4jsLCttDimpW2Ee3_Q8nPpt6gPUGwnRTy-fLSpt833LDtU9X7eVXFZyB9Bi4Xb4_Os-iD7sLcjlAYNION1lJXJao36FW6AKNaRwP_qMSiDGr/s640/Nazrul_at_Sitakunda_1929.jpeg" width="470" /></a></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<br /></div>
৬/নজরুল ঢাকায় আসলে উঠতেন তাঁর বন্ধু প্রফেসর কাজী মোতাহার হোসেনের বাসায়। (সেবা প্রকাশনীর কাজী আনোয়ার হোসেনের বাবা) ঢাকাতেই তার বন্ধু মতিহারের মাধ্যমে পরিচয় হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতকোত্তর মুসলমান ছাত্রী মিস ফজিলাতুন্নেসার। নজরুল বিশেষ করে নারীদের হাত দেখতে পছন্দ করতেন, সেভাবেই প্রথমে হাত দেখে ভাগ্য গণনার ছলে ফ্লার্ট করতে চাইলেও পরে কবি মিস ফজিলাতুন্নেছার গুণে মুগ্ধ হয়ে তাঁর প্রেমে উন্মাদ হয়ে পড়েন! কিন্তু নজরুল ফজিলতুন্নেসার হৃদয় জয় করতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হন। ঢাকা থেকে ফেরার পথে প্যাডেল স্টিমারে বসে কবি ফজিলাকে প্রথম প্রেমপত্র লিখেন। মোতিহার সে চিঠি ফজিলাকে পৌঁছে দিলে সে অনুরোধ করেন তাঁকে যাতে আর ডিস্টার্ব করা না হয়। নজরুল তারপরও আরো ৭টি প্রেমপত্র লিখেন। শেষ পর্যন্ত নজরুলের একটি চিঠির উত্তর দেন ফজিলতুন্নেসা। এই চিঠিতে ফজিলতুন্নেসা নজরুলকে আর চিঠি না লিখবার অনুরোধ করেন। উত্তরে অভিমানী নজরুল ক্ষেপে গিয়ে কাজী মোতাহার হোসেনকে জানান, তিনি আর কোনদিন ফজিলাকে চিঠি লিখবেন না। বলাই বাহুল্য তিনি তার কথা রাখতে পারেননি!<br />
<br />
৭/ নজরুলের এই অপ্রকাশিত প্রেমটির পটভূমিও ঢাকা৷ ঢাকা কলেজের তৎকালীন প্রিন্সিপালের মেয়ে উমা মৈত্র ওরফে নোটনকে গান শিখাতে গিয়ে নজরুল নোটনের প্রতি দূর্বল হয়ে পড়েছিলেন। উমা মৈত্রের স্মৃতি কবি তার ‘শিউলিমালা’ গল্পটিতে ধরে রেখেছেন বলেই বিস্তারিত বর্ণনায় না গিয়ে গল্প থেকেই সরাসরি তুলে দেয়া ভালো। তবে মনে রাখতে হবে গল্প গল্পই!<br />
<br />
“শিউলি আমার কাছে গান শিখতে লাগল। কিছুদিন পরেই আমার তান ও গানের পুঁজি প্রায় শেষ হ্যে গেল। মনে হল আমার গান শেখা সার্থক হয়ে গেল। আমার কন্ঠের সকল সঞ্চয় রিক্ত করে তার কন্ঠে ঢেলে দিলাম। আমাদের মালা-বিনিময় হল না-হবেও না এ জীবনে কোন দিন- কিন্তু কন্ঠ বদল হয়ে গেল। আর মনের কথা সে শুধু মনই জানে।… একমাস ওদের বাড়িতে ছিলাম। কত স্নেহ, কত যত্ম, কত আদর। অবাধ মেলা মেশা- সেখানে কোন নিষেধ, কোনো গ্লানি, কোন বাধা বিঘ্ন, কোন সন্দেহ ছিল না। আর এসব ছিল না বলেই বুঝি এতদিন ধরে এত কাছে থেকেও কারুর করে কর স্পর্শ-টুকুও লাগে নি কোনদিন। এই মুক্তিই ছিল আমাদের সবচেয়ে দুর্লঙ্ঘ্য বাধা। কেউ কারো মন যাচাই করিনি। কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসার কথাও উদয় হয় নি মনে। একজন অসীম আকাশ, একজন অতল সাগর। কোন কথা নেই-প্রশ্ন নেই, শুধু এ ওর চোখে, ও এর চোখে চোখ রেখে তাকিয়ে আছে”।<br />
<br />
৮/ নজরুলের পরবর্তী স্ক্যান্ডাল ঢাকার টিকাটুলির মেয়ে রানু সোমের সাথে। অত্যুৎসাহী নজরুল ঢাকায় এসে কিছুদিন রানু সোমকে গান শেখাতেন। মুসলমান যুবক কবি প্রতিদিন হিন্দু যুবতীকে গান শেখানোর আড়ালে তার বাসায় গিয়ে ঘনিষ্ট হচ্ছেন এমন গুজব রটিয়ে পড়ে। একরাতে রানু সোমের বনগ্রাম রোডের বাসা থেকে ফেরার পথে ৭/৮ জন হিন্দু যুবকের দল নজরুলকে আক্রমণ করে। নজরুল প্রতিরোধ গড়ে তুলেন ও পরে টহল পুলিশ আসলে আক্রমনকারী যুবকরা পালিয়ে যায়। রানু সোমের সাথে পরবর্তীতে কবি বুদ্ধদেব বসুর বিবাহ হয় ও তিনি প্রতিভা বসু নামে পরিচিতি লাভ করেন।<br />
<br />
৯/ অবশেষে কবি পূর্ব বঙ্গ থেকে বের হতে পারলেন। তাঁর পরবর্তী সম্ভাব্য প্রেমিকা মীরা বা জাহানারার সাথে তার পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতা ১৯৩১ সালে দার্জিলিংয়ে ঘুরতে গিয়ে। সেই সফরে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মৈত্রেয়ী দেবীসহ আরো বিখ্যাত লোকজন ছিলেন। কলকাতায় গিরে মীরার সাথে কবির সম্পর্ক আরো গাঢ হয় বলে জনশ্রুতি থাকলেও সে সময় কিছু প্রমাণ হয়নি। তবে নজরুলের মৃত্যুর পর মীরা ম্যাম চমক জাগান তাঁকে উদ্দেশ্য করে লেখা ৮টি কবিতা ও ৭টি অপ্রকাশিত গানের একটি খাতা প্রকাশ করে। যার ফলে বহুবছর পর নজরুল মীরার বিশেষ সম্পর্ক সম্পর্কে বাজারে থাকা ধারণা বেশ পোক্ত হয়!<br />
<br />
১০/ নজরুলের সবচে সেলিব্রেটি প্রেমিকা ছিলেন সে সময়ের বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী কাননদেবী৷ কানন দেবীকেও কবি নজরুল গান শিখিয়েছিলেন। সেসময় কানন ও নজরুলকে জড়িয়ে নানান মুখরোচক স্ক্যান্ডাল বাজারে ছড়িয়ে পড়ে। তখন সবাই বলাবলি করতেন কবিকে কলকাতার আর কোথাও পাওয়া না গেলে যেতে হবে কানন দেবীর বাড়িতে! সেখানে তাঁকে অবশ্যই পাওয়া যাবে। যেতোও!<br />
<br />
মনে রাখতে হবে সেসময় টিন্ডার ছিলোনা, ফেসবুক ছিলোনা, ছিলো না মোবাইল ফোন। এত সুযোগের পরেও আমাদের জীবনে আজ প্রেমের বড্ড অভাব! অথচ নজরুলের জীবনে প্রেম/বিরহ বা প্রেমিকার অভাব হয়নি একটা দিনের জন্যও! কবির প্রতিভার ঝলক, তাঁর চকিত চাহনী আর চিঠিই ছিলো ভরসা। সেই সামান্য যোগাযোগের সুযোগ, অমিত সাহস আর কাব্য ও সঙ্গীত প্রতিভাকে পুঁজি করে প্রেমিক নজরুল সে যুগেই সকল সীমাবদ্ধতাকে জয় করে কাঁপিয়ে দিয়ে গেছেন।<br />
<br />
নজরুলের জীবনের প্রেমিক অধ্যায় হতে পারে এ যুগের যুবকদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত৷ কোন নারীকে অসন্মান না করে, ধর্ষকামী না হয়েও প্রেম প্রকাশে দুর্বিনীত ও বাঙময় হওয়ার শিক্ষা নজরুল জীবনে উপস্থিত৷<br />
<br />
আজও সবসময় জিতে যাওয়া মানুষদের উপদেশ থাকে listen to your ♥ heart! হৃদয়ের আর্তি শুনে চিরকাল তা মূল্যায়ন করে যাবার সাহস সবার থাকেনা৷ যাদের থাকে তাঁরাই নজরুল। হৃদয়চালিত ছিলেন বলেই নজরুল শুধু নারী নয়, সেইসাথে ভালবেসেছিলেন দেশকে, দেশের মানুষকে, মানবতা আর সত্য-সুন্দরকে। আজ নজরুলের জন্মদিন। যুগ যুগ জিও!<br />
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjsqVnxiyGOg13SiMQen8eOS56p8Om2l1qg4RUYSUUZjUyQ7mf12KjEwWOkWKbOPZrlnJWl9XzUp2R5xQyBnIdlGIWbCgsf-unR4akc0oPhS4bL-Kw_38QZDD8go4q9q_ouCG-8U66NgHoe/s1600/images+%252825%2529.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="545" data-original-width="398" height="640" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjsqVnxiyGOg13SiMQen8eOS56p8Om2l1qg4RUYSUUZjUyQ7mf12KjEwWOkWKbOPZrlnJWl9XzUp2R5xQyBnIdlGIWbCgsf-unR4akc0oPhS4bL-Kw_38QZDD8go4q9q_ouCG-8U66NgHoe/s640/images+%252825%2529.jpeg" width="466" /></a></div>
<br />
<br /></div>
Apu Nazrulhttp://www.blogger.com/profile/04784453325710400219noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-2113593281604286693.post-77736099974021316032020-05-23T00:51:00.001-07:002020-05-23T00:51:06.021-07:00পৃথিবীর দুর্লভতম বোস্তামী কচ্ছপ বেঁচে থাকুক <div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgYeFaTmidHJRfcgEk20fiuA42MLt-PG93ZF0wO69QgNa0WZam6Y93oCdjNPzBba3YLe6Db6_Wrj5nvIA_h_dMxcN7a4EJsDFK9FmwdBGgbU4G2NtImg9VmbLLKaiw9nQ6GZlsDIS0XaK54/s1600/FB_IMG_1590217658820.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="810" data-original-width="1080" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgYeFaTmidHJRfcgEk20fiuA42MLt-PG93ZF0wO69QgNa0WZam6Y93oCdjNPzBba3YLe6Db6_Wrj5nvIA_h_dMxcN7a4EJsDFK9FmwdBGgbU4G2NtImg9VmbLLKaiw9nQ6GZlsDIS0XaK54/s1600/FB_IMG_1590217658820.jpg" /></a></div>
আজ বিশ্ব কচ্ছপ দিবস। নিরীহ প্রাণী কচ্ছপ এদেশে ছিলো কুকুর, কাক বা চড়ুই এর মত আশেপাশের কমন একটা প্রাণী। আগে গ্রামে বা শহরে পুকুরে, খালে, বিলে বা নদীতে সর্বত্র কচ্ছপ দেখা যেতো। কিন্তু আজকাল কারো সাতে-পাঁচে না থাকা এই প্রাণীটি মানুষের লোভ আর সর্বগ্রাসী ক্ষুধার শিকার হয়ে বিলুপ্তপ্রায়। আজ লিখবো বিরল হতে থাকা কচ্ছপের মধ্যেও বিরলতম অথচ আমাদের অঞ্চলে এন্ডেমিক একটি বিশেষ প্রজাতির কচ্ছপ নিয়ে৷<br />
<br />
