আজ বিশ্ব কচ্ছপ দিবস। নিরীহ প্রাণী কচ্ছপ এদেশে ছিলো কুকুর, কাক বা চড়ুই এর মত আশেপাশের কমন একটা প্রাণী। আগে গ্রামে বা শহরে পুকুরে, খালে, বিলে বা নদীতে সর্বত্র কচ্ছপ দেখা যেতো। কিন্তু আজকাল কারো সাতে-পাঁচে না থাকা এই প্রাণীটি মানুষের লোভ আর সর্বগ্রাসী ক্ষুধার শিকার হয়ে বিলুপ্তপ্রায়। আজ লিখবো বিরল হতে থাকা কচ্ছপের মধ্যেও বিরলতম অথচ আমাদের অঞ্চলে এন্ডেমিক একটি বিশেষ প্রজাতির কচ্ছপ নিয়ে৷
বোস্তামী কাছিম একটি অত্যন্ত বিরল এবং চরমভাবে বিপন্ন প্রজাতির কচ্ছপ। এতোদিন জানতাম পৃথিবীতে শুধুমাত্র চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামীর তথাকথিত মাজারে এই প্রজাতির কাছিম পাওয়া যায়। (তথাকথিত বলার কারণ উনার কবর এখানে নয়। তিনি চট্টগ্রাম থেকে বোস্তাম শহরে ফিরে যাওয়ার পর মারা যান।) কিন্তু পরে দেখলাম ত্রিপুরার মাতারবাড়ি, ত্রিপুরাশ্বরী ও আসামের কামরুপ কামাখ্যাসহ আরো কয়েকটি মন্দিরের পুকুরেও কিছু বোস্তামী কাছিম সংরক্ষিত আছে। চট্টগ্রাম, ত্রিপুরা ও আসামের ধর্মীয় স্থাপনাগুলোর বাইরেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঠাকুরগাঁওয়ের বিল, নেত্রকোনার কংশ, ফেনীর মুহুরী, মানিকছড়ির হালদা ও শ্রীমঙ্গলে বোস্তামী কাছিম পাওয়া গেছে। সেগুলোর ডিএনএ টেষ্টের পর তা বোস্তামী কাছিমের সাথে ম্যাচ করেছে। এমনকি এই চলমান ২০২০ সালেও ঠাকুরগাঁওয়ে বোস্তামী কাছিমের প্রজাতি পাওয়া গেছে এবং ডিএনএ ম্যাচ করেছে। যদিও সেগুলোর অনেকগুলোর সাইজ ও রঙ ভিন্ন ছিলো। তবে চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামীর মাজারের পুকুরে এই কাছিম আছে বিপুল পরিমাণে। এর অনেকটাই কৃতিত্ব পাবে IUCN. কারণ তারা হ্যাচ করার সুব্যবস্থা করে গত দশ বছরে সংখ্যাবৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে।
ছোটবেলায় গ্রাম থেকে আত্মীয়-স্বজন আসলে আব্বা-আম্মাকে দেখতাম ফয়স লেক-পতেঙ্গার সাথে সাথে বায়েজিদ বোস্তামীর মাজারেও বেড়াতে নিয়ে যেতেন। আমিও ছোটবেলায় এই কাছিমগুলোকে প্রচুর পাউরুটি কলা খাইয়েছি কাঠিতে গেঁথে। বিয়ে ও আমার জন্মের কারণে ইন্টারের দীর্ঘ গ্যাপের পর আম্মা ডিগ্রী পড়া শুরু করেছিলেন তখন। তাই বাসায় ঢালী সাহেবের কিছু মোটা মোটা ইসলামিক স্টাডিজের ইতিহাস বই ছিলো। এসব বই পড়ে বোস্তামী কাছিম সম্পর্কে আমার ধারণা ছোটবেলা থেকেই বেশ ক্লিয়ার ছিলো এবং এখন আরো ক্লিয়ার হয়েছে যে আরো কয়েক জায়গায় টিকে থাকলেও চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামীর মাজারের কাছিম আসলেই ইউনিক এবং এটি চট্টগ্রান তথা আমাদের বাংলাদেশের গর্ব। আমি যখনই চিটাগাং শহরে কোন ফরেন ট্যুরিষ্ট হ্যান্ডেল করি তাঁকে অতি অবশ্যই বায়েজিদ বোস্তামীর মাজারে নিয়ে যাই। এখন পর্যন্ত ফিডব্যাক খুবই ভালো। আমার বিশ্বাস আমরা চাইলেই এটিকে উপজীব্য করে স্পিরিচুয়াল ট্যুরিজমের বিকাশ ঘটাতে পারি। কিন্তু সেজন্য সবার আগে বাঁচাতে হবে কচ্ছপগুলোকে৷ এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সুদৃষ্টি ও সচেতনতা কামনা করছি।
