18 Apr 2023

ঢাকা শহরের বিখ্যাত অথচ জঘন্য খাবার তালিকা - worst over hyped food place of Dhaka

 

ঢাকা শহরে আমার খাওয়া ওভার হাইপড অথচ অতি জঘন্য কয়েকটা খাবারের বর্ণনা দিলাম। এগুলো কঠিনভাবে বর্জনীয়। আপনার অভিজ্ঞতা ও কমেন্টে এরকম আরো বিখ্যাত ক্রিমিনালদের নাম দিয়ে যাবেন। যাতে পাবলিক এওয়ার হয়: 


১/ বড় বাপের পোলায় খায়: 


মূলত ঢাকার নবাববাড়িতে যে ইফতার মাখা হতো তার উচ্ছিষ্ট দেয়া হতো বাড়ির চাকরবাকরদের। চাকররা সেটা খেয়েই বাইরে আহা উহু গপ দিতো। সেই বর্ণনা শুনে স্থানীয়রাও রাস্তায় সেই ইফতার মাখা বিক্রি শুরু করে এবং নব্বই দশকে মিডিয়ার বদৌলতে মার্কেট পেয়ে যায়। এই খাবার একেবারেই জঘন্য। যেহেতু মাখা আইটেম তাই আগেরদিনের টক হয়ে যাওয়া মুরগী ইত্যাদি মিলিয়ে দেয় চকবাজারের বিক্রেতারা৷ খাইলে অসুস্থ্য হবেন নিশ্চিত৷ 


২/ মুস্তাকিমের চাপ: মুহাম্মদপুর বিহারী ক্যাম্পের এই জিনিসের সুনাম শুনে খেতে গিয়েছিলাম ২০১৫ তে। ভালো লাগেনি। কয়দিন আগেও গেলাম। আরো জঘন্য হয়েছে৷ সকল আইটেমই একই মশলায় মাখে, একই তেলে ভাজা হয়। স্বাদ থাকবে কেমনে? তাছাড়া এই তেল কয়দিনের পুরোনো কে জানে! 


মূলত স্টয়িক ব্লিসের আবার জিগায় গানে মুস্তাকিমের চাপ আবার জিগায় লাইনটার কারবে বেশি হিট খেলেও এখন আর আগের মত জমজমাট নাই কারণ পাবলিক সচেতন হয়েছে। স্পেশালি লুচি নিয়ে এরা যে বাটপারিটা করে সেটা ধরতে পারলে আপনি আর এখানে দুইবার যাবেন না। 


৩/ বেনারসি পল্লীর শওকতের চাপ:  এটা আরেক জঘন্য আইটেম। মুস্তাকিমের মত একই তেলে দুনিয়ার সবকিছু ভাজা হচ্ছে এখানে। আর এত কড়া ভাজা দেয় যে কোনকিছুর মূল স্বাদ বলে কিছু অবশিষ্ট থাকেনা। মূলত একবার পাকিস্তান টিম খেতে গিয়ে জায়গাটা বিখ্যাত করে তুলে কিন্তু আমরা যারা মিরপুর থাকি আমরা ভুলেও ঐ দোকানে খাইনা। 


৪/ কাল্লুর কাবাব: এরা যখন রাস্তার ব্যবসায়ী ছিলো তখন এদের খাবার ও সার্ভিস দুইই ভালো ছিলো। আমরা হাইপ তুলে এদের এত আসমানে তুলেছি যে এখন এরা কাবাবটা পর্যন্ত পুড়ায় না। তেলে ভেজে দেয়। কারণ পুড়ালে টাইম বেশি লাগে। 


৫/ চান্দুর নেহারী: চান্দুর নেহারী এক সময় সস্তা ছিলো এবং হাইপ কম ছিলো বলে ভালো করে জ্বাল দিতেন উনারা। এখন এত চাপ যে এক জ্বালের নেহারী বেচেই কূল পান না। আর এখন পুরোটাই ইম্পোর্টেড নেহারী ইউজ করেন। দামও বাড়িয়ে ফেলেছেন। তাই আর ভালো লাগেনা। তাও যদি খেতে চান বাসায় এসে কয়েকবার জ্বাল দিয়ে খাবেন। 


৬/ বিউটির লাচ্ছি: গত ৫-৭ বছর ধরে লাচ্ছিটা জঘন্য হচ্ছে। গোলাপজলের গন্ধে গেলা দায়। তাই লেবুর শরবতটা খেতাম ঐটাও আর আগের মত নাই। তআছাড়া ঢাকা শহরের সবচে বড় ভাগাড়টা এখন ওদের দোকানের সামনে! আর আমাদের দেশের নাদান ফুড ব্লগারগুলো কিনা বিদেশী ব্লগার আসলে এখানেই নিয়ে যায়!


৭/ হাজী বিরিয়ানী: এইখানে খাসির মাংসের বদলে এখন ছাটের মাংস দেয় কিন্তু দামটা কিন্তু ঠিকই অনেক বেশি নেয়। মাংস আপনি বলতে গেলে পাবেনই না। টাকা দিয়ে হাড় নেয়ার মানে আছে কোন? তাছাড়া পরিমাণ এত কমিয়েছে বলার বাইরে। আগে এক পাতা খেলে পেট ভরতো আর এখন এক পাতায় পেটের অর্ধেকও ভরেনা!  


৮/ কলাবাগানের মামা হালিম: ঢাকার সবচে বাজে হালিম এরা বানায়। কিন্তু দাম নিবে গলাকাটা। কেমনে যে এদের নাম ফাটলো আমি ভেবে পাইনা! 


৯/ শমসের আলীর ভুনা খিচুড়ি: এই দোকানের মার্কেটিং, পলিসি, খাবার সবই বাটপারি৷ সারাক্ষণ এদের হাবভাব আমরা প্রেসিডেন্ট এর খাবার বানাই কিন্তু খাইলে বুঝবেন ফকিন্নীও এদের খাবার গিলবে না! 


১০/ আবেশ হোটেলের মটকা আইটেম: 

এটা পুরাপুরি ফুড ব্লগারদের তৈরী হাইপ। এদের খাবার এত জঘন্য এত জঘন্য যে খাবার পর আপনার মনে হবে মাইক ভাড়া করে এদের গালাগালি করি! 



No comments:

Post a Comment