বোস্তামী কাছিম একটি অত্যন্ত বিরল এবং চরমভাবে বিপন্ন প্রজাতির কচ্ছপ। এতোদিন জানতাম পৃথিবীতে শুধুমাত্র চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামীর তথাকথিত মাজারে এই প্রজাতির কাছিম পাওয়া যায়। (তথাকথিত বলার কারণ উনার কবর এখানে নয়। তিনি চট্টগ্রাম থেকে বোস্তাম শহরে ফিরে যাওয়ার পর মারা যান।) কিন্তু পরে দেখলাম ত্রিপুরার মাতারবাড়ি, ত্রিপুরাশ্বরী ও আসামের কামরুপ কামাখ্যাসহ আরো কয়েকটি মন্দিরের পুকুরেও কিছু বোস্তামী কাছিম সংরক্ষিত আছে। চট্টগ্রাম, ত্রিপুরা ও আসামের ধর্মীয় স্থাপনাগুলোর বাইরেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঠাকুরগাঁওয়ের বিল, নেত্রকোনার কংশ, ফেনীর মুহুরী, মানিকছড়ির হালদা ও শ্রীমঙ্গলে বোস্তামী কাছিম পাওয়া গেছে। সেগুলোর ডিএনএ টেষ্টের পর তা বোস্তামী কাছিমের সাথে ম্যাচ করেছে। এমনকি এই চলমান ২০২০ সালেও ঠাকুরগাঁওয়ে বোস্তামী কাছিমের প্রজাতি পাওয়া গেছে এবং ডিএনএ ম্যাচ করেছে। যদিও সেগুলোর অনেকগুলোর সাইজ ও রঙ ভিন্ন ছিলো। তবে চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামীর মাজারের পুকুরে এই কাছিম আছে বিপুল পরিমাণে। এর অনেকটাই কৃতিত্ব পাবে IUCN. কারণ তারা হ্যাচ করার সুব্যবস্থা করে গত দশ বছরে সংখ্যাবৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে।<br />
<br />
ছোটবেলায় গ্রাম থেকে আত্মীয়-স্বজন আসলে আব্বা-আম্মাকে দেখতাম ফয়স লেক-পতেঙ্গার সাথে সাথে বায়েজিদ বোস্তামীর মাজারেও বেড়াতে নিয়ে যেতেন। আমিও ছোটবেলায় এই কাছিমগুলোকে প্রচুর পাউরুটি কলা খাইয়েছি কাঠিতে গেঁথে। বিয়ে ও আমার জন্মের কারণে ইন্টারের দীর্ঘ গ্যাপের পর আম্মা ডিগ্রী পড়া শুরু করেছিলেন তখন। তাই বাসায় ঢালী সাহেবের কিছু মোটা মোটা ইসলামিক স্টাডিজের ইতিহাস বই ছিলো। এসব বই পড়ে বোস্তামী কাছিম সম্পর্কে আমার ধারণা ছোটবেলা থেকেই বেশ ক্লিয়ার ছিলো এবং এখন আরো ক্লিয়ার হয়েছে যে আরো কয়েক জায়গায় টিকে থাকলেও চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামীর মাজারের কাছিম আসলেই ইউনিক এবং এটি চট্টগ্রান তথা আমাদের বাংলাদেশের গর্ব। আমি যখনই চিটাগাং শহরে কোন ফরেন ট্যুরিষ্ট হ্যান্ডেল করি তাঁকে অতি অবশ্যই বায়েজিদ বোস্তামীর মাজারে নিয়ে যাই। এখন পর্যন্ত ফিডব্যাক খুবই ভালো। আমার বিশ্বাস আমরা চাইলেই এটিকে উপজীব্য করে স্পিরিচুয়াল ট্যুরিজমের বিকাশ ঘটাতে পারি। কিন্তু সেজন্য সবার আগে বাঁচাতে হবে কচ্ছপগুলোকে৷ এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সুদৃষ্টি ও সচেতনতা কামনা করছি।</div>
Apu Nazrulhttp://www.blogger.com/profile/04784453325710400219noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-2113593281604286693.post-35905072094642954342020-05-12T07:17:00.002-07:002020-05-12T07:18:25.526-07:00সাবু-রাকা-বিল্লু-পিংকি-চাচা চৌধুরীঃ মনে পড়ে যায় আমার শৈশব! <div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<br /></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
</div>
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh8HIkIieWqCeqsnKOfpRyJkGxktrW-CHUZnKdmMZI6p7lRn8ioSwEN7JhkjM7ijVWTrxVS3vcvml3zFhyphenhyphenAHdMBPnfdppXHWSfFIxihqpszgnq0iqa_MK8n8LfiPbaJ3NCA6jDeCe1CfxUp/s1600/images+%252839%2529.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="633" data-original-width="485" height="640" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh8HIkIieWqCeqsnKOfpRyJkGxktrW-CHUZnKdmMZI6p7lRn8ioSwEN7JhkjM7ijVWTrxVS3vcvml3zFhyphenhyphenAHdMBPnfdppXHWSfFIxihqpszgnq0iqa_MK8n8LfiPbaJ3NCA6jDeCe1CfxUp/s640/images+%252839%2529.jpeg" width="488" /></a></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<br /></div>
নব্বই দশকের শেষদিকে ভারত থেকে আমদানী করা একটা চাচা চৌধুরীর দাম ছিলো ১৫ টাকা! ১৫ টাকার মূল্য কত বুঝতে হলে জানা দরকার তখন হলুদ রিং চিপসের দাম ছিলো ৩টাকা, সবুজ পটেটো ক্র্যাকার্স ৬টাকা, দুই কোয়া কমলার ছবি দেয়া মিমি চকলেট বার ৪/৮ টাকা আর ২৫০ এমএল একটা কোকের দাম ছিলো ৫-৭ টাকা! ওয়ান-টুতে পড়ি, স্কুলে গেলে টিফিন বাবদ ২ টাকা পাওয়া যেতো! ২ টাকা থেকে ১ টাকা করে জমালে ১৫ দিনে ১৫টাকা জমার কথা! কিন্তু জমাতে পারতাম না কারণ সেই বয়স থেকেই আমি অমিতব্যয়ী! সপ্তাহান্তে পরিবারের সাথে ২৫ টাকা ভাড়ার টু-স্ট্রোক বেবিট্যাক্সি চেপে নিউ মার্কেট/লাকী প্লাজা/মিমি গেলে আর সেখানে আম্মার আঁচল ধরে ঝুলে থাকতে পারলে তবেই পাওয়া যেতো একটা ইন্ডিয়ান কমিকস! বুকল্যান্ড, কারেন্ট বুক সেন্টাল, কমার্শিয়াল বাইন্ডার্স, উজালা আরো কি কি যেন ছিলো! কদিন পর ফুটপাতে কমিকস বেচাবিক্রি দেখে বুদ্ধি খুলে গেলো, তারপর থেকে সেই ১৫ টাকা দিয়েই নুপুর মার্কেট থেকে কিনতাম ৩-৪টা! বারো ভূতে লুটেপুটে খাবার আগে এভাবে আমার কাছে জমছিলো প্রায় চারশো কমিকস। এই সবকিছুই পড়তে শেখার পরের কয়েকবছরের গল্প। সেসময় কাগজের ঠোঙা থেকে শুরু করে যা পেতাম তাই পড়তাম, যেসব বাসায় বই আছে সেসব বাসায় বেড়াতে যেতে ভালো লাগতো। অবাক লাগে, আমার অত জ্ঞানতৃষা কোত্থেকে এসেছিলো আর এখন গেলোই বা কই! 🤪<br />
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjVpMnNSsVztwQaFPvYcK1VTtZJMJmnf_zsT9ms18Ij9iZrEiUWkSk3yGjFN6ljxjmcb-mMexp7mJHTJOZW8iI9D06XkdLvA3sOXzq1j25bawUE-wI2S9pY8zQP1sN4wi8JBjQtCDzWfKOv/s1600/images+%252848%2529-01.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="417" data-original-width="318" height="640" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjVpMnNSsVztwQaFPvYcK1VTtZJMJmnf_zsT9ms18Ij9iZrEiUWkSk3yGjFN6ljxjmcb-mMexp7mJHTJOZW8iI9D06XkdLvA3sOXzq1j25bawUE-wI2S9pY8zQP1sN4wi8JBjQtCDzWfKOv/s640/images+%252848%2529-01.jpeg" width="488" /></a></div>
<br />
<br />
তখন যেসব কমিকস পড়তাম সেসবের কিছু সিগনিফিকেন্ট ব্যাপার মেমোরি থেকে লিখছি৷ ভুলে যাওয়া কারো কারো মনে পড়ে যেতে পারে!<br />
<br />
*চাচা চৌধুরীর বুদ্ধি কম্পিউটারের চেয়েও প্রখর!<br />
<br />
*পুরোনো কমিকসগুলোতে চাচা কাবুলী আর কটি পড়তেন। আধুনিকগুলোতে শার্ট-টাই-ওয়েষ্টকোট!<br />
<br />
*জুপিটার থেকে আগত এলিয়েন চাচার চ্যালা সাবু রাগলে দূরে কোথাও আগ্নেয়গিরি ফেটে যায়। তার প্রিয় খাবার মটর পোলাও ও চাচীর তৈরী হোমমেড লস্যি! (এটা কি জিনিস তখন বুঝতাম না।)<br />
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgDumAyBL8ejdEAMhDE9bfXOrWvgQL8iClI-U0ZAmRvL3qACHl_F-3ig0rIvZnPMxVSJ-d7LoUoyB5ZzVyoW4ABp9Trk6l7J5G7DxkdlKokN5ilYfRyXMD1XEVYY6MN9Q_S9wDkPsmlBTtK/s1600/34933622._SX318_.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="452" data-original-width="318" height="640" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgDumAyBL8ejdEAMhDE9bfXOrWvgQL8iClI-U0ZAmRvL3qACHl_F-3ig0rIvZnPMxVSJ-d7LoUoyB5ZzVyoW4ABp9Trk6l7J5G7DxkdlKokN5ilYfRyXMD1XEVYY6MN9Q_S9wDkPsmlBTtK/s640/34933622._SX318_.jpg" width="448" /></a></div>
<br />
<br />
*রাকা ভুলে যাওয়া বিজ্ঞানীর তৈরী অমরত্বের অদ্ভুত আরক পান করেছিলো। তাই রাকার মৃত্যু নেই। নানা জায়গায় বন্দি করে রাখলেও কদিন পর পর সে ভেজাল করতে হাজির হয়ে যেতো।<br />
<br />
*ক্যানেস্তারা কি জিনিস বুঝতাম না তখন কিন্তু টিঙ্কু মাষ্টারকে ঐ বস্তু ফাটিয়ে বা রকেটে চড়িয়ে শনির বলয়ের আশেপাশে ঘুরিয়ে আনা যেতো বা পাওয়ার কমিয়ে দশ তলায় তুলে দেয়া যেতো! 🤪<br />
<br />
*চাচা চৌধুরীর ভাইয়ের নাম ছিলো রাজু চৌধুরী।<br />
<br />
*চাচা চৌধুরীর কুত্তার নাম ছিলো রকেট। গাড়ির নাম ছিলো ডগডগ!<br />
<br />
*বিল্লুর চোখ ঢেকে দেয়া চুলের স্টাইলটা তখন চলতো বেশ, বিল্লুর গার্লফ্রেন্ডের নাম ছিলো জোজি!<br />
<br />
*বিল্লুর শত্রু জয় বজরঙবলি বলে হাউকাউ করা সেই বোকা পালোয়ানটার নাম কি ছিলো মনে নাই!<br />
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiw-v8f50rDQ_WlS4ItYz2LkC2lSVs81-uXcF4UUohw1ZCVBopcOeLT926H9IpNWXfMG9DD_zWXAzS45CyBhM770v6S7ur-ApLKX-6wE1iLVRVDLB1S6Ad5nJQw0vT4HSsGuFLOr1Wc2feP/s1600/images+%252841%2529.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="494" data-original-width="388" height="640" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiw-v8f50rDQ_WlS4ItYz2LkC2lSVs81-uXcF4UUohw1ZCVBopcOeLT926H9IpNWXfMG9DD_zWXAzS45CyBhM770v6S7ur-ApLKX-6wE1iLVRVDLB1S6Ad5nJQw0vT4HSsGuFLOr1Wc2feP/s640/images+%252841%2529.jpeg" width="502" /></a></div>
<br />
<br />
*বেটে পিঙ্কি কারেকটারটা আজকাল কেমন যেন প্রথম আলোতে ছাপা হওয়া ন্যান্সির মতো লাগে! (যদিও আমার ফ্রিজটি খালাকেই বেশি পছন্দ ;)<br />
<br />
*পিংকির বন্ধুর নাম গব্দু ও পোষা কাঠবিড়ালির নাম কুটকুট<br />
