অদেখা বাংলাদেশ: দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
নতুন কোথাও গেলে সবসময় লক্ষ্য থাকে স্থানীয় ঐতিহ্য বা ঐতিহাসিক কোন স্থাপনা খুজে বের করা। বিচ্ছিন্ন হাওর জনপদ ইটনায় পৌছাবার আগে এই মসজিদটির ব্যাপারে কিছুই শুনিনি। যাবার পথে ট্রলারে লোকাল মানুষদের বার বার জিজ্ঞাস করছিলাম "চাচা/ভাই আপনাদের ইটনায় দেখার মত কি আছে?" সবাই বলছিলো, কি আর দেখবেন। কিছুই নাই হাওর ছাড়া। শুধু একজন বলেছিলেন এই তিন গম্বুজ মসজিদের কথা। তারপর ইটনায় পৌঁছে খুঁজে বের করলাম। মোগল বা সুলতানী স্থাপনার মতই চারপাশে মোটা দেয়াল আর স্টেজের উপর স্থাপন করা দুইটি তোরণসহ মসজিদটির মূল কাঠামো ঠিক রেখেই স্থানীয়ভাবে সংস্কার করা হয়েছে। উপরে সিমেন্টের প্রলেপ দেয়া থাকায় টেরাকোটা বা শিলালিপি থাকলেও ঢাকা পড়ে গেছে। স্থানীয় বয়ো:বৃদ্ধ হাফ ডজন মানুষের সাথে কথা বলেও নির্মাতার ব্যাপারে জানা গেলোনা। স্থানীয়দের ভাষ্য একই, এটা গায়েবী মসজিদ। শুধু একজন বললেন এটি শাহী মসজিদ। তা তো জানিই কিন্তু কোন আমলে নির্মাণ হয়েছিলো এবং কে ছিলো নির্মাতা তা জানা দরকার ছিলো। তাই ঢাকা এসে কিঞ্চিৎ পড়াশুনো করতেই সন্ধান মিললো। বারো ভূইয়ার প্রধান ইসা খাঁর জনৈক সভাসদ ষোড়শ শতাব্দীতে মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। উনার নাম ছিলেন মজলিশ দেলোয়ার। সে হিসেবে মসজিদটির বয়স আনুমানিক ৪২৫ বছর।
সাথে ক্যামেরা ছিলোনা। তাই চাইলেও পুরো মসজিদটির ওয়াইড ভিউ নেয়া সম্ভব হয়নি। মোবাইলে যেটুকু আসে আর কি!
কিভাবে যাবেন?
ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ বাসে বা ট্রেনে, কিশোরগঞ্জ থেকে শহরের পুব প্রান্ত একরামপুর রিক্সায় বা অটোতে, একরামপুর থেকে সিএনজিতে চামটাঘাট, বিশ কিলো। চামটাঘাট থেকে ইটনা ট্রলারে, দুই ঘন্টা লাগবে। ইটনা ঘাট থেকে বড়হাটি তিন গম্বুজ তথাকথিত গায়েবী মসজিদ রিক্সায়
নতুন কোথাও গেলে সবসময় লক্ষ্য থাকে স্থানীয় ঐতিহ্য বা ঐতিহাসিক কোন স্থাপনা খুজে বের করা। বিচ্ছিন্ন হাওর জনপদ ইটনায় পৌছাবার আগে এই মসজিদটির ব্যাপারে কিছুই শুনিনি। যাবার পথে ট্রলারে লোকাল মানুষদের বার বার জিজ্ঞাস করছিলাম "চাচা/ভাই আপনাদের ইটনায় দেখার মত কি আছে?" সবাই বলছিলো, কি আর দেখবেন। কিছুই নাই হাওর ছাড়া। শুধু একজন বলেছিলেন এই তিন গম্বুজ মসজিদের কথা। তারপর ইটনায় পৌঁছে খুঁজে বের করলাম। মোগল বা সুলতানী স্থাপনার মতই চারপাশে মোটা দেয়াল আর স্টেজের উপর স্থাপন করা দুইটি তোরণসহ মসজিদটির মূল কাঠামো ঠিক রেখেই স্থানীয়ভাবে সংস্কার করা হয়েছে। উপরে সিমেন্টের প্রলেপ দেয়া থাকায় টেরাকোটা বা শিলালিপি থাকলেও ঢাকা পড়ে গেছে। স্থানীয় বয়ো:বৃদ্ধ হাফ ডজন মানুষের সাথে কথা বলেও নির্মাতার ব্যাপারে জানা গেলোনা। স্থানীয়দের ভাষ্য একই, এটা গায়েবী মসজিদ। শুধু একজন বললেন এটি শাহী মসজিদ। তা তো জানিই কিন্তু কোন আমলে নির্মাণ হয়েছিলো এবং কে ছিলো নির্মাতা তা জানা দরকার ছিলো। তাই ঢাকা এসে কিঞ্চিৎ পড়াশুনো করতেই সন্ধান মিললো। বারো ভূইয়ার প্রধান ইসা খাঁর জনৈক সভাসদ ষোড়শ শতাব্দীতে মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। উনার নাম ছিলেন মজলিশ দেলোয়ার। সে হিসেবে মসজিদটির বয়স আনুমানিক ৪২৫ বছর।
সাথে ক্যামেরা ছিলোনা। তাই চাইলেও পুরো মসজিদটির ওয়াইড ভিউ নেয়া সম্ভব হয়নি। মোবাইলে যেটুকু আসে আর কি!
কিভাবে যাবেন?
ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ বাসে বা ট্রেনে, কিশোরগঞ্জ থেকে শহরের পুব প্রান্ত একরামপুর রিক্সায় বা অটোতে, একরামপুর থেকে সিএনজিতে চামটাঘাট, বিশ কিলো। চামটাঘাট থেকে ইটনা ট্রলারে, দুই ঘন্টা লাগবে। ইটনা ঘাট থেকে বড়হাটি তিন গম্বুজ তথাকথিত গায়েবী মসজিদ রিক্সায়
No comments:
Post a Comment