সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর চাইতে সুদর্শন নায়কোচিত কোন বাঙালি লেখক মুজতবা আলী সাহেব ব্যাতীত তৃতীয়টি আমি দেখিনি। আর যারা লালসালুর লেখক ওয়ালীউল্লাহ সাহেবের ব্যাপারে জানেন তারা তো জানেনই পাকিস্তানের হয়ে বিভিন্ন বৈদিশিক মিশনে কাজ করা এই লোকটির লাইফস্টাইল কি বৈচিত্র্যময় আর এলিগ্যান্ট ছিলো!
আজ থেকে ৭৪ বছর আগে ১৯৫১ সালে ষোলশহরে তোলা এই সাদাকালো ছবিটিতে উনার পাশে দাঁড়ানো কিশোরটি কে জানেন? তিনি ১২ বছর বয়সী প্রফেসর জামাল নজরুল ইসলাম। এই বরেণ্য বিজ্ঞানীকেও নিশ্চয় পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছু নেই! কিন্তু আপনি কি জানতেন তাঁরা দুজন ছিলেন মামাতো ফুপাতো ভাই? জামাল নজরুল ইসলামের বাবা ছিলেন সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর মামা!
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ গত হয়েছেন অল্প বয়সেই। ১৯৭১ সালে মাত্র ৪৯ বছর বয়সে স্ট্রোক করেছিলেন ফ্রান্সে। প্যারিসের কাছেই তাঁর কবর। প্রফেসর জামাল নজরুল স্যার স্টিফেন হকিংয়ের দ্যা ব্রীফ হিস্ট্রি অব টাইম এর আগেই একই ঘরানার 'দ্যা আলটিমেট ফেট অব ইউনিভার্স' লিখে বিখ্যাত হলেও যুক্তরাজ্যের লোভনীয় চাকুরী ছেড়ে চলে এসেছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। (আমার সৌভাগ্য উনার জীবদ্দশায় উনার সাক্ষাৎ পেয়েছিলাম একাধিকবার!) বাকি জীবনটা এখানে কাটিয়ে সমাহিত হন এই শহরেই। শহরের গরীবুল্লাহ শাহর মাজার সংলগ্ন কবরস্থানে তাঁর কবর।
কালের ধুলায় মিশে যাবো নির্বিশেষে সবাই। কত ক্ষমতাবান হনু মনু এলো গেলো আসে যায় তবু সশ্রদ্ধায় মন থেকে স্মরিত হচ্ছেন জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সাহিত্যের কর্মবীরেরাই!
No comments:
Post a Comment