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhEJQulqaB-kC3dh9J7Mz-M4B1VWZ2xDaR1lkR0mwER_5P9Oy7JOxLDp1qL6h5DHGWEHtS89676keahAAnIMVmiHmWnCVv5wBtvYa-EqlLYKC2MztFSvZKjqbC6ZvZ05lGQK0FGPBEEayqF/s1600/images+%252847%2529-01.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="635" data-original-width="473" height="640" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhEJQulqaB-kC3dh9J7Mz-M4B1VWZ2xDaR1lkR0mwER_5P9Oy7JOxLDp1qL6h5DHGWEHtS89676keahAAnIMVmiHmWnCVv5wBtvYa-EqlLYKC2MztFSvZKjqbC6ZvZ05lGQK0FGPBEEayqF/s640/images+%252847%2529-01.jpeg" width="476" /></a></div>
<br />
<br />
*রমন ছিলো বোকা ছাপোষা কেরানী। আরেকটা কমিকস ছিলো গৃহবধুর কারেকটারের, নাম শ্রীমতি জী। আমি পড়তাম শ্রীম তিজী!<br />
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiqqthCSsZF8lBBZnFxa75vrs4q3-sA_0aPR-L8FQy-krjH08FkicZYpd2FHZCOXLZQFg7wzs_mGFwN1Rny6XQSw29NlPKSi6Mk_Tvw8IaiK2ObypVnrBwqviWROQt7ECnyNnXRUTv1bxh-/s1600/images+%252844%2529.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="506" data-original-width="392" height="640" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiqqthCSsZF8lBBZnFxa75vrs4q3-sA_0aPR-L8FQy-krjH08FkicZYpd2FHZCOXLZQFg7wzs_mGFwN1Rny6XQSw29NlPKSi6Mk_Tvw8IaiK2ObypVnrBwqviWROQt7ECnyNnXRUTv1bxh-/s640/images+%252844%2529.jpeg" width="495" /></a></div>
<br />
<br />
*লম্বু-মোটু, অগ্নিপুত্র অভয় ছিলো ফাউল টাইপ। এইগুলো একবার কিনে আর কিনি নাই৷<br />
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhsDgfQWMqaNjlSxKSjRQ5tVF_NfewYLGQWdheYya7Nvwm5P0lBy9NhNRKJS88SNkdJmjLYa8aHybz8ygYlfmZcXUKlJzhxtDDF4Ni9-kR-B3wnV_Bn1T77UEuASqdDdVCymaOnKKe8xSwE/s1600/images+%252842%2529.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="627" data-original-width="489" height="640" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhsDgfQWMqaNjlSxKSjRQ5tVF_NfewYLGQWdheYya7Nvwm5P0lBy9NhNRKJS88SNkdJmjLYa8aHybz8ygYlfmZcXUKlJzhxtDDF4Ni9-kR-B3wnV_Bn1T77UEuASqdDdVCymaOnKKe8xSwE/s640/images+%252842%2529.jpeg" width="498" /></a></div>
<br />
*ডাইনামাইটেই প্রথম বিকিনি পরা নারীদেহের কার্টুন দেখছিলাম! বলেন কোন মানে আছে শিশুদের এভাবে নষ্ট করার? 😇😂<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjK0bYvPRoU1Ug2KtLCHtrnoCoR3e8138Ym8wx_u3d-mz4ou4WjE1_8Cp156XyZ41TwJVIAoeVtRmRxHWyEm1tKMgYPf2jxV5-SMtK2Oeq70hWhjSYBD-6kMrmdrabLduZrGRXosEw9Xmx2/s1600/images+%252845%2529.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="511" data-original-width="410" height="640" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjK0bYvPRoU1Ug2KtLCHtrnoCoR3e8138Ym8wx_u3d-mz4ou4WjE1_8Cp156XyZ41TwJVIAoeVtRmRxHWyEm1tKMgYPf2jxV5-SMtK2Oeq70hWhjSYBD-6kMrmdrabLduZrGRXosEw9Xmx2/s640/images+%252845%2529.jpeg" width="512" /></a></div>
<br />
<br />
*চান্নি চাচী বলেও একটা সিরিজ ছিলো। মেইন কারেকটার মোটা একটা আন্টি।<br />
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj_psfoGLneROh3XKdR4VXRprvzpiT2dBnPcucVLdNlHm0uWmQdrivCAA9cKahA-cWwFgGxiV5RQOSZOJYevrjFsOs9vODLlOm5k9zLzZCgvQw-XX36-XM9BXw4pTUb-mtWTihraMObpSKl/s1600/images+%252846%2529.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="436" data-original-width="360" height="640" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj_psfoGLneROh3XKdR4VXRprvzpiT2dBnPcucVLdNlHm0uWmQdrivCAA9cKahA-cWwFgGxiV5RQOSZOJYevrjFsOs9vODLlOm5k9zLzZCgvQw-XX36-XM9BXw4pTUb-mtWTihraMObpSKl/s640/images+%252846%2529.jpeg" width="528" /></a></div>
<br />
<br />
*হি-ম্যান ছিলো আমার কেনা প্রথম কমিকস। চটি সাইজ। ৫টাকা। আমার আঁকা প্রথম সুপারহিরো হিম্যান, বেশ ভালো আঁকতাম তখন!<br />
<br />
*ফ্যান্টমঃ চলন্ত অশরীরী! ফ্যান্টম পড়ে ভূগোলের অনেক কিছু শিখছিলাম। এটা প্রাণ বা ডায়মন্ড কমিক্সের প্রোডাক্ট ছিলোনা! ছিলো গ্লোবাল প্রোডাক্টের ইন্ডিয়ান এডাপ্টেশন।<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiWS6hZrOrNa1PlCpxQhcB98pWx5zFygMcDh4D4Mp_0aNERtn7TGJkN_hidIh49tPY8Otv4NYuivOggnLlt8q3dK2NG8QuMt8t3R_XO5OBcTPM9iUfJ1FPBFr8FoR89T_DTuQZtqAtGzr6g/s1600/images+%252842%2529-01.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="500" data-original-width="400" height="640" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiWS6hZrOrNa1PlCpxQhcB98pWx5zFygMcDh4D4Mp_0aNERtn7TGJkN_hidIh49tPY8Otv4NYuivOggnLlt8q3dK2NG8QuMt8t3R_XO5OBcTPM9iUfJ1FPBFr8FoR89T_DTuQZtqAtGzr6g/s640/images+%252842%2529-01.jpeg" width="512" /></a></div>
<br />
<br />
<br />
(আরেকটা কথা তখনো কিন্তু পত্র-পত্রিকায় ভারতীয় কমিকসের আগ্রাসন টাইপের মাতম চলতো। কিশোরপত্রিকা ও পত্রিকায় সিরিয়াস সিরিয়াস সব স্বাক্ষাৎকার দিতো সূচিপত্র প্রকাশনের মালিক বারী ভাইরা যারা প্রথমদিকে বাংলাদেশ থেকে বাংলা কমিকস বের করতো। যেমন হাউকাউটা আমরা কয়েক বছর আগে হিন্দি ডোরেমন নিয়ে করলাম সেরকম!)<br />
<br />
কত বছর এইসবের সাথে সম্পর্ক নাই! ২০ বছর তো হবেই! তাও এইসব অর্থহীন কথাবার্তা এখনো মাথায় গেঁথে আছে! কি আর করার! শৈশবের তুচ্ছ ব্যাপারগুলোও গুরুত্বপূর্ণ ভেবে নিউরণ সংরক্ষণ করে রেখেছে! শৈশবের সৌন্দর্যই এইসব অর্থহীন লেইমনেস! বাকিদের কাছে কাঁচ-পুতির মূল্যহীন কিন্তু যার যার স্মৃতি তার তার কাছে এসবই চকচকে হীরা-চুনি-পান্না!<br />
<br />
এসব চরিত্রের স্রষ্টা ডায়মন্ড কমিকসের "প্রাণ" কুমার শর্মা আপনি আজ নাই। কিন্তু আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা থাকলো আমাদের রঙ্গিন শৈশবে আরো কিছু রঙ ছড়িয়ে দেবার জন্যে! ইউ উইল বি রিমেমবার্ড!<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjc2SVPkXyDxBI8Ug7QSOBp1zQ4utFLbEfiL-HZNCwirAlYxPOoLAgwO-xvmV3uTYlfscxxaXXxTeW0_iZDE0KIC8LYmlzQQIsJfiULWHNYlNoaOESS2yTk69674LS1CLye8NpE1j8f9rv_/s1600/images+%252836%2529-01.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="479" data-original-width="623" height="492" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjc2SVPkXyDxBI8Ug7QSOBp1zQ4utFLbEfiL-HZNCwirAlYxPOoLAgwO-xvmV3uTYlfscxxaXXxTeW0_iZDE0KIC8LYmlzQQIsJfiULWHNYlNoaOESS2yTk69674LS1CLye8NpE1j8f9rv_/s640/images+%252836%2529-01.jpeg" width="640" /></a></div>
<br />
<br />
(লেখাটা ছয় বছর আগে প্রাণ যেদিন মারা গিয়েছিলেন সেদিন পোষ্ট করেছিলাম। আর এখানে শুধুমাত্র প্রাণের ডায়মন্ড কমিকস থেকে বের হওয়া কারেক্টার গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি তাই টিনটিন, নন্টেফন্টে, হাদাভোদা বা বাঁটুলের কথা আলোচনায় আসেনি।)</div>
Apu Nazrulhttp://www.blogger.com/profile/04784453325710400219noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-2113593281604286693.post-30276536509603260592020-05-11T15:25:00.005-07:002022-01-24T09:47:41.544-08:00ওরা গেলো কোথায়? (এই শতাব্দীতে বাংলাদেশ ভূখন্ডে বাঘের বিচরণ) <div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><div class="separator" style="clear: both;"><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEhKrDZo6XaeyM_r7q85OREvRBhFnpq1DixBpwG8onvOxB6ynezNj5GDiO01TO1WA0T4ZlQb0pjkcPyfWFLtWrkphePJuQf0IhqhZi9P-49FWIHhwYs4xSI8TKmOXWXZOO_L2bahwIPYa2wFXVpzS9S49SzAg4Xrjm0Cu0JtfNUFTpU6sx1sF1ZIh1zj8Q=s1080" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="867" data-original-width="1080" height="257" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEhKrDZo6XaeyM_r7q85OREvRBhFnpq1DixBpwG8onvOxB6ynezNj5GDiO01TO1WA0T4ZlQb0pjkcPyfWFLtWrkphePJuQf0IhqhZi9P-49FWIHhwYs4xSI8TKmOXWXZOO_L2bahwIPYa2wFXVpzS9S49SzAg4Xrjm0Cu0JtfNUFTpU6sx1sF1ZIh1zj8Q=s320" width="320" /></a></div><br />ওরা গেলো কোথায়? </div><div class="separator" style="clear: both;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both;">এমনকি পাঁচ-ছয় দশক আগেও দেশজুড়েই ছিলো রয়েল বেঙ্গল টাইগারের বিস্তৃতি। দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বাঘাবাড়ি, বাঘা, বাঘবেড়, বাঘাদিয়া, বাঘের টেক, বাঘঘোনা, টাইগার হিল, টাইগার পাস ইত্যাদি নানা নামের এলাকাই তার স্বাক্ষী৷ বহু সাহিত্যে সারা বাংলা জুড়েই বাঘের আনাগোনা দেখা গেছে তাই বাগধারাতেও উঠে এসেছে যেখানে বাঘের ভয়, সেখানেই নাকি সন্ধ্যা হয়! এইতো সেদিন, ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত বাঘ বিবেচিত জতো জনদূর্ভোগ হিসেবে। তাই বাঘ মারলে মিলতো আর্থিক প্রণোদনা৷ বন বিভাগে চাকুরীই ছিলো শিকারী পদবিতে৷ বিখ্যাত পচাব্দী গাজীরাও ব্যক্তিগতভাবে বা বন বিভাগের হয়ে শখানেক বাঘ মেরেছেন মূলত নেশা আর আর্থিক প্রনোদনার কারণেই। আর রাজা-বাদশা-নবাব থেকে অধুনালিপ্ত জমিদারদের জন্য বাঘমারা ছিলো আভিজাত্যের প্রকাশ। </div><div class="separator" style="clear: both;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both;">দেশজুড়ে জড়িয়ে থাকা সেইসব বাঘ মেরে, জঙ্গল কেটে কবেই শহর বানিয়ে ফেলেছি আমরা। এখন প্রচলিত মতানুসারে তারা শুধু সুন্দরবনেই টিকে আছে। ক্যামেরা ট্র্যাপ পদ্ধতিতে করা সাম্প্রতিক বাঘশুমারী বলছে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ১১৪টি। কিন্তু সুন্দরবনের অতি পরিশ্রমী বাঘের বাইরেও সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা এত এত বাঘ কি একদমই বিলুপ্ত হয়ে গেলো? তা কিভাবে সম্ভব? আমাদের আছে বিস্তৃত পার্বত্যাঞ্চল, সিলেটের সীমান্ত সংলগ্ন পাহাড়ী জঙ্গল। কোন না কোন বনে এক-আধটা বাঘ তো থেকে যেতেই পারে! তাইনা? এগুলো বাস্তব না জানি। কারণ এখন আর এসব অঞ্চলে বাঘ সার্ভাইভ করার মত শিকার নেই। তবু এই কল্পনাবিলাসে বিশাল আনন্দ কারণ বাঘ থাকলে আমাদের পার্বত্য বনও মানুষের হাত থেকে থাকতো সুরক্ষিত!!</div><div class="separator" style="clear: both;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both;">কয়েক বছর আগে দার্জিলিং পাড়ার কারবারীর কাছে বাঘ দেখার স্বাক্ষীর সন্ধান পেয়ে তার খোঁজে নিকটবর্তী ম্রো পাড়ায় গেলাম। তিনি ছিলেন অনুপস্থিত বাট গল্পটা দেখলাম সবাই জানে৷ কাছাকাছি ঘটনা শুনলাম লামাফেরত একজনের মুখে। রুমার গহীনে মদের নেশায় চূর এক দাদা শুনিয়েছিলেন ছোটবেলায় তার বাঘের বাচ্চা পোষ মানানোর গল্প। তবে এর সবই অনির্ভরযোগ্য সূত্র! </div><div class="separator" style="clear: both;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both;">এই বিষয়ে তিন বছর আগে ইংল্যান্ডের দ্যা গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত পার্বত্য চট্টগ্রামে CCA'র খুঁজে পাওয়া বাঘের পায়ের ছাপের ছবিই এখন পর্যন্ত একমাত্র প্রামাণ্য এভিডেন্স। এই নিউজটি প্রথম আলোসহ দেশের অনেক মিডিয়া ফলোআপ করলেও সুন্দরবনের বাইরে বাঘের অস্তিত্ব নিয়ে দেশবাসী রয়ে গেছে সেই তিমিরেই! </div><div class="separator" style="clear: both;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both;">অথচ ২০০৮ সালে সিলেটের পাথারিয়া পাহাড়ে বাঘ দেখার দাবীদার পাওয়া গেছে। লাঠিটিলার জঙ্গলে বাঘ দেখেছেন এমন দাবীদারও মিলেছে। যারা দেখেছেন তারা শিকারী মানুষ। হরিণ-শুকর মারতে বনে যায়। তারা চিতা আর বাঘের প্রভেদ করতে জানে। </div><div class="separator" style="clear: both;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both;">সাজেক ভ্যালি নাম হলেও এটি কিন্তু আদতে ভ্যালি নয়, পাহাড়। সাজেকের পুবে মিজোরামের বিস্তৃত জঙ্গল। গুগল আর্থে খুঁজলে দেখা যায় ডামপা টাইগার রিজার্ভ নামের এক অভয়ারণ্য। সুখের সংবাদ কিছুদিন আগে বহুবছর পর ডামপায় বাঘের দেখা মিলেছে। এর উত্তর-পশ্চিমে আমাদের দেশের কাসালং রিজার্ভ ফরেষ্ট। গুগল আর্থে দেখলে দেখবেন কি ভয়াবহ ঘন বুনটের বন। সেই বনে অন্তত ৮টি বাঘ আছে বলে এক গবেষকের অনুমান। আর স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী তো আছেই। সর্বশেষ ২০১০ সালেও সুনির্দিষ্টভাবে বাঘ দেখার দাবী পাওয়া গেছে কাসালং রিজার্ভে। </div><div class="separator" style="clear: both;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both;">আমার দুই প্যারা আগে বর্ণিত ঘটনার বাইরেও ২০০৪ ও ২০১১ সালে বান্দরবানের সাঙ্গু রিজার্ভে বাঘ দেখার প্রত্যক্ষদর্শী পাওয়া গেছে। কেউ কেউ বলছেন সেখানে অন্তত তিনটি বাঘের আনাগোনা থাকতে পারে। আর যেহেতু বাঘের বিচরণস্থল শত শত বর্গকিলো হতে পারে তাই বাঘগুলো সীমান্তের এপার ওপার করতেই পারে। অসম্ভব কিছুনা। </div><div class="separator" style="clear: both;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both;">সর্বশেষ বাঘ দেখার খবর শুনলাম বান্দরবান-রাঙামাটির রাইক্ষ্যং ভ্যালিতে। বাঘ গবেষক ড. মনিরুল এইচ খানকে দু-তিন বছর আগে আজকের দিনে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি জানিয়েছেন, রাইক্ষ্যং ভ্যালিতে সীমান্তের এক আদিবাসী শিকারী বাঘ শিকার করতে সক্ষম হয়েছিলেন কয়েক বছর আগে। বাঘের চর্বি -চামড়া মিয়ানমারে বিক্রি হয়েছে বিশ হাজার টাকায়। সে টাকায় সেই আদিবাসী শিকারী তার পরিবারের জন্য সোলার কিনেছেন। </div><div class="separator" style="clear: both;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both;">সবকিছু মিলিয়ে আমরা আশা করতেই পারি যে সুন্দরবনের ১১৪ টি ছাড়াও আরো অন্তত কিছু বাঘ টিকে আছে আমাদের সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বা সন্নিহিত প্রতিবেশী দেশের বনে। তবে আমরা গত ৩০-৪০ বছরে যেভাবে আমাদের পার্বত্যাঞ্চল ধ্বংস করেছি তাতে পর্যাপ্ত খাবারের অভাবে উচ্চস্তরের খাদক এখানে খাদ্যসংকটে ভুগবে। তাই হয়তো বাঘের এখানে স্থায়ীভাবে আবাস গড়ার সুযোগ নেই। তবে অপরিকল্পিত জুমচাষ, বসতি, পাহাড় কাটা, লগিং, পাথর উত্তোলন বন্ধ করা হলে গড়ে উঠবে নিবিড় বনভূমি৷ সেইসাথে মায়া হরিণ, গাউর, সম্বরের সংখ্যাবৃদ্ধি হলে বাঘ হয়তো স্থায়ীভাবেই ফিরে আসবে পার্বত্যাঞ্চলে। (সুন্দরবনের বাইরের বাঘ নিয়ে যার যা কিছু জানাশোনা, ধারণা কমেন্টে শেয়ার করতে পারেন।)</div><div class="separator" style="clear: both;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both;">বাঘ বা রয়েল বেঙ্গল টাইগার পৃথিবীর সুন্দরতম প্রাণী৷ আরো গর্বের ব্যাপার যে এই বাঘের নামকরণ আমাদের নিজস্ব জনপদ বাংলার নামেই। প্রাকৃতিক বনভূমিতে বাঘের অস্তিত্ব একটি দেশের মর্যাদা বাড়িয়ে তুলে বহুগুনে। পৃথিবীতে মাত্র ১৩ টি দেশে বাঘ টিকে আছে। আমরা সেই গর্বিত ১৩ টি দেশের অন্যতম। আমার আশাবাদ সুন্দরবনের বাইরেও বাঘ একেবারে হারিয়ে যায়নি। তারা আছে হয়তো এবং যদি সত্যিই তা হয় তবে ব্যাপারটা দারুন হবে। এখন অপেক্ষা শুধু প্রামাণ্য দলিলের। </div><div class="separator" style="clear: both;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both;">বাঘকে আমরা নিজেদের সিম্বল বানিয়েছি তবে কেন বাঘের প্রতি এত অবহেলা? জানি সবাই আছে যার যার ধান্দায় তবু ফান্ডখোর এনজিও, গতিহীন আমলাতন্ত্র আর নীতিহীন রাজনীতিবিদদের অসুন্দর হৃদয়ের বিষাক্ত প্রঃশ্বাস এড়িয়ে এই সুন্দরতম প্রাণ অনন্তকাল সগৌরবে টিকে থাকুক এই ভূখন্ডে৷ আমাদের বাংলায়। বিশ্ব বাঘ দিবস সফল হোক।</div></div></div>
Apu Nazrulhttp://www.blogger.com/profile/04784453325710400219noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-2113593281604286693.post-49873960422295574592020-05-10T00:04:00.000-07:002020-05-10T00:04:19.914-07:00জুমচাষঃ এক পরিবেশবিনাশী কষ্টকর জীবিকা, প্রয়োজন বিকল্প কর্মসংস্থান <div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgrjheWBFwq4Ur7yPT5HmY3lBfC819OmnDMHvkkxSMwvitolYmQIw3QfJ257rXde_giIDHH_Ef3zil0_7TXMXeZKGX0s6M1x32JrQsYHN-dy893fZGKUm9BX-FMgEmD9RDigkjr90z4-hF3/s1600/FB_IMG_1589063245457.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1440" data-original-width="1080" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgrjheWBFwq4Ur7yPT5HmY3lBfC819OmnDMHvkkxSMwvitolYmQIw3QfJ257rXde_giIDHH_Ef3zil0_7TXMXeZKGX0s6M1x32JrQsYHN-dy893fZGKUm9BX-FMgEmD9RDigkjr90z4-hF3/s320/FB_IMG_1589063245457.jpg" width="240" /></a></div>
জুম চাষ আদিবাসীদের শত শত বছরের ঐতিহ্য। পৌষ-মাঘ মাসে সুবিধাজনক সময়ে চাষের জন্য পাহাড়ের ঢালে এক টুকরো জঙ্গল নির্বাচন করে সেই জঙ্গলের সমস্ত গাছ, বাঁশ, ঝাড়-জঙ্গল কেটে ফেলা হয়। কাটার পর যা থাকে তা চৈত্র মাস অবধি রোদে শুকানো হয়। চৈত্রের শুরুতে এতে আগুন দেওয়া হলে শুকিয়ে যাওয়া গাছপালা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সঙ্গে উপরের ১-২ ইঞ্চি মাটিও। ছাই ও পোড়ামাটির জন্য জমি উর্বর হয় ঠিকই কিন্তু মৃত্যু ঘটে সকল ফ্লোরা ও ফনার। এরপর দু-এক পশলা বৃষ্টি হলে জমি ভিজে নরম হয়। এই জমিতে অমানুষিক পরিশ্রমে রক্ত পানি করে চলে জুম পদ্ধতির চাষাবাদ। এক বা দুই বছর পরেই পুরাতন জুম তার উর্বরতা হারিয়ে ফেলে। পরিবেশের এত ক্ষতি আর এত রক্তজল পরিশ্রমের পর জমি যদি দুবছরেই উর্বরতা হারায় তাহলে তা মেনে নেয়া কষ্টের কিন্তু তারপরও পাহাড়ের মানুষগুলোকে আবার নতুন পাহাড় আর বনের গায়ে আগুন দিতে হয় নতুন জুম ক্ষেত্র তৈরীর জন্য কারণ জুমচাষ ছাড়া জীবনধারণের আর কোন পদ্ধতি পাহাড়ের মানুষগুলো জানেনা।<br />