বোস্তামী কাছিম একটি অত্যন্ত বিরল এবং চরমভাবে বিপন্ন প্রজাতির কচ্ছপ। এতোদিন জানতাম পৃথিবীতে শুধুমাত্র চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামীর তথাকথিত মাজারে এই প্রজাতির কাছিম পাওয়া যায়। (তথাকথিত বলার কারণ উনার কবর এখানে নয়। তিনি চট্টগ্রাম থেকে বোস্তাম শহরে ফিরে যাওয়ার পর মারা যান।) কিন্তু পরে দেখলাম ত্রিপুরার মাতারবাড়ি, ত্রিপুরাশ্বরী ও আসামের কামরুপ কামাখ্যাসহ আরো কয়েকটি মন্দিরের পুকুরেও কিছু বোস্তামী কাছিম সংরক্ষিত আছে। চট্টগ্রাম, ত্রিপুরা ও আসামের ধর্মীয় স্থাপনাগুলোর বাইরেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঠাকুরগাঁওয়ের বিল, নেত্রকোনার কংশ, ফেনীর মুহুরী, মানিকছড়ির হালদা ও শ্রীমঙ্গলে বোস্তামী কাছিম পাওয়া গেছে। সেগুলোর ডিএনএ টেষ্টের পর তা বোস্তামী কাছিমের সাথে ম্যাচ করেছে। এমনকি এই চলমান ২০২০ সালেও ঠাকুরগাঁওয়ে বোস্তামী কাছিমের প্রজাতি পাওয়া গেছে এবং ডিএনএ ম্যাচ করেছে। যদিও সেগুলোর অনেকগুলোর সাইজ ও রঙ ভিন্ন ছিলো। তবে চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামীর মাজারের পুকুরে এই কাছিম আছে বিপুল পরিমাণে। এর অনেকটাই কৃতিত্ব পাবে IUCN. কারণ তারা হ্যাচ করার সুব্যবস্থা করে গত দশ বছরে সংখ্যাবৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে।
ছোটবেলায় গ্রাম থেকে আত্মীয়-স্বজন আসলে আব্বা-আম্মাকে দেখতাম ফয়স লেক-পতেঙ্গার সাথে সাথে বায়েজিদ বোস্তামীর মাজারেও বেড়াতে নিয়ে যেতেন। আমিও ছোটবেলায় এই কাছিমগুলোকে প্রচুর পাউরুটি কলা খাইয়েছি কাঠিতে গেঁথে। বিয়ে ও আমার জন্মের কারণে ইন্টারের দীর্ঘ গ্যাপের পর আম্মা ডিগ্রী পড়া শুরু করেছিলেন তখন। তাই বাসায় ঢালী সাহেবের কিছু মোটা মোটা ইসলামিক স্টাডিজের ইতিহাস বই ছিলো। এসব বই পড়ে বোস্তামী কাছিম সম্পর্কে আমার ধারণা ছোটবেলা থেকেই বেশ ক্লিয়ার ছিলো এবং এখন আরো ক্লিয়ার হয়েছে যে আরো কয়েক জায়গায় টিকে থাকলেও চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামীর মাজারের কাছিম আসলেই ইউনিক এবং এটি চট্টগ্রান তথা আমাদের বাংলাদেশের গর্ব। আমি যখনই চিটাগাং শহরে কোন ফরেন ট্যুরিষ্ট হ্যান্ডেল করি তাঁকে অতি অবশ্যই বায়েজিদ বোস্তামীর মাজারে নিয়ে যাই। এখন পর্যন্ত ফিডব্যাক খুবই ভালো। আমার বিশ্বাস আমরা চাইলেই এটিকে উপজীব্য করে স্পিরিচুয়াল ট্যুরিজমের বিকাশ ঘটাতে পারি। কিন্তু সেজন্য সবার আগে বাঁচাতে হবে কচ্ছপগুলোকে৷ এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সুদৃষ্টি ও সচেতনতা কামনা করছি।
No comments:
Post a Comment