3 Jul 2020

সদ্যপ্রয়াত সাইফুল আজম ছাড়াও পাক এয়ার ফোর্সে আরো অনেক লিজেন্ডারি বাঙালি ফাইটার ছিলেন। তাঁদের নিয়ে ধারাবাহিকভাবে লেখার প্রথম পর্বে আজ লিখবো ফ্লাইং অফিসার ওয়ালিদ এহসানুল করিমকে নিয়ে। বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। (গ্রাম চকোরিয়ার হারবাং) বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর ও ওয়ালিদ ১৯৬৩ সালে যখন একইসাথে জিডি পাইলট হিসেবে কমিশন পান তখন ওয়ালিদের সোর্ড অব অনার পাবার কথা ছিলো৷ কিন্তু পাসিং আউটের অল্প কিছুদিন আগে ৫২ সালের ভাষা আন্দোলন নিয়ে অবাঙালি ব্যাচমেটদের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়লে তাঁকে সোর্ড অব অনার থেকে বঞ্চিত করা হয়৷ তা সত্বেও যেহেতু ওয়ালিদ ছিলেন তাঁর ব্যাচের সেরা পাইলট তাই তাঁকে পাক এয়ার ফোর্সের শ্রেষ্ঠ ফাইটার ইউএস মেড স্যাবর F86 এর পাইলট মনোনীত করা হয়। ১৯ বছর বয়সী ওয়ালিদ ছিলেন তখনকার সময়ে সারা বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী F86 পাইলট। F86 নিয়ে নানান আনকনভেনশনাল স্ট্যান্ট দেখিয়ে ওয়ালিদ বাহিনীর ভিতর ও বাইরে বিখ্যাত হয়ে উঠেছিলেন। ১৯৬৫ সালের ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের সময় ভারতের গুজরাটে এয়ার স্ট্রাইক পরিচালনার সময় ওয়ালিদের F86 ফাইটার বিমান বিধ্বংসী কামানের গোলায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়৷ সে অবস্থাতেই ইজেক্ট না করে ফিরে আসার চেষ্টাকালে ওয়ালিদের ফাইটার আরব সাগরে বিধ্বস্ত হয়। বাঙালি পাইলট ওয়ালিদের লাশ বা তাঁর ফাইটারের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়নি!



(ওয়ালিদের বাবা ছিলেন হারবাং এর সম্ভ্রান্ত জমিদার ও কক্সবাজার পৌরসভার প্রথম মেয়র ফজলুল করিম। পর্যটন প্রসারের জন্য কক্সবাজার সৈকতের ঝাউগাছগুলো তাঁর সময়েই রোপন করা হয়।)

F86 saber jet

ছবিতে ওয়ালিদের সাথে আরো দুইজন বাঙালি আছেন। একজন বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর। আরেকজন এয়ার ভাইস মার্শাল মমতাজ। সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান। গত বছর মারা গেছেন।

No comments:

Post a Comment