<br />
আমাদের পার্বত্যাঞ্চল আর আগের মত নাই। গত অর্ধ শতাব্দীতে দেশের জনসংখ্যা মাত্র দুই গুন বাড়লেও পার্বত্যাঞ্চলে জনসংখ্যা বেড়ে হয়েছে প্রায় দশগুন। এর মূল কারণ সেটেলাররা। শিশু-মাতৃমৃত্যুর হার কমে গড় আয়ু বাড়ার কারণে আদিবাসীরাও এখন আর সংখ্যায় কম না। তাছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হওয়ায় গত বছর দশেক ধরে গাছ চুরি অতিমাত্রায় বেড়েছে। ইনফ্যাক্ট গাছ চুরির জন্যই অনেক জায়গায় যোগাযোগ নেটওয়ার্ক উন্নত করা হয়েছে। বছর চারেক ধরে শুরু হয়েছে ঝিরি-নদী থেকে পাথর আহরণ। এসব বন্ধে সরকারী এজেন্সিগুলো শুধু ব্যর্থই হয়নি বরং চুরির বখরা নিয়ে নিজেদের কলুষিত করেছে।<br />
<br />
এই বর্ধিত চাপ পাহাড় আর নিতে পারছেনা। প্রাকৃতিক বন কমে আসার কারণে ঝিরি-ঝর্ণা ও নদীর প্রবাহ শুকিয়ে আসছে। বর্ষা ছাড়া এখন সারাবছরই খরা। আর জুম চাষের জন্য উপযুক্ত জমিও আর খুব একটা অবশিষ্ট নাই পাহাড়ে। বিপদে পড়েছে সেসব সরল আদিবাসী জনগোষ্ঠী যারা জুম চাষ ছাড়া আর কিছুই পারেন না। আগে জুমচাষের জন্য পর্যাপ্ত ভূমি পাওয়া যেত বলে উর্বরতা রক্ষার মূল কৌশল হিসেবে প্রাকৃতিক অরণ্য সৃষ্টির জন্য দীর্ঘসময় টার্গেট করা ভূমি অনাবাদি রাখা হতো। কিন্তু সাম্প্রতিককালে অনাবাদি সময়কাল প্রথাগত দশ-চল্লিশ বছর থেকে বিপজ্জনকভাবে দুই থেকে তিন বছরে হ্রাস পেয়েছে। ফলে উৎপাদন ক্রমে এতই হ্রাস পায় যে একটি জুমিয়া পরিবার এক এলাকায় দীর্ঘদিন টিকে থাকতে পারছে না। ব্যাপকভাবে অনুসৃত পদ্ধতি তথা সর্বনিম্ন ১০-৪০ বছর আবর্তনকাল ফেলে রাখার মত জমির অপ্রাপ্যতার কারণেই গত কয়েক বছরে নানা প্রলোভনে পড়ে অনেক জুমিয়া পরিবার সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বার্মা চলে গেছে, এখনো যাচ্ছে, সামনে আরো যাবে। সংজ্ঞায়ন নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে কিন্তু এভাবে যারা দেশত্যাগ করছে তাদেরকে আমি মূলত 'ক্লাইমেট রিফিউজি' হিসেবেই চিহ্নিত করবো৷<br />
<br />
জুমচাষ পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি করে। জুমচাষের ক্ষতিকর প্রভাবের মধ্যে রয়েছে মাটির উর্বরতা হ্রাস, ভূমিক্ষয়, বন উজাড়, বন্য পশুপাখির আবাসস্থল ধ্বংস এবং নদী ও হ্রদসমূহ ভরাট হওয়া। বর্তমান বাস্তবতায় প্রচলিত জুম চাষ করে পাহাড়ীরা আর অন্ন যোগাতে পারবেনা। তাই ট্যারেস ফার্মিং, ফলের বাগান, সমন্বিত চাষাবাদ উন্নয়নের ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে। তবে সকল কর্মকান্ডই করতে হবে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের বাইরে। সেইসাথে স্থানীয় পাহাড়ি জনগোষ্ঠী ছাড়া বহিরাগত কাউকে বা কোন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানকে ভূমি বরাদ্ধ দেয়া যাবেনা। বিকল্প কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা করে সংরক্ষিত বনভূমিতে নতুন করে আগুন দিয়ে জুমচাষ নিষিদ্ধ করা ভিন্ন পাহাড়ের পরিবেশ ও মানুষকে রক্ষার আর কোন উপায় নেই। অন্যথায় আগামী এক যুগ পরই সমতল থেকে রিসোর্স নিয়ে পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষকে খাওয়াতে হবে।<br />
<br />
সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অবৈজ্ঞানিক জুম চাষ বন্ধ হোক।</div>
Apu Nazrulhttp://www.blogger.com/profile/04784453325710400219noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-2113593281604286693.post-10660572546294051052020-05-08T08:12:00.000-07:002020-05-08T08:12:41.391-07:00মিজোরাম সীমান্তের ঠেগামুখ বা থেগামুখঃ যেখানে কর্ণফুলী প্রবেশ করেছে বাংলাদেশে<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<br /></div>
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi_mZcCW6RUQILb_7HBLGQ7VPcVpivM2eYVzDtS4WNr1oqKPkmmnWvQ74zLx9VqwiBqyKXjgiBEeT8qRU66nbAxEtss6PcRftOTujZjsD2XhSS0dxy9oeR_yC5CBIezg3sAG6oG6lHwWX4T/s1600/FB_IMG_1588948408302.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="802" data-original-width="1080" height="237" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi_mZcCW6RUQILb_7HBLGQ7VPcVpivM2eYVzDtS4WNr1oqKPkmmnWvQ74zLx9VqwiBqyKXjgiBEeT8qRU66nbAxEtss6PcRftOTujZjsD2XhSS0dxy9oeR_yC5CBIezg3sAG6oG6lHwWX4T/s320/FB_IMG_1588948408302.jpg" width="320" /></a></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<br /></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="text-align: left;">ভোর পাঁচটায় ১৬০ লিটার অকটেন স্পীড বোটে তোলা হলো। আসা যাওয়া মিলিয়ে দূরত্ব নেহায়েত কম নয়, ১৯০-২০০ কিলোমিটার হবে। পুরোটাই জলপথ। যাত্রা শুরু হলো। মাঝে বরকল নেমে একটু বাজার ঘুরে এলাম। তারপর কলাবাড়িয়া, ভুষণছড়া ইত্যাদি ছাড়িয়ে ছোট হরিণা বাজার। বাজারে নেমে কিছু বেসিক কেনাকাটা সারলাম। এখানে আগেও একবার এসে একরাত কাটিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু থেগামুখ যাওয়ার অনুমতি মিলেনি। কিন্তু এইবার তো হিসেব আলাদা! 😎 যথাসময়ে জোন হেডকোয়ার্টারে পৌঁছুবার পর জেলা প্রশাসনের সরকারী স্পীড বোটে বাংলাদেশের পতাকা বেঁধে দিলেন বিজিবি জওয়ানেরা। এরপর সীমান্ত নদী ধরে যাত্রা শুরু। একটার পর একটা বিওপি বা সীমান্তচৌকি পার হয়ে চললাম। কিছুদূর যেতেই মিজোরামের উঁচু পাহাড় চোখে পড়লো। নদীর তীর ঘেষে বিএসএফের কয়েকতলা উঁচু চৌকি থেকে সতর্ক জওয়ানের বাইনোকুলারের লেন্সে রোদের ঝিলিক আর কিছু সীমান্ত গ্রাম। আফসোস ওপারে মিজোরামের দূর্গমতম গ্রামগুলোতেও ইতিমধ্যে পৌঁছে গেছে পাকা সড়ক সাথে বিজলি বাতি। রাতের বেলায় ওপারের ঝলমলে আলোর জগত দেখে এপাড়ে বাংলাদেশের দূর্গমতম স্থানে বসবাসকারী আদিবাসী জনগণ ও বিজিবি বাহিনী কি দীর্ঘশ্বাসটাই না জানি ফেলে!</span></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhBAjbF8grf6cb1x_Hhuqv52T0c2KnZuKXpaSbfkWNsIGWUr8B8fqfzEkQZHUZMl2KgNG_2NHtitPw1Ep_upEOKp4q1eC51VusHYA677b8iBNoXFQqKsmZ3YNjmEcvvdPHeZsBWU7X4Yame/s1600/FB_IMG_1588947742610.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="780" data-original-width="1080" height="231" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhBAjbF8grf6cb1x_Hhuqv52T0c2KnZuKXpaSbfkWNsIGWUr8B8fqfzEkQZHUZMl2KgNG_2NHtitPw1Ep_upEOKp4q1eC51VusHYA677b8iBNoXFQqKsmZ3YNjmEcvvdPHeZsBWU7X4Yame/s320/FB_IMG_1588947742610.jpg" width="320" /></a></div>
থেগামুখ বিওপিতে স্বাগত জানালেন বিজিবি সদস্যরা। রীতিমত এসকর্ট দিয়ে ঘুরিয়ে দেখালেন আশেপাশের এলাকা। চার ঘন্টার মত স্থানীয় বাজারে লোকাল লোকজনের সাথে কথাবার্তা বললাম। ভারতীয় পণ্য সহজলভ্য: মুভ স্প্রে আর কিটক্যাট কিনলাম। স্থানীয় বাচ্চাদের সাথে খেললাম। থেগা খালে গিয়ে ভারত থেকে আসা মিজোদের সাথে আলাপ হলো। তারপর থেগা ক্যাম্পের আপ্যায়ণ শেষে তাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে দুপুর আড়াইটা নাগাদ হরিণা জোন হেডকোয়ার্টারে পৌঁছুলাম। হাজির হওয়া মাত্রই খুলে দেয়া হলো সুপরিসর ঝকঝকে তকতকে বিশ্রামাগার। সংলগ্ন ইংলিশ কমোড সমেত বিশাল ওয়াশরুম। আরামসে শাওয়ার নিলাম। নাহ! এই জায়গায় এতোটা আশা করি নাই।<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhjvBB-7Kj4P_PQgTAxcm_dury8YxMZxOnGhX1niV9T1SEiqV5NcvbOSBiUn9bJeR8qfI4r7dyfpqggmxnPEY903NcKQAA7Uh-LGes_j_qD2qvJy0ofeztgn1jbh4t4BIMybnDqOSTgimly/s1600/FB_IMG_1588947731718.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="717" data-original-width="1080" height="212" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhjvBB-7Kj4P_PQgTAxcm_dury8YxMZxOnGhX1niV9T1SEiqV5NcvbOSBiUn9bJeR8qfI4r7dyfpqggmxnPEY903NcKQAA7Uh-LGes_j_qD2qvJy0ofeztgn1jbh4t4BIMybnDqOSTgimly/s320/FB_IMG_1588947731718.jpg" width="320" /></a></div>
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<span style="text-align: left;">ইতিমধ্যে লাঞ্চে স্বাগত জানালেন জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আতিক চৌধুরী ও ক্যাপ্টেন ডা: ইহসান। দেশী মুরগী, লেকের বাতাসী - কাজলী মাছ, শুটকি, নানা পদের শাক ভর্তা ডাল সহ বাংলা খাবারের বিশাল আয়োজন। বাটলাররা খাবার পরিবেশন করছিলো আর খাবার ফাঁকে ফাঁকে আতিক সাহেব ও ইহসান সাহেবের সাথে নানা বিষয়ে আলাপ হচ্ছিলো। দুজনই অত্যন্ত সজ্জন ব্যক্তি। ফর্ক-নাইফ দিয়ে দেশী খাবার খেতে অনভ্যস্ত আমি বেশি সুবিধা করতে পারছিলাম না। খাবার শেষে কয়েক রকম ফল ও ডেজার্ট আসলো।</span></div>
<div dir="ltr">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgIQwvTqQu00GF7LUIEYbSW1TcxQwsva67R233yNp1MsPNmGFZutRA1TRO4-yyXD-abdxE0W8xtqbm4IJCGNMRhuFcoJr0SVKpVauZ01dijoCIPT3s0dbckTvu6lD1u1QHr-2rSyQ8dv2so/s1600/FB_IMG_1588949017624.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="960" data-original-width="534" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgIQwvTqQu00GF7LUIEYbSW1TcxQwsva67R233yNp1MsPNmGFZutRA1TRO4-yyXD-abdxE0W8xtqbm4IJCGNMRhuFcoJr0SVKpVauZ01dijoCIPT3s0dbckTvu6lD1u1QHr-2rSyQ8dv2so/s320/FB_IMG_1588949017624.jpg" width="178" /></a></div>
আমাদের ফেরার তাড়া ছিলো। তাই বিদায়ের অনুমতি চাইলাম। তড়িঘড়ি করে উনি অফিশিয়াল ফটোগ্রাফার ডেকে আমাদের সাথে কিছু ছবি তুললেন। হাতে তুলে দিলেন উনার ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা উপহার স্যুভেনিয়র। নারে ভাই! এতোটাও আশা করি নাই!<br />
<div dir="ltr">
<br /></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEihbTTzuOe_jmgxW0sTO6DxN3Ug-CBECcEa0_2E4dr0uZytGI_kDd5xEqmvtAfpMVMnpBULv4tsNBR26KX9z2IR9Rjro9YY-vb-H-fY-noQrSyWNaqH8zv57__QVRdF9x2qvj2jArmNMLYX/s1600/FB_IMG_1588949014700.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="960" data-original-width="574" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEihbTTzuOe_jmgxW0sTO6DxN3Ug-CBECcEa0_2E4dr0uZytGI_kDd5xEqmvtAfpMVMnpBULv4tsNBR26KX9z2IR9Rjro9YY-vb-H-fY-noQrSyWNaqH8zv57__QVRdF9x2qvj2jArmNMLYX/s320/FB_IMG_1588949014700.jpg" width="191" /></a></div>
আতিক সাহেবকে অনুরোধ করলাম পরবর্তীতে কোন ট্যুরিষ্ট যদি কষ্ট করএ এতোদূর চলে আসে আর যদি সম্ভব হয় তবে যেন তল্লাসী ও জিজ্ঞাসাবাদ সাপেক্ষে এলাউ করেন। উনি নানান সীমাবদ্ধতা ও জটিলতার কথা বললেন। বুঝলাম শেখ সাদী সেজে না আসলে গতবারের মত এবারেও এখানে হালে পানি পাওয়া যেতো না!<br />
<br />
<br />
<br />
<div dir="ltr">
থেগামুখের পথঃ https://youtu.be/41ryYXPPGJk</div>
<div dir="ltr">
থেগামুখ বাজারঃ https://youtu.be/te5SWbryrl0</div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgVVKTU81uILkdMWrsHtFeUue0UUH7cefTCR6qffIMQQAQx_PvbWmDG_GnD81SDzdDXT2GoZ-B2M9iwQbBdyzhasMwmZ_c3b-ybBsPByI_tOwoBg99Z1jDby5Zodu26tmJJrMZjnxM-bwuS/s1600/FB_IMG_1588948935065.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="999" data-original-width="1080" height="296" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgVVKTU81uILkdMWrsHtFeUue0UUH7cefTCR6qffIMQQAQx_PvbWmDG_GnD81SDzdDXT2GoZ-B2M9iwQbBdyzhasMwmZ_c3b-ybBsPByI_tOwoBg99Z1jDby5Zodu26tmJJrMZjnxM-bwuS/s320/FB_IMG_1588948935065.jpg" width="320" /></a></div>
<br /></div>
</div>
Apu Nazrulhttp://www.blogger.com/profile/04784453325710400219noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-2113593281604286693.post-36771012166080519242020-05-05T11:00:00.000-07:002020-05-05T11:02:49.121-07:00while my guitar gently weeps<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgHGXumSjEhlzZOgOT_tWhjbJemcTs8odWsi38B5P12BIKvcFEbV5hVrnXiZlsD-1RCxFJAIJ_HTVNREI1L3OKxbtKE1pojuqc6qYY9hVX1DgZn_nDTBULvr6JAWSyT5_0_o3OuLr9DoDTj/s1600/images+%252833%2529.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="610" data-original-width="503" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgHGXumSjEhlzZOgOT_tWhjbJemcTs8odWsi38B5P12BIKvcFEbV5hVrnXiZlsD-1RCxFJAIJ_HTVNREI1L3OKxbtKE1pojuqc6qYY9hVX1DgZn_nDTBULvr6JAWSyT5_0_o3OuLr9DoDTj/s320/images+%252833%2529.jpeg" width="263" /></a></div>
" ♪♪♪ while my guitar gently weeps ♪♪♪ "<br />
<br />
আমার বিটলসের সবচে প্রিয় নাম্বারটা সম্ভবত ওদের সবচে আন্ডাররেটেড সং। ১৯৬৮ সালে বিটলস তাদের গুরু মহর্ষি মহেশ যোগীর আশ্রমে ইয়োগা ও ট্রান্সসেন্ডেটাল মেডিটেশন প্র্যাকটিস করতে ইন্ডিয়ার ঋষিকেশে কিছুদিন সময় কাটিয়েছিলো। জর্জ হ্যারিসম সে সময় এই গানটি লিখেন।পরে গানটি বিটলসের হোয়াইট এলবামে ঢুকানোর জন্য হারিসনকে জন লেনন ও পল ম্যাকার্টনির সাথে রীতিমত ফাইট করতে হয়। লেনন ও ম্যাকার্টনির মত এটা বিটলসের মানের কম্পোজিশন নয়। হ্যারিসন বাধ্য হয়ে তার বন্ধু এরিক ক্যাপটনের হেল্প নিয়ে গানটি রেকর্ড করেন৷ এবং রেকর্ডেড ভার্সন শোনার পরেই বিটলস কনভিন্সড হয়।<br />
<br />
যে কারণে এই পোষ্টের প্রাসঙ্গিকতা তা হলো ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সাহায্যার্থে সংগঠিত ম্যাডিসন স্কয়ারের কনসার্ট ফর বাংলাদেশে জর্জ হ্যারিসন গানটি পরিবেশন করেছিলেন। এবং সেদিম মঞ্চে তার সাথে বিটলস না থাকলেও ছিলেন পুরোনো বন্ধু এরিক ক্ল্যাপটন।<br />
<br />
১৯৬৯ সালেই বিটলস ভেঙ্গে গিয়েছিলো তারপরও ১৯৭১ সালে জর্জ হ্যারিসন কনসার্ট ফর বাংলাদেশে অংশ নেয়ার জন্য বিটলসের সদস্যদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। পল ম্যাকার্টনি সরাসরি অস্বীকৃতি জানান। জন লেনন অনুষ্ঠানে আসতে রাজি ছিলেন, কিন্তু তিনি সেসময় আদালতে সন্তানের ব্যপারে তার সাবেক স্ত্রীর সাথে আইনি লড়াই চালাচ্ছিলেন বলে শেষ পর্যন্ত আসতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত বিটলসের একমাত্র রিঙ্গো স্টার হ্যারিসনের সাথে যোগ দিতে সক্ষম হন। সাথে আরো যোগ দেন বব ডিলান, এরিক ক্ল্যাপটন, বিলি প্রিস্টন ও হ্যারিসনের নতুন দল ব্যাড ফিঙ্গারের মেম্বাররা!<br />
<br />
কনসার্ট ফর বাংলাদেশ থেকে আয় হওয়া প্রায় আড়াই লাখ ডলার ইউনিসেফের মাধ্যমে বাংলাদেশের শরনার্থীদের জন্য খরচ করা হয়েছিলো!<br />
<br />
কনসার্ট ফর বাংলাদেশে হ্যারিসন ও ক্ল্যাপটনের পারফর্ম করা while my guitar gently weeps এর লিংক:<br />
<br />
https://youtu.be/tBjToPgqt6k</div>
Apu Nazrulhttp://www.blogger.com/profile/04784453325710400219noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-2113593281604286693.post-91933896985615123562020-05-02T03:05:00.002-07:002020-05-02T03:05:45.381-07:00চিররহস্যের কামরুপ কামাখ্যা <div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi0gmQn9UVSLjDGFzWIUxRm_EkSb9N6MWNBZ7CxqTfsMjCVHoXAZPvDSPQURNT-Pf8YIdo4bjXayEr3536PsSk5x9G76iL8Ma0LznQREXdsYR6Kb-z1IkQWZRsROEkhSKIJTHFrAvukv7Gd/s1600/FB_IMG_1588411807640.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1440" data-original-width="1080" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi0gmQn9UVSLjDGFzWIUxRm_EkSb9N6MWNBZ7CxqTfsMjCVHoXAZPvDSPQURNT-Pf8YIdo4bjXayEr3536PsSk5x9G76iL8Ma0LznQREXdsYR6Kb-z1IkQWZRsROEkhSKIJTHFrAvukv7Gd/s320/FB_IMG_1588411807640.jpg" width="240" /></a></div>
আসামের নীলাচল পাহাড়ের চূড়ায় হাজার বছর ধরে দাঁড়িয়ে থাকা চিররহস্যময় কামাখ্যা দেবীর মন্দির। রাজ্যের আদি নাম কামরুপ তাই কামরুপ কামাখ্যা নামেই এটি বেশি পরিচিত। মূলত কালো জাদু চর্চাকারী তান্ত্রিক সাধকগণ এখানে অবস্থিত কামাখ্যা মন্দিরকে কেন্দ্র করে তাদের সাধনা করতো কারণ এখানে আছে দশমহাবিদ্যা অর্থাৎ ভুবনেশ্বরী, বগলামুখী, ছিন্নমস্তা, ত্রিপুরাসুন্দরী, তারা, কালী, ভৈরবী, ধূমাবতী, মাতঙ্গী ও কমলার মন্দির। তাছাড়া সুদর্শনচক্রে ছিন্ন সতীদেবীর যোনীও এখানে(যা মূলত একটি হট স্প্রিং ও আয়রন বেশি থাকায় পানি লাল যা দেবীর ঋতুস্রাব বলে প্রচারিত) উপরে উল্লেখিত সকলেই নারী ও তন্ত্র মন্ত্র সাধনায় তাদের কৃপা বিশেষ প্রয়োজনীয়। তাছাড়া আদিকাল থেকেই ভারতবর্ষে মিথ ছিলো একবার কামাখ্যায় পৌঁছুতে পারলে চিরকাল এখানকার দেবদাসীদের ভোগের উপকরণ হয়ে জীবন পার করা যাবে। তাই সেযুগে ঘর পালানো যুবকদের কাঙখিত গন্তব্য ছিলো কামরুপ কামাখ্যা মন্দির। তাছাড়া ব্রহ্মপুত্রের বন্ধনে যেহেতু বাংলা আর কামরুপ বাঁধা তাই ইচ্ছা থাকলে কামাখ্যা পৌঁছুনো একদম অসম্ভবও ছিলোবা। ঘরছাড়া যুবকেরা সেখান গিয়ে এসব না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরলেও শিখে আসতো নানা বুজরুকি আর একারণেই একটা সময় সমাজে কামরুপ কামাখ্যা ফেরতদের বিশেষ সমীহ মিশ্রিত কদর ছিলো।<br />
<br />
গোহাটি স্টেশন থেকে পায়ে হেটে নদীর পাড়ে গেলাম৷ সেখান থেকে একটা অটো নিয়ে সোজা চলে গেলাম নীলাচল পাহাড়। কয়েক প্যাচ ঘুরে রাস্তা উঠলো পাহাড়ের চূড়োতে৷ এককালে যখন রাস্তা ছিলোনা এই পথই নিশ্চয় অনেক দূর্গম ছিলো৷ যেমনটা আগে বলেছিলাম মূল মন্দিরের আশে পাশে অনেক তন্ত্রমন্ত্র সাধনের দেবীদের মন্দির। সবগুলোতে ঢুকার সময় ও সুযোগ ছিলোনা৷ আমি কামাখ্যাদেবী ও ছিন্নমস্তার ভূগর্ভস্ত গুহাসম অন্ধকার কক্ষে নেমেছিলাম সিড়ি ভেঙ্গে। ছিন্নমস্তার মন্দিরে আমি ছাড়া সে সময় আর কেউ ছিলোনা তাই বেশ গা ছমছম করছিলো। (ছিন্নমস্তা দেবীকে নিয়ে বছরদুয়েক আগে লিখেছিলাম। লিংক কমেন্টে।)<br />
<br />
পুরো মন্দির কম্পাউন্ডজুড়ে অসংখ্য কবুতর, পাঠা ও কুকুর। কিছু পাঠা সাইজে আমার সমান হবে প্রায়। মনুষ্যজাতির মধ্যে আধুনিক তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে জটাধারী সাধু সবাই উপস্থিত। টাকা পয়সা না দেওয়াতে এক জটাধারী সাধু সাকিন জেনে শেষতক "বাঙাল হ্যায় কাঙাল" বলে অভিশাপ দিলেন 😁। খারাপ বলেননি সাধু, ঘরের কাছে কামাখ্যা মন্দির অথচ ভ্রমণে অনিচ্ছুক ঘরকুনো বাঙালির কাছে এটা আজো হয়ে আছে রহস্যময় এক স্থান৷ কাঙ্গালী বাঙালি বলবোনা কারণ স্বভাবে হাড়কেপ্পন হলেও আমি পশ্চিমবঙ্গের দাদাদের ফি বছর নিয়ম করে পরিবারসমেত ভ্রমণ করতে(প্লাস বই কিনতে) দেখি৷ যা তাদের কিপ্টেমির একটা লেজিটিমেসি দেয়! কিন্তু বাংলাদেশীদের বেলায় এখনো কথাটা খুব খাটে! ভ্রমণ না করলে যত পয়সা হোক জাতি হিসেবে মানসিকভাবে কাঙালই যে থেকে যাবো শেষতক!</div>
Apu Nazrulhttp://www.blogger.com/profile/04784453325710400219noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-2113593281604286693.post-84687975363124408912019-10-14T04:01:00.000-07:002019-10-14T04:01:02.673-07:00<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
ছবির বামপাশের ব্যাক্তির নাম ব্রিগেডিয়ার (অব:) আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী। তিনি ছিলেন কাকুলে অবস্থিত পাকিস্তান মিলিটারী একাডেমীতে সোর্ড অব অনার পাওয়া প্রথম বাঙালি সেনা কর্মকর্তা। ৭১ সালে তিনি একজন কর্ণেল হিসেবে যশোর ক্যান্টনমেন্টে দায়িত্বরত ছিলেন। ২৭ মার্চ যশোর ক্যান্টনমেন্টের সকল বাঙালি অফিসার-সৈনিক বিদ্রোহ করে ক্যান্টনমেন্ট ত্যাগ করলেও কাইয়ুম চৌধুরী পক্ষত্যাগ করেননি। পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হয়েই ৭১ এর মাঝামাঝি পর্যন্ত তিনি পূর্ব পাকিস্তানে ছিলেন। দেশ স্বাধীন হলে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতেই কন্টিনিউ করেন এবং ৭৪ এ ব্রিগেডিয়ার হিসেবে অবসর নেন। পাকিস্তানি জেনারেল প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হকের আমলে সচিব পদমর্যাদায় সরকারের তথ্য ও প্রচার মন্ত্রণালয়ে কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে ইসলামিক স্কলার হিসেবে পরিচিত হন এবং পাকিস্তানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে অধ্যাপনা করেন। ২০১৩ সালে মারা যাওয়াতক আর কখনোই তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেননি।<br />
<br />
ডানপাশের ব্যক্তির নাম শহীদ মুনীর চৌধুরী। যারা এদেশে পড়াশোনা করেছেন তারা সবাই উনার লেখা কবর ও রক্তাক্ত প্রান্তর নাটক পাঠ্য হিসেবে পড়েছেন। টাইপরাইটারের জন্য সবচে সাবলীল কিবোর্ড লে-আউটের ডিজাইন "মুনীর অপটিমাম"ও তাঁর করা যার ছায়া আমরা এখনও আমাদের ব্যবহার করা বাংলা কিবোর্ডে দেখি। তিনি ছিলেন একজন ভাষাসৈনিক ও সেজন্য জেল-জুলুম সহ্য করেছেন। তাঁর সবচে বড় পরিচয় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনপ্রিয়তম একজন প্রফেসর যার ক্লাসে নানা ডিপার্টমেন্টের ছাত্ররা আসতো। যাদের অনেককেই দাঁড়িয়ে ক্লাস করতে হতো। ৭১ সালে তিনি ডিপার্টমেন্ট হেড ও আর্টস ফ্যাকাল্টির ডিন ছিলেন। তাঁর কিশোর সন্তান সে সময় মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়। যুদ্ধের শেষদিকে ১৪ ডিসেম্বর আল-শামস বাহিনী তাঁকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় ও পরবর্তীতে হত্যা করে।<br />
<br />
সবচে আশ্চর্যজনক হলো এই দুইজন দুই মেরুর মানুষ হলেও তারা সম্পর্কে ছিলেন আপন দুই ভাই। তাঁদের বাবা ছিলেন বৃটিশ আমলের জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট নোয়াখালীর খান বাহাদুর আব্দুল হালিম চৌধুরী। উনার ১৪ সন্তানের সবাই স্ট্যান্ড করা-খ্যাতিমান-সফল। বিখ্যাত দুজন হলেন জাতীয় অধ্যাপক কবির চৌধুরী ও খ্যাতিমান অভিনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদার।<br />
<br />
কাইয়ুম চৌধুরীকে ইতিহাস ট্রেইটর হিসেবে মনে রাখবে নাকি একজন সাচ্চা পাকিস্তানী বিদূষী মানুষরূপে তা ইতিহাস লেখকের দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভর করবে। কাইয়ূম চৌধুরী পাকিস্তান নামক ইউটোপিয়ান আদর্শের পক্ষত্যাগ করেননি। তার কাছে হয়তো কমিশনের সময় নেয়া শপথ, তার পাঞ্জাবী স্ত্রীর মোটিভেশনই আত্মপরিচয়ের চাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। এক্ষেত্রে তিনি আর কখনো বাংলাদেশে না ফিরে এসে মজবুত ইমানের পরিচয় দিয়েছেন এবং পরবর্তীতে সেখানেও সফল হয়েছেন। অনেকটা আমাদের বর্তমান চাকমা রাজার বাবার মত যিনি স্বাধীনতাবিরোধী ছিলেন এবং আমৃত্যু দেশে না ফিরে পাকিস্তানের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রীসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি যারা পাকিস্তান নামক আদর্শে বিশ্বাসী তাদের সেখানেই থাকা উচিৎ!<br />
<br />
একই সাথে শৈশব কাটানো, একই সবুজ শ্যামলে মা বাবার স্নেহছায়ে একই থালা-বাটি-বিছানা-কম্বল শেয়ার করা দুটো মানুষের ভবিতব্য যে এত বিপরীতমুখী হবে কেউ কি জানতো? বিচিত্র এই পৃথিবীতে আরো বিচিত্র মানুষের মনস্তত্ত্ব! তাই পরিবার, জন্মভূমি, নিজ রেস বা জাতিসত্বার চাইতেও অনেক সময় দায়িত্ব, কর্তব্য, বিবেক- বিবেকহীনতা, পারিপার্শ্বিকতা অথবা সাহস-সাহসের অভাব ভবিষ্যত নির্ধারণে বড় নিয়ামক হয়ে উঠে। আর সেই দায়িত্ব-কর্তব্যবোধের সংজ্ঞাও নির্ধারিত হয় যার যার অবস্থান থেকে। আপেক্ষিকতার এই দুনিয়ায় ধ্রুব সত্য বা ধ্রুব অবস্থান বলে কিছু নেই কারণ পৃথিবীর সন্তানকে ছিন্নভিন্ন করা এই মানচিত্র, সীমানা, ভিসা-পাসপোর্ট সবই মহাকালের স্বাপেক্ষে মানুষের ক্ষুদ্রতার মত বড়!<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgtZhYsdK8zEN2HtPhXM3tRIBdpNui-yxzLvFJWn0uqiVkJNNRzFNf1IxiL2kHS7l3CfkpEFuRdT0wcZyKFi2VynSaSSKy0CDovtDYLPgOtPr9rwIPyHZER5R18R-TYzECCoa-owa8LrbTw/s1600/FB_IMG_1570989377790.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="746" data-original-width="1005" height="237" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgtZhYsdK8zEN2HtPhXM3tRIBdpNui-yxzLvFJWn0uqiVkJNNRzFNf1IxiL2kHS7l3CfkpEFuRdT0wcZyKFi2VynSaSSKy0CDovtDYLPgOtPr9rwIPyHZER5R18R-TYzECCoa-owa8LrbTw/s320/FB_IMG_1570989377790.jpg" width="320" /></a></div>
</div>
Apu Nazrulhttp://www.blogger.com/profile/04784453325710400219noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-2113593281604286693.post-36935664549484107152019-09-22T09:04:00.000-07:002019-09-22T09:04:33.327-07:00নদীর দেশ বাংলাদেশঃ নদীর বৈচিত্র্যময় নাম <div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
আজ বিশ্ব নদী দিবস। পৃথিবীর সবচে নদীনির্ভর দেশ আমাদের বাংলাদেশ। আমাদের ট্যুরিজমও হতে পারতো নদীনির্ভর৷ আজকের দিন এদেশে উৎসব হতে পারতো, হয়নি কিছুই। নদীবৈচিত্র্যের এই দেশে ট্যুরিজম দূরে থাকুক, প্রতিদিন নদী হচ্ছে দখল। নদী সম্পর্কে আমাদের অজ্ঞতাও ভাববার মত, বলতে বললে ১০-১৫টার পরই আমরা থেমে যাই। অথচ ৭০০ নদীর দেশ বাংলাদেশ 🇧🇩 হিমালয়ের বরফগলা সাগরসন্ধানী জলপ্রবাহ নানা বেশে, নানা নামে এই দেশের হাট-ঘাট-বন্দর ছুঁয়ে, পথজুড়ে অবিরাম পলি বিলিয়ে শেষে আশ্রয় খুজে নেয় বঙ্গোপসাগরের মোহনায়। এ দেশ নদীসৃষ্ট, এ বদ্বীপ তাই নদীর মায়াজালে বাঁধা, সাথে আমরাও। অদ্ভুত এ দেশে যেমন আছে ফুলকুমার নদী তেমন আছে ফকিরনী নদী! আছে খেপা, আছে পাগলা, আছে লেংগা এমনকি মাথাভাঙাও! যেমন চিকনাই আছে, তেমন পেটকিও আছে! আছে ধলা নদী, আছে কালা নদী! ক্ষেপা, মিরগি, বাউলাই আছে, আবার আছে ঘুমানি আর ভাবনা টাইপ নদীও! বুড়ি যেমন আছে, আছে "জুয়ান" ও! লেংটা আছে, বোরকা আছে। জুরি আছে, মুহুরী আছে! পান্ডব, বিষ্ণু, হরি, নারদ, হরিহর, মানস, রামচন্ডি, রাবণবাদ, ভুবনেশ্বর, গদাই, নিতাই, নারদ, শিব, ধলেশ্বরী, গভেশ্বরী, কাগেশ্বরী, সোমেশ্বরী, নাগেশ্বরী, যমুনেশ্বরী, ভাটেশ্বরী, মুক্তেশ্বরী কিচ্ছু বাদ নাই। সেইসাথে আছে আড়িয়াল খাঁ, জলকদর খাঁ, মিনহাজ, মুসা খান, ইসদার খানেরাও। পুটিমারী থেকে শুরু করে সিংগিমারী, শোলমারী, চিতলমারী, ইলিশমারী, সাপমারা, খাসিমারা থেকে মারামারি শেষ পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে ঘোড়ামারায়! ওদিকে কাঁচামাটিয়ার সাথে রাঙামাটিয়াও আছে। সুই নদী আছে, সাথে সুতা নদীও আছে। শুক আছে, সারীও আছে। আছে বগী, চন্দনা, টিয়াখালী, পায়রা, ডাহুক, কোকিল, ময়ুরও! চোরখাই না শুধু, আছে ডাকাতিয়াও। আমাদের ছোট্ট বাংলাদেশে শুধু ইছামতিই আছে আটটা। ভাবা যায়? অপূর্ব সুন্দর কিছু নদীর নাম শুনলে মনটা ভরে যায়। যেমনঃ সুবচনী, প্রাণসায়র, ময়ূর, ধানসিঁড়ি, মনু, পিয়াইন, যাদুকাটা, ডাহুক, তালমা, বিজলী, ঘুঙুর, টংকাবতী, বংশী, পারুলী, লুভা, সন্ধ্যা, সুগন্ধা, রূপসা, মালঞ্চ, চিত্রা, মধুমতি, লবঙ্গবতী! এরা জনপদে জনপদে বয়ে চলেছে, বলে চলেছে ভিন্ন ভিন্ন গল্প ভিন্ন ভিন্ন নামে! এ দেশ যদি নদীমাতৃক হয়, আমরা তবে নদীরই সন্তান! নদী বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে!<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjIECmMGEcjN1ZIGdyoXglCz8af3O5sTqxb6leGXRlJAQ59rAMmtrFAjrv66TNzj_ImrxPPbFgmujfoM4zn8jZM3ItHQNGtohpD2xIzWS71KScobZRLZxgCsHZHdwzUNDC4dumgBJV41P6M/s1600/FB_IMG_1569078756645-01.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="960" data-original-width="1400" height="219" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjIECmMGEcjN1ZIGdyoXglCz8af3O5sTqxb6leGXRlJAQ59rAMmtrFAjrv66TNzj_ImrxPPbFgmujfoM4zn8jZM3ItHQNGtohpD2xIzWS71KScobZRLZxgCsHZHdwzUNDC4dumgBJV41P6M/s320/FB_IMG_1569078756645-01.jpeg" width="320" /></a></div>
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhcvPk6x-75zev_PlHzwKtuog48iznQcJ56QaN3NI36sL-EafP11cq6-IW7nNAUr6XeCsEI-KNVNSDnfv5PhNNMDXvEBgL8iyknxiIn6G7oLeNpG9EuWlmuVTsNnzaopYC2e11TQOPV8EpB/s1600/FB_IMG_1569078764160.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="960" data-original-width="1280" height="240" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhcvPk6x-75zev_PlHzwKtuog48iznQcJ56QaN3NI36sL-EafP11cq6-IW7nNAUr6XeCsEI-KNVNSDnfv5PhNNMDXvEBgL8iyknxiIn6G7oLeNpG9EuWlmuVTsNnzaopYC2e11TQOPV8EpB/s320/FB_IMG_1569078764160.jpg" width="320" /></a></div>
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEidQhtZeM1MQwoNy2-ySLjHdCDTjhlRUg14QtECmGxxkJYn0FyO2uvBBcVAxjw_7J5c0XIL5YJHkXRykxLlTmiK8SSFRdOYGDdk_qUxKFBAFHmyWsvxyqUqkAVhyphenhyphen2vGAgdDC1HboEwVew86/s1600/FB_IMG_1569078779443.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="960" data-original-width="1280" height="240" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEidQhtZeM1MQwoNy2-ySLjHdCDTjhlRUg14QtECmGxxkJYn0FyO2uvBBcVAxjw_7J5c0XIL5YJHkXRykxLlTmiK8SSFRdOYGDdk_qUxKFBAFHmyWsvxyqUqkAVhyphenhyphen2vGAgdDC1HboEwVew86/s320/FB_IMG_1569078779443.jpg" width="320" /></a></div>
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgEjwAYe7J7FYUXic4UYsi_trezAjN7cUvgMX1IOfkwmZl_xvw5qxvV_sGtsJYY0qbZ3BiFAlWyjbLTQtEbYhfD7c222iMZBulpm-3RNHHZb7EIiiCBv-tzKcHZXZy6GK78x7wP3cQG_ec_/s1600/FB_IMG_1569078791127-01.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="960" data-original-width="1292" height="237" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgEjwAYe7J7FYUXic4UYsi_trezAjN7cUvgMX1IOfkwmZl_xvw5qxvV_sGtsJYY0qbZ3BiFAlWyjbLTQtEbYhfD7c222iMZBulpm-3RNHHZb7EIiiCBv-tzKcHZXZy6GK78x7wP3cQG_ec_/s320/FB_IMG_1569078791127-01.jpeg" width="320" /></a></div>
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgwCVqACIhgpC_pgut5ugOkG267qOyIU7foO8OSDUU7ZEidR_8zSzA5_iY3elSJ269ksP2N4qQNgZJy5_MFXyFkHs9laohyGbg3y8G34qGtXHQJ0hohMcr9U3JqSuKIAD1RWlRNn_pmBFtG/s1600/FB_IMG_1569078826817.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="960" data-original-width="1437" height="213" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgwCVqACIhgpC_pgut5ugOkG267qOyIU7foO8OSDUU7ZEidR_8zSzA5_iY3elSJ269ksP2N4qQNgZJy5_MFXyFkHs9laohyGbg3y8G34qGtXHQJ0hohMcr9U3JqSuKIAD1RWlRNn_pmBFtG/s320/FB_IMG_1569078826817.jpg" width="320" /></a></div>
</div>
Apu Nazrulhttp://www.blogger.com/profile/04784453325710400219noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-2113593281604286693.post-47381543142577688652018-07-03T05:36:00.002-07:002018-07-03T05:36:26.698-07:00জাপান কেন বাঙালির বন্ধু<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiflYUcxetpprZc7ytkgeypzcttY6e4u_FicL8J1fPuPd8SPIFoFCtr_a-2g4o3wPktzPyQSC_oiL_1yBCMOfm9-qLyUEQQQhtt1uRgv7pvKX0_9Yfy3jaW4NJnbuKGdbU8M8hU-SIx-47E/s1600/IMG_20180703_180312.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="872" data-original-width="889" height="313" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiflYUcxetpprZc7ytkgeypzcttY6e4u_FicL8J1fPuPd8SPIFoFCtr_a-2g4o3wPktzPyQSC_oiL_1yBCMOfm9-qLyUEQQQhtt1uRgv7pvKX0_9Yfy3jaW4NJnbuKGdbU8M8hU-SIx-47E/s320/IMG_20180703_180312.jpg" width="320" /></a></div>
জাপানীরা কেন বাঙালিদের ভালোবাসে?<br />
<br />
জাপানীরা ১৯৩৭ সালে নানকিং (এখন নানজিং) এ চাইনিজদের কচুকাটা করেছিলো। খুন -ধর্ষণ মিলিয়ে এমন নৃশংসতা কমই দেখেছে বিশ্ব। The flowers of war নামে একটি মর্মস্পর্শী মুভি আছে এই গণহত্যা নিয়ে। জাপানীরা এর আগে পরেও লাখে লাখে মরেছে-মেরেছে। শেষতক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জব্দ জাপান বাধ্য হয়েই রক্তের নেশা ছেড়ে জাতি গঠনে মনোযোগ দিয়েছিলো বলেই আজ তারা পৃথিবীর অন্যতম সভ্য জাতিতে পরিণত হতে পেরেছে। এই জাতি গঠনের পিছনে জাপানীরা চিরকৃতজ্ঞ কুষ্টিয়ায় জন্ম নেয়া একজন বাঙালির কাছে। মিত্রপক্ষের চাপ সত্বেও ইন্টারন্যাশনাল যুদ্ধাপরাধ টাইব্যুনালের 'টোকিও ট্রায়াল' ফেজে এই বাঙালি বিচারকের দৃঢ অবস্থানের কারণেই জাপান অনেক কম ক্ষতিপূরণের উপরে বেঁচে গিয়েছিলো। নয়তো যে ক্ষতিপূরণের বোঝা মিত্রপক্ষ ও অন্য বিচারকরা চাপিয়ে দিতে চেয়েছিলেনন তার দায় এখন পর্যন্ত টানতে হতো জাপানকে। সেক্ষেত্রে ঋণের বোঝা টানতে টানতে জাতি গঠনের সুযোগই আর পাওয়া হতোনা জাপানের। সেসময়ই জাপানী সম্রাট হিরোহিতো কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে বলেছিলেন, "যতদিন জাপান থাকবে বাঙালি খাদ্যাভাবে, অর্থকষ্টে মরবেনা। জাপান হবে বাঙালির চিরকালের নি:স্বার্থ বন্ধু।" এটি যে শুধু কথার কথা ছিলোনা তার প্রমাণ আমরা এখনো দেখতে পাই। জাপান এখনো বাংলাদেশের সবচে নি:স্বার্থ বন্ধু। এই ঘটনার প্রায় ৬৫ বছর পর ঢাকার গুলশানে হোলি আর্টিসান হামলায় প্রাণ গেলো নয় জাপানিজ বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারের। জাপান তখনও পাশে ছিলো বাংলাদেশের।<br />
<br />
আর কুষ্টিয়ায় জন্ম নেয়া সেই বাঙালি বিচারকের নাম এখনো জাপানী পাঠ্যপুস্তকে পাঠ্য। তাঁর নামে জাপানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বেশ কিছু মেমোরিয়াল ও মনুমেন্ট। এই বিস্মৃত বাঙালির নাম বিচারপতি রাধাবিনোদ পাল (১৮৮৬-১৯৬৭)। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও হেগের আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারক ছাড়াও জীবদ্দশায় অনেক বড় বড় দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগে তিনি কুষ্টিয়ায় নিজ গ্রামের স্কুল ও রাজশাহী কলেজের ছাত্র ছিলেন। কর্মজীবনের শুরুতে ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজে প্রভাষক ছিলেন। কিছুদিন ময়মনসিংহ কোর্টে আইন ব্যবসাও করেছিলেন।<br />
<br />
ছোটবেলা থেকেই জাপানীদের বাংলাদেশের প্রতি নি:স্বার্থ সহযোগী মনোভাব দেখে এর কারণ কি হতে পারে ভাবতাম। পরে কারণ জানার পর ভদ্রলোককে নিয়ে লিখবো লিখবো করেও লেখা হয়ে উঠছিলো না অনেকদিন। আজ ভারমুক্ত হলাম। গুগল করলে আরো ডিটেইলস পাবেন। নেটফ্লিক্সে পাবেন টোকিও ট্রায়াল নামের সিরিয়াল যেখানে রাধাবিনোদের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ইরফান খান।<br />
<br />
এই মেধাবী বাঙালিকে আমরা প্রায় কেউই মনে রাখিনি। বাঙালির মেধাগত বীরত্বের এই চমৎকার অধ্যায়টা জানে খুব অল্প মানুষ! অথচ কত ঠুনকো বিষয়ই না বাঙালি মানসে পায় সীমাহীন গুরুত্ব!</div>
Apu Nazrulhttp://www.blogger.com/profile/04784453325710400219noreply@blogger.com0